somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বাংলাদেশ এয়ারপোর্ট ইমিগ্রেশন..কেন এমন? কেন আমরা এমন?

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৩:৫৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

এয়ারপোর্ট, একটা দেশের প্রথম ইমপ্রেশন, অনেক লক্ষবার এসব নিয়ে আলোচনা হয়েছে, কোনো লাভ হয়নি, এই জীবন তো দুরের কথা, নেক্সট দশ, বিশ জেনারেশন কোনো উন্নতী দেখে যেতে পারবে কিনা জানিনা।

জরুরী প্রয়োজনে দেশে যাওয়া প্রয়োজন, আমার মেয়ের পাসপোর্টে ভিসা নাই, নো ভিসা রিকোয়ার্ড সিল নেবার সময় নাই, বাংলাদেশ হাইকমিশন ওয়েবে পরিস্কার লেখা আছে, যেসব দেশে বাংলাদেশ অ্যাম্বাসী আছে, বাংলাদেশ ভ্রমনের আগে অবশ্যই ভিসা নিতে হবে, কোনো অন অ্যারাইভাল ভিসা দেয়া হবেনা।

প্নেন থেকে নেমে সেই চেনা পরিচিত দৃশ্য, ব্যাজ পরা সরকারী এয়ারপোর্ট অফিশিয়ালদের কানের কাছে মশার মত গুনগুন 'স্যার কি লাগবে, ভিসা থেকে শুরু করে, লাগেজ উঠায়ে দেব, খুশী হয়ে যা পারেন দিয়েন' .. ডাব্লিউ টি এফ, আমার মত আমজনতার কাছে যদি এভাবে ঘ্যানঘ্যান করে, একটা বিদেশী পেলে তো পা জড়ায়ে বসে থাকবে, এদের ম্যানেজারকে পেলে কষে একটা চড় মারতাম, হয়ত সেই পাঠিয়েছে এই বলে ' যান কিছু টু পাইস কামানোর ধান্দা করেন, পেলে আমাকে ভাগ দিয়েন, কাজ করা লাগবেনা'

অন অ্যারাইভাল ভিসার টাকা দেবার কাউন্টার, ভিসা ফি $50 USD + 1.5% VAT, খুব ভালো কথা, আমরা একটাকার বিনিময়ে চকলেট বা 'মামা পরে নিয়েন' বা একেবারে না নিয়ে অভ্যস্ত কিন্তু একজন বিদেশী অবশ্যই আশা করবে, সঠিক চেইন্জ ফেরত পাবার, সবার কাছ থেকে $51 USD নেবেন, ভালো, এটা কোনো রেষ্টুরেন্ট না যে আপনি ২৫ সেন্ট জোর করে টিপস নেবেন বা ফেরত দেবেন না, তাহলে অ্যামাউন্ট টা এমনভাবে সেট করা উচিত যাতে সঠিক চেন্জ ফরতে দিতে কোনো অসুবিধা না হয়। টাকা জমা দিয়ে লাইনে দাড়িয়ে আছি ভিসা নেবার, আমার সামনে কিছু চাইনিজ, দেখলে বোঝা যায় সস্তা চাইনিজ মাল বিক্রি করতে আসছে। আপনার যতই ভিসা থাক বা যত রাশভারী দেশের পাসপোর্ট থাক, একটা দেশের ইমিগ্রেশন কাউন্টার এ দাড়ালে হালকা ভয় পাবার কথা, কারন তার অথোরিটি আছে আপনাকে না ঢুকতে দেবার, আমাদের দেশে সেটা ব্যাতিক্রম, কাউন্টার এ যিনি বসে আছেন তিনি মনে হয় বাংলার ছাত্র ছিলেন, বোম মারলেও একটা ইংরেজী শব্দ বের হচ্ছেনা মুখ দিয়ে, আমি পেছনে দাড়িয়ে দেখছি, একজন ফি জমা না দিয়ে আসছে ভিসা করতে, উল্টা ঝাড়ি মারে হালকা ইংরেজীতে, আমাদের অফিসার তাকে বোঝাতে পারলেন না, আগে টাকা জমা দিতে । অনেক কষ্টে অসহায় ভাবে আকারে বোঝাতে পারলেন ' ওখানে যেয়ে টাকা জমা দিয়ে আসো'। আমি নিশ্চিত, আমাদের কোনো ডেস্কে কোনো ট্রেইনড অফিসার নাই, সকালে সবাই কাজে আসে এবং যে যার ইচ্ছামত ডেস্কে বসে পড়ে, আরেকটা থাবড় দিতে ইচছা হলো ম্যানেজমেন্ট কে। ও হ্যা, আরেকটা কথা,ভিসা কাউন্টার এর পেছনে একটা কাচের রুম সেখানে পরিস্কার বাংলায় (!) লেখা 'রোগ নির্নয় কেন্দ্র'' কেউ বুঝবেনা ওটা কিসের রুম কিন্তু সবচেয়ে দুঃখজনক দরজার হ্যান্ডেলে কেউ একজন কাগজে হাতে লিখে দিয়েছে 'টানুন'।
KP (আশা করি মানে বুঝতে পেরেছেন) ম্যানেজমেন্ট এইটুকু কমান্ড দিতে পারেনি যে প্রিন্ট করে দিতে।

এবার ইমিগ্রেশন কাউন্টার, কোনো হাই, হ্যালোর ধার ধারে না, তিনটা পাসপোর্ট দিলাম, বোবার মত সিল দিয়ে ছুড়ে মারল, কোথায় যাব, কতদিন থাকব কোনো প্রশ্ন নাই, দেখলে মনে হবে হয় বোবা না সাধুবাবা বট গাছের নিচে ধ্যান করতে বসছে। লাগেজ নিয়ে বের হচ্ছি, একজন কাস্টম অফিসার প্রশ্ন করলেন 'কোথা থেকে আসছেন'? আমি বললাম, সে বলল 'যান''। আমি বললাম 'চেক করবেন না'? উনি প্রচন্ড বিরক্ত হলেন, আমি চলে যাচ্ছি, গেটে একটা গার্ড (আমার কাছে মনে হয়েছে একজন গার্ড যেভাবে দায়িত্ব পালন করে একজন অফিসার তার কাছে কিছুনা) আমাকে বললেন লাগেজ স্ক্যানিং এ দিতে, আমি ব্যাগ নামাতে যাবো, কাস্টম অফিসার ছুটে আসলেন, গার্ডে পারলে মারতে যান 'আমি যেখানে ছেড়ে দিয়েছি, তুমি ক্যানো বললা স্ক্যানিং এ দিতে', অসহ্য! একটা ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট এটা!

পরবর্তী পর্বে লিখব ডিপারচার কাহিনী, যাবার আগে একটা কুইজ, ডিপারচার কার্ডে এতবড় একটা ভুল!

সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৮ ভোর ৫:৩৬
১১টি মন্তব্য ৭টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ট্রাম্প ভাইয়ের প্রেসিডেন্সিয়াল টিমের সদস্য এর মধ্যে এই তিন জন সদস্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

লিখেছেন অতনু কুমার সেন , ০৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৮:৪৮

প্রথম জন হলো: জেডি ভান্স, উনি মেবি ভাইস প্রেসিডেন্ট হচ্ছেন। ভদ্রলোকের বউ আবার ইন্ডিয়ান হিন্দু। ওনার নাম উষা ভান্স। পেশায় তিনি একজন অ্যাডভোকেট।

দ্বিতীয় জন হলো বিবেক রামাস্বামী। এই ভদ্রলোক আরেক... ...বাকিটুকু পড়ুন

দেশে ইসলামি আইন প্রতিষ্ঠা করা জরুরী?

লিখেছেন রাজীব নুর, ০৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:০২



বিশ্ব ইসলামের নিয়মে চলছে না।
এমনকি আমাদের দেশও ইসলামের নিয়মে চলছে না। দেশ চলিছে সংবিধান অনুযায়ী। ধর্মের নিয়ম কানুন মেনে চললে পুরো দেশ পিছিয়ে যাবে। ধর্ম যেই সময় (সামন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

আসল 'আয়না ঘর' থাকতে রেপ্লিকা 'আয়না ঘর ' তৈরির প্রয়োজন নেই।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১১:৩৮


স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকারের জুলুম থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য ৫ই আগস্ট সর্বস্তরের জনতা রাস্তায় নেমে এসে। শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যান। দীর্ঘ ১৫ বছরের শাসন আমলে অসংখ্য মানুষ কে... ...বাকিটুকু পড়ুন

একটি ছবি হাজার কথা বলে

লিখেছেন ইফতেখার ভূইয়া, ০৮ ই নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৩:৫৩

আগস্টের ৩ তারিখ আমি বাসা থেকে বের হয়ে প্রগতি স্মরণী গিয়ে আন্দোলনে শরিক হই। সন্ধ্যের নাগাদ পরিবারকে নিয়ে আমার শ্বশুর বাড়ি রেখে এসে পরদিনই দুপুরের মধ্যেই রওনা হয়ে যাই। আগস্টের... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। নিজের বানানো টেলিস্কোপ দিয়ে কালপুরুষ নীহারিকার ছবি

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৮ ই নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ১১:৩৯






ঢাকায় নিজের বাসার ছাদ থেকে কালপুরুষ নীহারিকার ছবি তুলেছেন বাংলাদেশি অ্যাস্ট্রোফটোগ্রাফার জুবায়ের কাওলিন। যে টেলিস্কোপ দিয়ে তিনি এই ছবি তুলেছেন, সেটিও স্থানীয় উপকরণ ব্যবহার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×