ব্লগে আছি প্রায় এক বছর। লেখালেখি তেমন একটা করা হয় না। পড়িই কেবল। ব্লগ আড্ডায় যাইনি কোন দিন। এবারের আড্ডা হবে এমন পোস্ট দেখে ভাবলাম এবার ব্লগ আড্ডায় যাবই। ওকে বললাম ও রাজি। কিন্তু আমি শর্ত দিলাম আমি যাব ব্লগার মনপুরা হিসেবে অন্য একজন ব্লগারের স্ত্রী হিসেবে নয়। দুরুদুরু বুকে বিকেল ৫.৩০টার দিকে রবীন্দ্রসরোবরে প্রবেশ। ও অন্যএকজন বন্ধুকে নিয়ে আগেই চলে গেছে। আমি কাউকে চিনি না। কিভাবে পরিচিত হবো এ নিয়ে ইতস্তত ছিলাম। ঢুকেই দেখি আমার পরিচিত দুজন ব্লগারসহ আরো কয়েকজন দাড়িয়ে আছে। কাছে গিয়ে পরিচয় দিতেই একজন ব্লগারের উষ্ণ আলিঙ্গন। তিনি ছিলেন-আরিয়ানা আপু। এরপর একে একে পরিচিত হলাম- শ্রাবনসন্ধ্যা (উনার মেয়ে জাফনা), কালপুরুষ, একরামুল হক শামীম,ক্যামেরাম্যান,সুনীল সমুদ্র, রাতমজুর,মন মানে না, মেসবাহ য়াযাদ,সাইকেল আরোহী, শফিকুল, তাজা কলম, বৃত্তবন্দী, চাচামিঞা, স্পর্শহীন কিছুদিন, পথিক!!!!সহ আরো অনেক ব্লগারের সাথে। যাদের সাথে ইতিপূর্বে কেবল ভার্চুয়াল পরিচয়ই ছিল।
অল্প কিছুক্ষণ পরে এলেন গোয়েবলস, ফারা তন্বি, খুশবু, আইরিন, পারভীন- অনেকেই পরিচিত হলাম তাদের সাথে। এরমধ্যে শামীম ভাই এসে চাদাঁ হিসেবে নিয়ে যান ১০০/-। এর পর এলো আমার দেবরকূল। পাথুরে, অন্ধ দাড়ঁকাক, যাযাবর পাখি, শামসীর ভাই। এরা সবাই আমার শ্বশুরবাড়ীর অর্থাৎ চাটঁগার লোক। শামসীর ভাইতো দেখামাত্রই একটা দায়িত্বও দিয়ে দিলেন । রাত ৮.৩০টার দিকে সবার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে চমৎকার কিছু সুখ স্মৃতি নিয়ে বাসায় ফিরি।
ভালকথা, ও কিন্তু পুরোপুরি কথা রাখতে পারেনি। পরিচয় দেবে না দেবে না বলেও এক পর্যায়ে কয়েকজনের কাছে আমার পরিচয় ফাঁস করে দেয় ।
বি:দ্র: এই লেখা পচাঁ হলে তার সমস্ত দায় দায়িত্ব আমার দেবরকূলের সদস্য পাথুরে, অন্ধ দাড়কাক ওশামসীরের।