তারা এক একজন এভারেস্ট জয় করে দেশের কোন কলাটা উদ্ধার করেছে?
মুসা ইব্রাহীম প্রথম যখন এভারেস্ট জয় করলো, সবাই তাকে নানা সংবর্ধনা দিয়েছিলো। আস্তে আস্তে সে আবেগ ফিকে হয়ে আসছে। এরপর আরো ৩ জন (মুহিত, ওয়াসফিয়া নাজরীন, নিশাত মজুমদার )এভারেস্টের চুড়ায় উঠলো।
এটা নিয়ে মিডিয়াতে এতো হইচই করার কি আছে, সেটা বোধগম্য হচ্ছে না। একসময় যখন কেউ বান্দরবানের কোনো পাহাড়ে উঠতো, সেটাও পত্রিকায় আসতও। বাংলাদেশের সর্বোচ্চ শৃঙ্গে আরোহণ--এই শিরোনামে। এরপর এখন তো তরুণদের কাছে রুমা, থানচি, বগালেক, সাইকতপাড়া এইসব সকাল সন্ধ্যার ব্যাপার। এই এভারেস্টও আর কয়েকদিন পর এমনই হবে। এটা নিয়ে এতো মাতামাতি করার কিছু আছে বলে মনে হয় না।
বাংলাদেশ থেকে কয়জন এভারেস্টে উঠলো, এটা দিয়ে কি আন্তর্জাতিকভাবে কি কোনো র্যাংকিং করা হয়?
আমাদের মতো দেশে এইসব বিলাসীতা ছাড়া আর কিছু নয়। সেভেন সামিটের নামে তারা যা করছে, এতে দেশের কি অর্জন? এইসব ব্যক্তিগত অর্জন ছাড়া আর কিছু নয়। কাড়ি কাড়ি টাকা খরচ করে অমুক পাহাড়ের চুড়ার দেশের পতাকা উড়িয়ে দেশের কি উপকার হলো?
তাদের অর্জন হবে কি জানেন? বিভিন্ন বিজ্ঞাপন নির্মাতারা তাদের হয়ত ২-১টা বিজ্ঞাপন বানাবে, ব্যাস এটুকুই। কারণ এখন বছরে শয়ে শয়ে মানুষ এভারেস্টে উঠছে।সারাবিশ্বের প্রেক্ষাপটে চিন্তাকরলে সামগ্রিকভাবে এভারেস্ট জয় তেমন কোনো গুরুত্ব বহন করে না।
মুসার এভারেস্ট জয়ের পরও এমন একটা পোস্ট লিখেছিলাম, কারণ মুসা নাকি ধারদেনা করা এভারেস্ট জয় করেছিলো।
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে মে, ২০১২ রাত ৮:৪১