জৌতিষ শাস্ত্রে বিশ্বাস করেন আর নাই করেন, চোখের সামনে যদি একটা মাগনা জৌতিষী বসে থাকে, তবে অনেকেরই হাত নিশপিশ করবে জৌতিষীকে দিয়ে হাতটা একটু দেখিয়ে নেওয়ার জন্য। এমন একটা ফ্রী জৌতিষীই আমার কাল হয়ে দাড়িয়েছে।
২০০৪ সালের দিকে (তখনও আমি বিয়ে করি নাই) এক মাগনা জৌতিষীকে পেয়েছিলাম, যার কোনো সাইনবোর্ড নাই, হাত দেখে টাকাও নেন না, পাথরও বিক্রি করেন না। ঐ জৌতিষী ব্যাংকার, নটা পাঁচটা অফিস করে, শখের বসে হাত দেখে। পরিচিত জনের সূত্রধরে আমি গেলাম তার কাছে, তারই অফিসে। যথেষ্ট সমাদর করলো। বেশ কিছু ভবিষ্যত বাণী করলো, একটা ছোট চিরকুটে লিখে দিলো আমার ভবিষ্যত
ক্যাম্পাসে এসে সেই চিরকুটখানা পড়লো আমার তৎকালীন তিনির কাছে। ঐ চিরকুটে ৬-৭টা বাণী লিখা ছিলো, তার মাঝে ২টা এখনো মনে আছে। আসলে আমার মনে নাই, আমার গৃহিনী সযতনে মনে রেখেছেন।
# ৩৫ বছরের আগে পর্যন্ত তেমন টাকা পয়সার মুখ দেখবো না।
# জীবনের কোনো একসময় পরকীয়ার সম্ভাবনা আছে।
পরকীয়াটা নিয়েই আমার গৃহিনীর যত চিন্তা। ২০০৪ সালে তখনও আমাদের বিয়ে হয় নাই, তখন থেকেই তার মাথায় ঢুকে আছে, এই বুঝি আমি পরকীয়া করছি
অতঃপর ২০০৫ সালে তৎকালীন তিনির পিড়াপিড়িতে আবার জৌতিষীর কাছে গিয়ে পাথরের সাজেশন নিতে হলো। এবং হাতে একটা পাথর পরতে হলো, তাঁকে শান্ত রাখতে। ঐ পাথর এখনো পড়তে হচ্ছে গৃহশান্তি বজায় রাখার জন্য। স্ত্রী খালি আমার দিকে সন্দেহের চোখে তাকায়। যতই বলি, আমি সে রকম ছেলেই না, কোনো লাভ হয় না।
২ সপ্তাহ আগে একরাতে গৃহিনীকে বললাম, এই পাথরের উপর তো আমার কোনো বিশ্বাস নাই, এই পাথর কি আমার ভাগ্য পরিবর্তন করতে পারবে? আমি কি এই পাথর খুলে ফেলবো?
গিন্নীও কি মনে করে সদয় সম্মতি জ্ঞাপন করলো। বললো, খুলে রেখে দাও। আমি তো মহাখুশি। বন্দীদশা থেকে মুক্ত মনে হচ্ছে।
রাতে ঘুমালাম, পরদিন সকালে ঘুম থেকে উঠার পরই গিন্নীর হুকুম '' আংটিটা আবার পরে নাও, আমি কোনো রিস্কে যেতে চাই না''
আমাদের দাম্পত্যজীবনের টুকিটাকি নিয়ে আরো কয়েকটা পোস্ট
আজকের সবটুকু ভালোবাসা আমার বউ এর জন্য।
২ বছরের বিবাহিত জীবনের টুকিটাকি।
প্রিয় বউ - তোমার জন্য
স্মৃতিময় বৃষ্টি: আমার প্রেমের সেকাল আর একাল
আমি সরকারী চাকুরীজীবি তাই বউ আমাকে সরকারী কেরানী বলে ঠাট্টা করে
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা মে, ২০১২ দুপুর ১২:২২