সংসার জীবনে সুখে শান্তিতে থাকতে চাইলে পারস্পরিক বিশ্বাসের মূল্য অপরিসীম। অনেকেই আছেন, বউকে অনেক ভালো বাসেন, বউয়ের জন্য জীবন দিয়ে দিতে পারেন, কিন্তু তারপরও মনের মধ্যে একটা সূক্ষ চিন্তাও থাকে। আমার মনে হয়, তাদের ভালোবাসার মধ্যে একটু হলেও খাদ আছে।
বউ কি পরকীয়া করছে? বউ কি আমাকে না জানিয়ে অন্য কারো সাথে কথা বলছে? আমি সারাদিন বাসায় থাকি না, এই ফাঁকে বউ কি গোপন কিছু করছে? বউ কি আমার সংসারের জিনিসপত্র, টাকা পয়সা বাপের বাড়িতে পাচার করছে? বউয়ের কি আগের কোনো প্রেমিক ছিলো? বউ কি আগের প্রেমিকের সাথে যোগাযোগ করে? আপনি কি বউয়ের মোবাইলের কললিস্ট চেক করেন? মাঝ রাতে কি ঘুম থেকে জেগে উঠে বউকে পাহারা দেন?
সন্দেহটা কিন্তু মনে মনেই থাকে, কেউ প্রকাশ করতে চায় না।
এই সন্দেহ জিনিসটা খুবই খারাপ।একবার যদি সন্দেহ ঢুকে যায় মনের মধ্যে, তবে সেটা সহজে আর বের হতে চায় না।
হয়ত ভদ্রতার খাতিরে প্রথমে অনেকে আড়ালে অবস্হা বুঝার চেষ্টা করে। পরে অনেক কাকতালীয় ব্যাপারকে ঘটনা বানিয়ে সংসারে অশান্তি সৃষ্টি করে।
তাই কারো উচিত নয় অহেতুক সন্দেহ করা। যদি সত্যি সত্যি কোনো ব্যাপারে জিজ্ঞাসা থেকে থাকে, সেটা খোলামেলা ভাবে আলোচনা করুন। মনে রাখবেন, সংসারে আপনার বউ ই হচ্ছে আপনার সবচেয়ে আপন জন। আপনার পুরো জীবনটাই তো তার সাথে কাটাবেন। অহেতুক লুকোচুরি খেলে লাভ কি?
খোলামেলা কথা বলুন, শান্তিতে ঘুমান।
উপরের সব কথা কিন্তু সকল বউদের জামাইদের জন্যও প্রযোজ্য।
ছোট্ট একটা ঘটনা বলি। এক পরিচিত জন থেকে শুনা।
[একলোক তার বউকে খুবই ভালোবাসে, সংসারের প্রতি তার দায়িত্ববোধের কোনো কমতি নাই, বিয়ের পর পরই তার প্রথম সন্তান হলো একটা ছেলে। তার কয়েক বছর পর হলো একটা মেয়ে। ঐ ভদ্রলোক তার মেয়েকে অনেক অনেক ভালোবাসে , মেয়ের সব সাধ আহ্বলাদ পূরণ করে, কিন্তু ছেলেটার সাথে কুত্তা বিলাই এর মতো ব্যবহার করে। অনেক দিন পরে জানা গেল, ঐ লোকের মনে একটা ক্ষীণ সন্দেহ ছিলো, ছেলেটা তার নিজের ঔসরজাত নয়। কিন্তু এর সপক্ষে তার কোনো প্রমাণও নাই। কারণ ঐ ভদ্রমহিলার বিয়ের আগে একজনের সাথে প্রেম ছিলো। কিন্তু বিয়ের পরে কোনো যোগাযোগ ছিলো না। শুধু মাত্র সন্দেহবশতই ভদ্রলোক তার ছেলেকে পছন্দ করে না, আদর করে না। ]
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই অক্টোবর, ২০১১ বিকাল ৪:৪৮