প্রথমেই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি *াগী শব্দটা ব্যবহার করার জন্য। কিন্তু আপনি জানেন কি? গাও গেরামে নিজের বউকে অনেকে আদর করে ডাকে *গী বলে! বাংলা একাডেমীর ডিকশনারিতেও *াগী শব্দটির অর্থ মহিলা/স্ত্রী। সো প্লিজ আমাকে গালাগালি করবেন না। আমাদের সমাজ ব্যবস্হা এখন এই পর্যায়ে দাড়িয়ে আছে যে অনেক সুন্দর সুন্দর শব্দ বা শব্দগুচ্ছও আজকাল মানুষ খারাপ মিন করে। যেমন: ষোড়শী, তরুনী-তন্বী, কোন বিষয়কে হ্যান্ডল করার জন্য আমরা বলি-আই উইল হ্যান্ডল দিজ ম্যাটার। হ্যান্ডল বা হ্যান্ডলিং কোন খারাপ ওয়ার্ড না!!তারপরও তরুন প্রজন্ম এসব শব্দ শুনলে চোখ টিপে হাসে! এমনকি পাহাড়, দুধ, কেশ, চুল,বেগুন, লাঠি--এসব শব্দ গুলোতেও তারা অশ্লীলতার গন্ধ শুঁকে!!!
কারো কনফিউশন থাকলে আমাকে বলবেন, আমি শুধরে নেবো। পৃথিবীর সেরা সৃষ্টি নিয়ে কোন কটু কথা আর কেউ বলতে পারলেও আমার পক্ষে বলা সম্ভব না। *াগী শব্দটি ব্যবহার করেছি কারণ আমি যে গল্পটি বলবো আপনাদের তা কোনরূপ পরিবর্তন পরিবর্ধন করলে গল্পটির মজা নষ্ট হবে। আমার এ অপরাধ ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন আশা করি।
গল্পে চলে আসি! একলোক শুধু কথায় কথায় বউ তালাক দিয়ে দেয়। আস্তে আস্তে এই গ্রাম,ঐ গ্রাম সহ আশে পাশে সবাই ব্যাপারটা জেনে যায়। কেউ আর তার কাছে মেয়ে বিয়ে দিতে চায়না। কারণ কয়েকদিন যেতে না যেতেই সে আবোল তাবোল কারণ দেখিয়ে সরাসরি বাইণ তালাক মেরে দেয়।
এমনি এক সময় সে একবাড়িতে ঘটক মারফত বিয়ের প্রস্তাব পাঠায়। মেয়ের বাবা প্রস্তাব শুনে ত মহা খাপ্পা। তিনি কোন অবস্হাতেই মেয়েকে এমন একজনের সাথে বিয়ে দিবেন না, যে কথায় কথায় বউকে তালাক দিয়ে দেয়। শ্রাব্য-অশ্রাব্য ভাষায় ঘটক কে গালাগালি করে বাড়ি থেকে বের করে দেয়ার সময় দরজার আড়াল থেকে তিনি শুনতে পান, তাঁর মেয়ে বলছে, যাদের কে তালাক দেয় তারা মনে হয় অনেক বোকা,স্বামীর সংসার কর্তে বুদ্ধি লাগে। বুদ্ধি থাকলে কি আর তালাক পায়!
এই কথা শুনে ত বাপের চক্ষু চড়ক গাছ! তার মানে সব জেনে শুনে তার মেয়ে বিয়েতে রাজি! মেয়ের বিয়ের প্রতি এতো আকাংখা দেখে তিনিও ঘটক কে বিয়ের আয়োজন করতে বললেন।
অবশেষে বিয়ে হলো। বিয়ের পরদিন জামাই গেছে বাজারে। বাজার থেকে বাইন মাছ (যারা মাছ চিনেন না তাদের বলছি-সাপের মতো যে মাছ) নিয়ে এসে বউয়ের হাতে দিয়ে বললো, 'বউ, মাছ রান্না কর। আমি গোসল কইরা আইসা যাতে খানা রেডি পাই'। বউ তাড়াতাড়ি রান্না করা শুরু করে দিল।ঐদিকে স্বামীর আসার সময় হয়ে গেছে! পাশের বাড়ির এক পিচ্চি বাচ্চা বারান্দায় বসে ছিল। হঠাৎ সে দিল বারান্দায় পায়খানা করে। এই ঘটনা দেখে ত মহিলার মাথায় হাত। স্বামী আসার শব্দ শুনা যায়, উনি বারান্দায় বইসা খাবেন। আর উনার যে মেজাজ, তাতে গু দেখলে ত উপায় নাই! এখনি বাইন তালাক খায়া বাড়িতে যাইতে হবে
তাড়াতাড়ি করে একটা ঢাকনা দিয়া গু' টা ঢেকে দিলো নব পরিণীতা। ভেতর টা তার হু হু করছে। কখন কোন ভুল ধরে স্বামী তাকে বিদায় করে দেয়? ইতোমধ্যে স্বামী সাহেব এসে উপস্হিত। গায়ে খাঁটি সরিষার তৈল মাখতে মাখতে বললো-'বউ, খাবার আন'।
বউ তড়িঘড়ি করে খাবার পরিবেশন শুরু করলো। স্বামীর সামনে এনে রাখলো ভাত আর বাইন মাছ ভুনা। (সাধারণত বাইন মাছ ভুনা/মানে দোপেয়াজো ই করা হয়)। স্বামী সাহেব রাগত স্বরে বলে উঠলো-কিরে মাগী,বাইন মাছ ভাজা করস নাই? (বাইন মাছ কি কখনো ভাজা খায় নাকি? আসল ঘটনা হইলো ভুল ধইরা তালাক দেয়া আর কি)। স্বামীর স্বভাবের কথা ত আগে থেকেই জানতো স্ত্রী। তাই এক টুকরা ভাজি করে রেখেছিল আগেই। বলার সাথে সাথেই এনে হাজির করলো বাইন মাছ ভাজি! এবার ত স্বামী বেচারা গেল মনে মনে আরো ক্ষেপে। ভাজি আর দোপেয়াজো খেয়ে বললো-'কিরে বাইন মাছ বেগুন দিয়া রান্না করস নাই?' ত্বরিৎকর্মা বউ দুই টুকরা মাছ বেগুন দিয়েও রান্না করে রেখেছিলো! সেকেন্ডেই এনে হাজির করলো বেগুন দিয়ে রান্না করা বাইন মাছ।
কোন ভুল না ধরতে পেরে স্বামী বেচারা ত গেল আরো ক্ষেপে। তরকারী খেয়ে শেষ করতে করতে জিজ্ঞেস করলো-'সজনে দিয়া বাইন মাছ আমার খুব পছন্দ। সজনে দিয়া ঝুল রান্না করস নাই! (হালারে ধইরা পিটাইতে ইচ্ছে করতাছে-সজনে দিয়ে কেউ বাইন মাছ খায়?মুদদা কথা হচ্ছে বউ ছাড়ার লাইগা যা ইচ্ছে তা ই করা)।
বউও কম যায়না-এক টুকরা মাছ সজনে দিয়াও রান্না কইরা রাখছিলো। এনে হাজির করলো স্বামীর সামনে। এই জিনিস দেখে স্বামী বেচারা মনের দুঃখে চূড়ান্ত মেজার হারালো। চোখ মুখ খিইচ্চা জিজ্ঞেস করলো-গু নাই গু????? বউ বললো আছে ত। বলেই সামনে ঢাকনা দিয়া ঘোরা গু টা উদাম করে দিল। বললো নেন। চাহিবামাত্র সবকিছু সামনে নিয়ে আসার এই গুন দেখে স্বামী যারপরনাই দিলখুশ হলো।
মুখে হাসি নিয়ে সে বলে উঠলো-'টিকে গেলিরে মাগী,তুই টিকে গেলি"
[ইহা অতিশয় পুরোনো একটি গ্রাম্য প্রবাদ।যখন বাংগালী সমাজে পুরুষের আধিপত্য বিরাজমান ছিলো]