somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

তুই টিকে গেলিরে *াগী,তুই টিকে গেলি!!!!

১৩ ই মে, ২০১২ দুপুর ১:২৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

প্রথমেই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি *াগী শব্দটা ব্যবহার করার জন্য। কিন্তু আপনি জানেন কি? গাও গেরামে নিজের বউকে অনেকে আদর করে ডাকে *গী বলে! বাংলা একাডেমীর ডিকশনারিতেও *াগী শব্দটির অর্থ মহিলা/স্ত্রী। সো প্লিজ আমাকে গালাগালি করবেন না। আমাদের সমাজ ব্যবস্হা এখন এই পর্যায়ে দাড়িয়ে আছে যে অনেক সুন্দর সুন্দর শব্দ বা শব্দগুচ্ছও আজকাল মানুষ খারাপ মিন করে। যেমন: ষোড়শী, তরুনী-তন্বী, কোন বিষয়কে হ্যান্ডল করার জন্য আমরা বলি-আই উইল হ্যান্ডল দিজ ম্যাটার। হ্যান্ডল বা হ্যান্ডলিং কোন খারাপ ওয়ার্ড না!!তারপরও তরুন প্রজন্ম এসব শব্দ শুনলে চোখ টিপে হাসে! এমনকি পাহাড়, দুধ, কেশ, চুল,বেগুন, লাঠি--এসব শব্দ গুলোতেও তারা অশ্লীলতার গন্ধ শুঁকে!!!;)
কারো কনফিউশন থাকলে আমাকে বলবেন, আমি শুধরে নেবো। পৃথিবীর সেরা সৃষ্টি নিয়ে কোন কটু কথা আর কেউ বলতে পারলেও আমার পক্ষে বলা সম্ভব না। *াগী শব্দটি ব্যবহার করেছি কারণ আমি যে গল্পটি বলবো আপনাদের তা কোনরূপ পরিবর্তন পরিবর্ধন করলে গল্পটির মজা নষ্ট হবে। আমার এ অপরাধ ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন আশা করি।

গল্পে চলে আসি! একলোক শুধু কথায় কথায় বউ তালাক দিয়ে দেয়। আস্তে আস্তে এই গ্রাম,ঐ গ্রাম সহ আশে পাশে সবাই ব্যাপারটা জেনে যায়। কেউ আর তার কাছে মেয়ে বিয়ে দিতে চায়না। কারণ কয়েকদিন যেতে না যেতেই সে আবোল তাবোল কারণ দেখিয়ে সরাসরি বাইণ তালাক মেরে দেয়।X(
এমনি এক সময় সে একবাড়িতে ঘটক মারফত বিয়ের প্রস্তাব পাঠায়। মেয়ের বাবা প্রস্তাব শুনে ত মহা খাপ্পা। তিনি কোন অবস্হাতেই মেয়েকে এমন একজনের সাথে বিয়ে দিবেন না, যে কথায় কথায় বউকে তালাক দিয়ে দেয়। শ্রাব্য-অশ্রাব্য ভাষায় ঘটক কে গালাগালি করে বাড়ি থেকে বের করে দেয়ার সময় দরজার আড়াল থেকে তিনি শুনতে পান, তাঁর মেয়ে বলছে, যাদের কে তালাক দেয় তারা মনে হয় অনেক বোকা,স্বামীর সংসার কর্তে বুদ্ধি লাগে। বুদ্ধি থাকলে কি আর তালাক পায়! :D

এই কথা শুনে ত বাপের চক্ষু চড়ক গাছ! তার মানে সব জেনে শুনে তার মেয়ে বিয়েতে রাজি! মেয়ের বিয়ের প্রতি এতো আকাংখা দেখে তিনিও ঘটক কে বিয়ের আয়োজন করতে বললেন।

অবশেষে বিয়ে হলো। বিয়ের পরদিন জামাই গেছে বাজারে। বাজার থেকে বাইন মাছ (যারা মাছ চিনেন না তাদের বলছি-সাপের মতো যে মাছ) নিয়ে এসে বউয়ের হাতে দিয়ে বললো, 'বউ, মাছ রান্না কর। আমি গোসল কইরা আইসা যাতে খানা রেডি পাই'। বউ তাড়াতাড়ি রান্না করা শুরু করে দিল।ঐদিকে স্বামীর আসার সময় হয়ে গেছে! পাশের বাড়ির এক পিচ্চি বাচ্চা বারান্দায় বসে ছিল। হঠাৎ সে দিল বারান্দায় পায়খানা করে। এই ঘটনা দেখে ত মহিলার মাথায় হাত। স্বামী আসার শব্দ শুনা যায়, উনি বারান্দায় বইসা খাবেন। আর উনার যে মেজাজ, তাতে গু দেখলে ত উপায় নাই! এখনি বাইন তালাক খায়া বাড়িতে যাইতে হবে :((

তাড়াতাড়ি করে একটা ঢাকনা দিয়া গু' টা ঢেকে দিলো নব পরিণীতা। ভেতর টা তার হু হু করছে। কখন কোন ভুল ধরে স্বামী তাকে বিদায় করে দেয়? ইতোমধ্যে স্বামী সাহেব এসে উপস্হিত। গায়ে খাঁটি সরিষার তৈল মাখতে মাখতে বললো-'বউ, খাবার আন'।

বউ তড়িঘড়ি করে খাবার পরিবেশন শুরু করলো। স্বামীর সামনে এনে রাখলো ভাত আর বাইন মাছ ভুনা। (সাধারণত বাইন মাছ ভুনা/মানে দোপেয়াজো ই করা হয়)। স্বামী সাহেব রাগত স্বরে বলে উঠলো-কিরে মাগী,বাইন মাছ ভাজা করস নাই? (বাইন মাছ কি কখনো ভাজা খায় নাকি? আসল ঘটনা হইলো ভুল ধইরা তালাক দেয়া আর কি)। স্বামীর স্বভাবের কথা ত আগে থেকেই জানতো স্ত্রী। তাই এক টুকরা ভাজি করে রেখেছিল আগেই। বলার সাথে সাথেই এনে হাজির করলো বাইন মাছ ভাজি! এবার ত স্বামী বেচারা গেল মনে মনে আরো ক্ষেপে। ভাজি আর দোপেয়াজো খেয়ে বললো-'কিরে বাইন মাছ বেগুন দিয়া রান্না করস নাই?' ত্বরিৎকর্মা বউ দুই টুকরা মাছ বেগুন দিয়েও রান্না করে রেখেছিলো! সেকেন্ডেই এনে হাজির করলো বেগুন দিয়ে রান্না করা বাইন মাছ।

কোন ভুল না ধরতে পেরে স্বামী বেচারা ত গেল আরো ক্ষেপে। তরকারী খেয়ে শেষ করতে করতে জিজ্ঞেস করলো-'সজনে দিয়া বাইন মাছ আমার খুব পছন্দ। সজনে দিয়া ঝুল রান্না করস নাই! (হালারে ধইরা পিটাইতে ইচ্ছে করতাছে-সজনে দিয়ে কেউ বাইন মাছ খায়?মুদদা কথা হচ্ছে বউ ছাড়ার লাইগা যা ইচ্ছে তা ই করা)।

বউও কম যায়না-এক টুকরা মাছ সজনে দিয়াও রান্না কইরা রাখছিলো। এনে হাজির করলো স্বামীর সামনে। এই জিনিস দেখে স্বামী বেচারা মনের দুঃখে চূড়ান্ত মেজার হারালো। চোখ মুখ খিইচ্চা জিজ্ঞেস করলো-গু নাই গু????? বউ বললো আছে ত। বলেই সামনে ঢাকনা দিয়া ঘোরা গু টা উদাম করে দিল। বললো নেন। চাহিবামাত্র সবকিছু সামনে নিয়ে আসার এই গুন দেখে স্বামী যারপরনাই দিলখুশ হলো।

মুখে হাসি নিয়ে সে বলে উঠলো-'টিকে গেলিরে মাগী,তুই টিকে গেলি"

[ইহা অতিশয় পুরোনো একটি গ্রাম্য প্রবাদ।যখন বাংগালী সমাজে পুরুষের আধিপত্য বিরাজমান ছিলো]


৪০টি মন্তব্য ৩৯টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ফখরুল সাহেব দেশটাকে বাঁচান।

লিখেছেন আহা রুবন, ০১ লা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:৫০





ফখরুল সাহেব দেশটাকে বাঁচান। আমরা দিন দিন কোথায় যাচ্ছি কিছু বুঝে উঠতে পারছি না। আপনার দলের লোকজন চাঁদাবাজি-দখলবাজি নিয়ে তো মহাব্যস্ত! সে পুরাতন কথা। কিন্তু নিজেদের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হচ্ছে।... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। প্রধান উপদেষ্টাকে সাবেক মন্ত্রীর স্ত্রীর খোলা চিঠি!

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০১ লা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:০৩




সাবেক গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনকে মুক্তি দিতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে খোলা চিঠি দিয়েছেন মোশাররফ হোসেনের স্ত্রী আয়েশা সুলতানা। মঙ্গলবার (২৯... ...বাকিটুকু পড়ুন

কেমন হবে জাতীয় পার্টির মহাসমাবেশ ?

লিখেছেন শিশির খান ১৪, ০১ লা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:৫৬


জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বিক্ষুব্দ ছাত্র জনতা আগুন দিয়েছে তাতে বুড়ো গরু গুলোর মন খারাপ।বুড়ো গরু হচ্ছে তারা যারা এখনো গণমাধ্যমে ইনিয়ে বিনিয়ে স্বৈরাচারের পক্ষে কথা বলে ,ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ হওয়াতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

দ্বীনদার জীবন সঙ্গিনী

লিখেছেন সামিউল ইসলাম বাবু, ০২ রা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১২:১৩

ফিতনার এই জামানায়,
দ্বীনদার জীবন সঙ্গিনী খুব প্রয়োজন ..! (পর্ব- ৭৭)

সময়টা যাচ্ছে বেশ কঠিন, নানান রকম ফেতনার জালে ছেয়ে আছে পুরো পৃথিবী। এমন পরিস্থিতিতে নিজেকে গুনাহ মুক্ত রাখা অনেকটাই হাত... ...বাকিটুকু পড়ুন

জাতির জনক কে? একক পরিচয় বনাম বহুত্বের বাস্তবতা

লিখেছেন মুনতাসির, ০২ রা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৮:২৪

বাঙালি জাতির জনক কে, এই প্রশ্নটি শুনতে সোজা হলেও এর উত্তর ভীষণ জটিল। বাংলাদেশে জাতির জনক ধারণাটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ, যেখানে একজন ব্যক্তিত্বকে জাতির প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে মর্যাদা দেওয়া হয়। তবে পশ্চিমবঙ্গের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×