আমি ধারণা করেছিলাম বাংলাদেশ সমুদ্র বিজয় করেছে। আন্তর্জাতিক আদালত বাংলাদেশের পক্ষে রায় দিয়েছেন। কিন্তু আজ বিন্পির খন্দকার মোশাররফ ত বললেন ভিন্ন কথা। সমুদ্র গবেষক এবং এই বিষয় জানা লোকদের আমার কনফিউশন দূর করার অনুরোধ করছি।
সমুদ্রসীমা বিষয়ে বাংলাদেশ সরকার ঠকেছেঃ খন্দকার মোশাররফ
প্রধান বিরোধী দল মনে করে, বঙ্গোপসাগরের অধিকার নিয়ে মিয়ানমারের সঙ্গে মামলায় সমুদ্র আইন বিষয়ক আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালে বাংলাদেশ সরকার ঠকেছে। এ বিষয়টি আড়াল করতেই ক্ষমতাসীনরা উৎসব করছে মন্তব্য করে আদালতের পূর্ণাঙ্গ রায় জনম্মুখে প্রকাশের দাবি জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
শনিবার দুপুরে এক আলোচনা সভায় তিনি বলেন, “সমুদ্র বিজয় নিয়ে সরকার উৎসব করছে। অন্যদিকে মিয়ানমারেও বিজয় উৎসব চলছে। বঙ্গোপসাগরে সীমানার দাবিতে বাংলাদেশের অর্জনের চেয়ে বিসর্জন বেশি হয়েছে। আমি মনে করি, সমঝোতা করতে গিয়ে বাংলাদেশ ঠকে এসেছে। সেজন্য সরকার জনগণকে বিভ্রান্ত করতে এখন সমুদ্র বিজয় উৎসব করছে।”
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত আলোচনা সভায় খন্দকার মোশাররফ বলেন, “বিচারক তার রায়ে বলেছেন, উভয় দেশই কিছু লস কিছু গেইন করেছে। এ কথা থেকে বোঝা যায়, বাংলাদেশ কী পেয়েছে, কী হারিয়ে এসেছে।”
তিনি আরো বলেন, “ইন্টারনেটের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক আদালতের রায়ের তথ্য থেকে আমি জেনেছি, মামলায় আমরা বঙ্গোপসাগরের যে দাবি করেছিলাম, তা অর্জিত হয়নি। আমরা অনেক কিছু হারিয়ে এসেছি। পূর্বাঞ্চলীয় ৩/৪ ব্লকের বিষয়ে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব থাকবে না।”
মিয়ানমারের সঙ্গে সমুদ্রসীমার বিষয়টি সুরাহা করতে ২০০১ সালে বিএনপিই জাতিসংঘে দাবি উপস্থাপন করেছিল উল্লেখ করেন তিনি। তিনি বলেন, তখন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আলাদা ডেস্ক গঠন করা হয়েছিলো।
আন্তর্জাতিক আদালতের রায়ে সরকার বিজয় উৎসব করায় ক্ষোভ প্রকাশ করে সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, “মিয়ানমারের সঙ্গে বিরোধ নিষ্পত্তিতে আমরা কী পাইনি তা খালি চোখে দেখা যাবে না। গঙ্গার পানি বণ্টন চুক্তিতে আমরা যেভাবে ন্যায্য হিস্যা থেকে বঞ্চিত হয়েছি, ঠিক একই অবস্থা হয়েছে মিয়ানমারের সঙ্গে সমুদ্র সীমার ক্ষেত্রেও।” তিনি প্রশ্ন রাখেন- বাংলাদেশেরই যদি বিজয় হয়ে থাকে, তাহলে মিয়ানমার কেন উৎসব করছে?
এটা কি নিছকই একটি রাজনৈতিক বক্তব্য নাকি এর মধ্যে সত্যতা আছে তা জানতে চাই।