সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরণঃ মুভি দেখা একটা জটিল রোগ। এই রোগ একবার যারে ধরে তার আর রেহাই নাই। রাতের ঘুম অবশ্যই হারাম এবং রাতে ঘুম না হওয়ার দরুন সারাদিনের ক্লান্তি এবং মেজাজ খারাপ আপনার বাড়তি পাওয়া।
প্রতি মাসেই মুভি'র জন্য আমার ক্ষুদ্র একটা বাজেট থাকে আর থাকে সময় সাপেক্ষে ডাউনলোড করা মুভি। দুইটা অপশন যখন শেষ হয়ে যায় তখন যা পাই তাই দেখি। Law Abiding Citizen যা পাই তাই দেখি মার্কা একটা মুভি। কিন্তু ছবিটি দেখার পর মনে হল ইহা আমার লেপ্পুর হার্ড ড্রাইভে চূড়ান্ত জায়গা দখল করে নিল। মুভি'র শুরুর দিকটা একদম সাদামাটা বাংলা কাহিনীর মতো। তরুণ ইন্জিনিয়ার নায়ক শেলটন (বাটলার) তার চোখের সামনে খুন হয়ে যেতে দেখে তার স্ত্রী এবং মেয়েকে। সে নিজেও ছুরিকাহত হয়। প্রসিকিউটর নিক (জেমি ফক্স) দাবি করে ভিলেন ডারবি'র ব্যাপারে উল্লেখযোগ্য কোন প্রমাণ নেই। এরপরও উপযুক্ত প্রমাণ উপস্হাপন না করতে পারায় আসল খুনি'র দন্ড মওকুফ হয়ে যায়। এরপর মুভির কাহিনী ১০ বছর এগিয়ে যায়। দশ বছর পর আসল খুনি ডারবি কে ফোন কলের মাধ্যমে পুলিশের হাত থেকে বাঁচিয়ে নিয়ে যায় শেলটন। এরপর দেয় সাইকো স্টাইলে ভয়ংকর শাস্তি। নিজের ইচ্ছেতেই নায়ক ধরা দেয় পুলিশের কাছে। যারা ভাবছেন কাহিনী শেষ তারা চোখ কান খুলে বসুন। কাহিনী মাত্র শুরু। প্রিজন সেলে যাওয়ার পরেই শুরু হয় আসল কাহিনী। অসাধারণ জিনিয়াস এক ইন্জিনিয়ার গত দশ বছর যাবৎ কি প্লান করেছে এবং কিভাবে সে এগুলো বাস্তবায়ন করে আস্তে আস্তে সবকিছু পরিস্কার হবে আপনার কাছে। আইন যে একটা স্ত্রী লিঙ্গ ইহা সে সবার সামনে তুলে ধরতে চায়, কিন্তু মেয়ে-বউ হারিয়ে সে অতিমাত্রায় ভায়োলেন্স শুরু করে। চ্রম একশন-ড্রামা-আর ভায়োলেন্সের এক মুভি এই Law Abiding Citizen- না দেখলে মিস করবেন।
আইএমডিবি রেটিংঃ ৭.২
আমার রেটিংঃ ৭.৮
স্টেজভ্যু লিংক: এখানে