ফেব্রুয়ারির ৫ তারিখে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত আব্দুল কাদের মোল্লার রায় ঘোষণা করে।উল্লেখ্য তার বিরুদ্ধে কবি মেহেরুন্নেসা হত্যা, আলুব্দি গ্রামে ৩৪৪ জন মানুষ হত্যা সহ মোট ৬টি অপরাধের ৫টি প্রমাণিত হয়।কিন্তু এত অপরাধ করা সত্ত্বেও আদালত তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করে।এর চাইতে কম অপরাধ করেও বাচ্চু রাজাকারকে দেওয়া হয় ফাঁসির আদেশ।এই রায় সাধারন মানুষ মেনে না নিয়ে তার ফাঁসির দাবিতে শাহবাগে জড় হয়।প্রথমে অনলাইনে একটিভ ব্লগাররা এর শুরু করে।ধীরে ধীরে শাহবাগ সাধারন মানুষের গনজোয়ারে পরিনত হয়।সকল শ্রেণীর মানুষ এই আন্দোলনে শামিল হয়ে পড়ে।স্বাধীনতা বিরোধী রাজাকারদের বিচার পুরো বাংলাদেশের মানুষের দাবি এই গনজোয়ারি তাই প্রমান করে
ঘটনা ২
কিছুদিন আগে ১৫ই ফেব্রুয়ারি তারিখে মারা যায় থাবা বাবা নামের একজন ব্লগার।শাহবাগ মুভমেন্টের একজন সক্রিয় কর্মী ছিলেন তিনি।ব্লগার থাবা বাবাকে আমি খুব একটা চিনতাম না।এর আগে আমি নিজেও তার নাম শুনি নি।সে যেদিন মারা যায় সেদিনি আমি তার নিজস্ব ব্লগ,সামু ব্লগে তার অ্যাকাউন্ট,আমার ব্লগ ও ফেসবুক এ তার অ্যাকাউন্ট দেখি।সত্য বলতে কি এগুলো দেখার পরে খুবই হতাশ হয়েছি।আমি কিছুদিন আগে এক ভন্ড ভারতীয় হিন্দুকে নিয়ে পোস্ট দিয়েছিলাম এখানে যে নাস্তিকতার ভেক ধরে বাংলাদেশের বিভিন্ন ব্লগে ইসলাম বিদ্বেষ ছড়াচ্ছে।তার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট এ গিয়ে বুঝতে পারলাম থাবার সাথে উনার খুব ভাল বন্ধুত্ব ছিলো।জানলাম তার প্রপিক থাবা বাবাই পছন্দ করে দিয়েছিলো এখানে
দুর্গা পুজো নিয়েও তার যথেষ্ট আগ্রহ ছিলো এখানে
স্কিনশট দিলাম
পরিশেষে আমার কথাঃ রাজাকার,যুদ্ধাপরাধী,স্বাধীনতা বিরোধী এদের বিচার আমরা বাংলাদেশের সবাই চাই।এটা শুধু কোন নাস্তিকের দাবি নয় এটা বাংলার সবার দাবি।এ দাবি মুসলিম,হিন্দু,বৌদ্ধ,খ্রিস্টান সব বাঙ্গালির।তাই আমি বেক্তিগতভাবে বিশ্বাস করি শাহবাগ আন্দোলনে শুধু নাস্তিকদের এই জন্য নয়।তাই থাবার বাবার ২০১০ বা তারও আগের লেখা এই আন্দোলনকে মাঠে মারা যেতে দেবেন না।আসুন ৭১ এর মত আরও একবার আমরা গর্জে উঠি
বাংলার হিন্দু,বাংলার মুসলিম,বাংলার বৌদ্ধ,বাংলার খ্রিস্টান
আমাদের সবার পরিচয় এক
আমরা সবাই বাঙালি