মধ্যবিত্ত পরিবারের বইখা যাওয়া পোলা আমি (আপাতত নিজেরে ফেরেশতা মনে করি



পাসপোর্ট টিকিট হাতে নিয়া বাপেরে কদমবুচি করার সময় বাবায় বলে, এই বয়েসেই ত পোলাপানে ভুল করে, তুই না হয় করচোস। সব ঠিক হইয়া যাইবো, আবার নতুন কইরা সব শুরু কর। এখনো সময় আছে বিদেশ যাইছ না। হাইসা বাপেরে বলছিলাম তা কি হয় ? আমার ফেরেশতার মতন বাপের চোখে পানি ঝরাইছিলাম আমি। আমার তখনো কোন দুঃখ লাগেনাই।
ঈদের দিন সকালে নামাজ পইরা আইসা একটানা ৩৫ টা টয়লেটের গু সাফ করছিলাম ; হাতে এখনো গুয়ের গন্ধ করে। ১২ ঘন্টা একটানা ভিনেগার মিশাইন্যা গরম পানিতে ডাষ্টার ভিজাইয়্যা গ্লাস ওয়াইপ করতে করতে হাতে ফোস্কা উঠাইছি। তখনো আমার কোন দুঃখ লাগেনাই। কাঁনধে ২০ লিটারের ক্যান আর হাতে আরো একটা ২০ লিটারের ক্যান নিয়া “মইয়্যা মইয়্যা” চিল্লাইয়্যা চিল্লাইয়্যা একটানা ৫৬ ঘন্টা পানি বেচছি ইয়া নফসীর মাঠে। আমার তখনো কোন দুঃখ লাগেনাই। জানতাম তারে পাইতে হৈলে আমারে আরো অনেকদুর পথ পাড়ি দিতে হবেক !!
সবকিছু গুছাইয়া নিছিলাম। মায়ে আশায় বুক বাঁনছে, মাঝরাতে আমাদের বাড়ীর সামনে ফকফকা আলোয় দমদমিয়ে আবারো চলবে রেকেট কর্ক এর তান্ডব, আমার মটরসাইকেলের ভটভট শব্দ আবারো দুঃশ্চন্তিতার ঢেউ তোলবে মায়ের মনে। খবরটা তারেই দিতে গেছিলাম। শুনি............ সে অন্যের ঘরের ঘরনী।
দেশে আর যাওয়া হয়নাই। মায়ের ছেলে দেখার আশা আর পূরন হয়নাই। যে মায়ে দুনিয়া দেখাইছে সে মায়েরে আবারো কান্দাইছি আমি। আমার তখনো কোন দুঃখ লাগেনাই। কি হারাইছি, কি হারাইছি শোক ভুলতে মাতাল হৈয়া গাড়ী চালাইতে গিয়া ২ ইঞ্চি নাকে ৫ টা সিলাই নিয়া হসপিটালের নার্সেরে ৭ দিনের সখী বানাইছি। আমার তখনো কোন দুঃখ লাগেনাই। আমার কোন ক্লেশ লাগেনাই তার বাপের সামনে বুক ফুলাইয়া হাঁটতে পারিনাই বইলা।
আমার তখনি দুঃখ লাগে যখন শুনি আমার এত কষ্টের বিনিময়েও সে নিজেরে সুখি বানাইতে পারেনাই।
"আমার ব্লগ" থাইকা পেষ্ট মারছি