ল্যাম্পপোষ্টের আলো-ছায়ায় ফুটপাতে জড়ো হয়ে শুয়ে আছে মানুষগুলো। নিরব, নিঃসংশয় ঘুম। তাদের আয়োজন লক্ষ্য করলে মনে হবে পৃথিবীটাকে যতটা অসুখী মনে করি, ততটা আসলে ঠিক নয়। নির্ঘূম কেউ নেই আশে পাশে। তার মাঝে, এককোনে মলিন মুখে রঙ মেখে চুপচাপ বসে আছে এক দেহপসারিনী। আজ তাকে কেউ এখনও গ্রহণ করেনি। এখন অপেক্ষার পালা। হয়তো ওই টাকা নিয়ে সে বাড়ি ফিরে যাবে। হয়তো তার শিশু একটা সন্তানও আছে, যে মায়ের পথচেয়ে বসে আছে। কিংবা কেঁদে কেঁদে সে এতক্ষনে ঘুমিয়েও গেছে। জীবন বেশ বিচিত্র, সুন্দর; কিন্তু বড্ড নিষ্ঠুরও।
হঠাৎ বৃষ্টি নামে। বাতাস আসে, ভেজা স্যাঁতস্যাঁতে, প্রবল, সব কিছু উড়িয়ে নেবার মত ক্ষমতা তার। ভেতরের বর্ষণ এর আয়োজনের কাছে যেন কিছুই না! আমি ভেসে যাই। সহজেই। অত্যাধিক উল্লোসিত আমার ভাব দেখে ভেতর থেকে একজন বলে ওঠে, ' পথে যারা শুয়ে ছিল তাদের খুব কষ্ট হচ্ছে, দ্যাখ?'
ভুলেই যাই, বৃষ্টির সৌন্দযর্্য কিংবা প্রয়োজন সবার জন্য নয়।
---[ 21/9/06ইং ]---
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে ডিসেম্বর, ১৯৬৯ সন্ধ্যা ৭:০০