রমজান সমাগত। আল্লাহ আমাদের সবাইকে রমজানের রহমত বরকত দান করুন। রমজানে একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত তারাবী নামাজ। আলহামুলিল্লাহ, আমাদের দেশের অনেক মসজিদে খতম তারাবী পড়া হয়। তারাবী নামাজে হফেজগণ প্রতিদিন এক থেকে দেড় পারা কোরআন তেলওয়াত করেন। আমরা সাধারণ মানুষ অনেক কষ্ট ও ধৈর্য্য সহকারে তা শ্রবণ করে থাকি। কিন্তু তারাবী নামাজে পঠিত তেলওয়াত কতটুকু সুন্নাহ মোতাবেক হয় তা কী কখনও আমরা ভেবে দেখেছি? তারাবী নামাজে যে দ্রুত গতিতে তেলওয়াত করা হয় তা কী কোরআন হাদীস মোতাবেক হচ্ছে? অন্যান্য মুসলিম দেশে কীভাবে তারাবী নামাজ পড়া হয়? কোরআন তেলওয়াতের পদ্ধতি হচ্ছে ধীর গতিতে পড়া। এক্ষেত্রে পবিত্র কোরআনে ''তারতীল'' শব্দটি ব্যবহৃত হয়েছে। যেহেতু কোরআনের আদেশ অবশ্য কর্তব্য। তাই যে কোন সময় (নামাজের ভিতর ও নামাজের বাইরে) কোরআন তেলওয়াত ধীরে করা অতি জরুরী। এখন আমার প্রশ্ন হচ্ছে এদেশে অধিকাংশ মসজিদে যে অসম্ভব দ্রুত গতিতে তারাবীর নামাজ পড়া হয় তা কী আমাদের জন্য সওয়াব বয়ে আনে নাকি গুনাহ লেখা হয়?
আমি আলেম নই, একজন সাধারন মানুষ। এদেশের সম্মানিত হাফেজ, আলেম ওলামা এবং সাধারণ মানুষের কাছে বিনীত নিবেদন, আমাদের তারাবীর নামাজে কোরআন তেলওয়াত যেন প্রকৃত সুন্নত মোতাবেক হয়। এতে তারাবীর নামাজ পড়া কিছুটা দেরী হতে পারে। দ্রুত পড়ে গুনাহ কামাই করার চেয়ে ধীরে ধীরে পড়ে সওয়াব কামাই করা উত্তম। যারা অসুস্থ, কর্মব্যস্ত বা অন্য কারণে দীর্ঘক্ষণ নামাজে দাড়াতে পারবেন না তাদের জন্য ছাড় আছে, বিশ রাকাতের জায়গায় ষোল বা বার বা আট রাকাত পড়া যেতে পরে। আল্লাহ আমাদের সঠিক এলেম দান করুন।
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৪:২৭