ছাত্রছাত্রীরা সারারাত মোবাইলে বাজে ফ্রেন্ডদের সাথে গল্প করে হাজার হাজার টাকা অপচয় করতে পারে। কিন্তু বাস ভাড়া দিতে গেলেই ছাত্র হয়ে যায়। সবসময় ছাত্ররা ৫-১০ টাকা বাচাঁনোর জন্য বড় বড় সংঘর্ষ র্সৃষ্টি করে। অথচ আমি কোন ছাত্রকেই বাবা-মার কাছ থেকে একটা টাকাও কম নিতে দেখি না। বরংচ বিভিন্ন সময় সেশন ফি, পরীক্ষার ফি, বই কেনা,প্রাইভেট টিউটরকে দেয়ার জন্য অতিরিক্ত টাকা নিয়ে অপচয় করতে দেখি। খুব কষ্ট লাগে যখন দেখি ছাত্র-ছাত্রীরা বাবা-মায়ের কষ্টার্জিত টাকা বিপথে খরচ করছে। তারা কোনভাবেও জানেও না বা বুঝেও না, তাদের বাবা-মা কত কষ্ট করে কখনও বসের ঝারি খেয়ে, কখনও ওভারটাইম করে টাকা উপার্জন করে। নিজের রক্ত পানি করা উপার্জন নিজে খরচ না করে তুলে দেয় সন্তানের হাতে। আর সেই সন্তান বাবা-মাকে ফাঁকি দিয়ে নিজেকে অনেক চালাক মনে করে। ভাবে বাবা-মায়েরা বোকা, পুরাতন যুগের মানুষ, আর তারা ডিজিটাল যুগের মানুষ। অনেকক্ষেত্রে ছাত্র-ছাত্রীদেরকে টাকা সংক্রান্ত ব্যপারে বাবা-মায়ের সাথে খারাপ ব্যবহার করতে পর্যন্ত দেখি। তখন শুধু রক্ত টগবগ করে ওঠে, বলতে ইচ্ছা করে বেয়াদবগুলারে বাড়ি থেকে বের করে দিন, বুঝে আসুক বাইরের পৃর্থিবী কত নির্মম, বেঁচে থাকাও কত কষ্টের। কিন্তু বাব-মা বড় মায়া করে,বড় আদর করে সন্তানদের। আর এই মায়াকে সন্তানরা দেখে বাবা-মায়ের দুর্বলতা হিসেবে।
যারা বাবা-মায়ের পয়সায় দামী পোষাক পড়ে, দামী মোবাইল ফোন ব্যবহার করেন, অহেতুক মোবাইলে টাকার অপচয় করেন আর বলেন "বন্ধু ছাড়া লাইফ ইম্পসিবল" তাদেরকে (স্টুডেন্ট) বলছি, নিজে উপার্জন করে আপনার জাস্ট এক মাসের মোবাইল খরচ জোগাড় করেন। পরের মাসে আপনার মোবাইল বিল কমে যাবে তিন চতুর্থাংশ। কারণ কষ্ট করে উপার্জন করা টাকা অপচয় করতে পারবেন না কিছুতেই। তাহলেই বুঝে যাবেন বাবা-মারও কষ্ট লাগে তাদের কষ্টের টাকা যখন আপনি অপচয় করেন।
তাই শুধু একটা কথাই বলব, আপনিও একদিন বাবা অথবা মা হবেন, তাদের কষ্টটা একটু বুঝেন, আর কখনও বাবা-মাকে কষ্ট দিয়েন না।
বি:দ্র: পোস্টটি মধ্যবিত্ত ও নিম্নমধ্যবিত্ত ছাত্র-ছাত্রীদেরকে উদ্দেশ্য কর লিখা।