আজকের দিনটা অনেক আনন্দে কাটলো। অফিস থেকে বাসায় ফিরে নিজেকে কেমন যেন খুব সুখী মনে হচ্ছে। আগামী কাল ছুটি, তাই সকালে উঠে প্রতি দিনের মত তাড়া থাকবে না এটাও হয়তো একটা কারন। ছুটির আগের দিন রাত জাগতে বেশ ভাল লাগে। আজ একটা জার্নির অভিজ্ঞতা শেয়ার করবো। জার্নিটি ছিল চিনের হাংজু (Hanzhou) শহর থেকে সাংহাই শহর পর্যন্ত।
হাংজু শহরের আমরা (আমি ও আমার স্যার) ছিলাম হাই-ওয়া-হাই হোটেলে। আমাদের গাইড ছিল মিঃ লিও জু। সকালের নাস্তা শেষ করে ৯ টায় গাড়িতে করে বের হলাম হাংজু রেলষ্টেশনের উদ্দেশ্যে। আকাশ আগে থেকেই মেঘলা ছিল, কিছু দুর যাবার পরই অঝড় ধারায় বৃষ্টি পড়তে শুরু করলো। মনে মনে ভাবলাম যাক চীনদেশের বৃষ্টি ও দেখা হলো। ৪০ মিনিট পর পৌছালাম হাংজু রেলওয়ে ষ্টেশনে।
১. হাংজু রেল ষ্টেশন
সেদিন ছিল টানা দুই দিন ছুটির প্রথম দিন। তাই ষ্টেশনের ভিতরে উপচে পড়া ভিড়। অনেক গুলো টিকেট কাউন্টার, প্রতিটি কাউন্টারের উপরে ইলেকট্রনিক্স ডিসপ্লে বোর্ডে পরবর্তী ট্রেনের গন্তব্য ও সময় নির্দেশ করছে। আমার লক্ষ্যকরার মত বিষয় ছিল সবাই সুশৃংখল ভাবে লাইনে দাঁড়ান। কোন ঠেলা-ধাক্কা বা চেচামেচি নাই।
২. টিকেট কাউন্টার
বিদেশীদের জন্য আলাদা টিকেট কাউন্টার, পাসপোর্ট দেখিয়ে আমাদের টিকেট সংগ্রহ করতে হলো। টিকেটের গায়ে পাসপোর্ট নাম্বার ও প্রিন্ট হয়ে আসলো।
৩. এরপর ট্রেনে ওঠা। কামড়ার ভিতরটা দেখে বেশ ভাল লাগছিল। বিমান ক্রুদের মত ইউনিফর্ম পড়া সুন্দরী ট্রেন-বালা ছিল।
ট্রেন চলতে শুরু করলোঃ জানালা দিয়ে কিছু দৃশ্য দেখা যাক…
৪. চলতি পথে একটি রেল স্টেশন।
৫. রেল লাইন।
৬. জানালা দিয়ে দেখা যায় সু-প্রশস্ত জট বিহীন রাস্তা।
৬. সারি সারি বাড়ি।
নদীর পাড় টা তো আমাদের মতই।
৭. কামড়ার দুই প্রান্তে উপর দিকে ডিসপ্লে বোর্ড এ ট্রেনের তাৎক্ষনিক গতি, পরবর্তী স্টেশনের নাম প্রদর্শিত ও স্পিকারে ইংরেজী ও চীনা ভাষায় ঘোষনা করা হচ্ছিল।
এখন গতি ৩৪৯ কি.মি/ঘন্টা !
৮. ২০২ কি.মি দুরত্ব ঘন্টা থানিক সময়ে অতিক্রম করে পৌছালাম সাংহাই হনকাইয় রেল-ষ্টেশনে। পরিষ্কার ঝকঝকে ষ্টেশনের প্লাটফর্ম।
৯. এই ট্রেনে করেই এসেছি।
১০. ট্রেনটি একটু কাছ থেকে দেখা (২)
১১. সাংহাই ষ্টেশনের বাহিরের দৃশ্য। (২)
১২. শেষ হলো আমার জীবনের রোমাঞ্চকর ও স্মরনীয় এক জার্নি। এমন রোমাঞ্চকর স্বাধ ১ দিন পর আবার পেয়ে ছিলাম সাংহাই থেকে হাংজু ফিরে যাওয়ার সময়।
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:১৩