মোস্তাফিজুর রহমান।বিশ্ব ক্রীড়াঙ্গনে দ্রুত সময়ে নিজের যোগ্যতাকে তুলে ধরে বাংলাদেশকে ক্রিকেটে এক নতুন উচ্চতায় পৌছে দিতে এক নতুন ইতিহাসের নাম। পরিচয় দেয়ার মত অবশিষ্ট কিছুই নেই।কাটার,বিষ্যয়কর বালক,অল্পসময় অধিক
উইকেটের মালিক,হ্যাভিওয়েট ব্যাটসম্যানদের আতংক, অনেক দেশের চক্ষুশূল। IPL, PCL, CCL, বিগব্যাশের মত জনপ্রিয় লীগে যাকে নিয়ে টানা টানি। সে কাটার কিন্ত জিম্বাবুয়ের সাথে ২য় টি২০ তে নিজের স্পেল শেষ করতে পারেনি। ৩.৫ বল করে ১৯ রান দিয়ে ২ টি উইকেট নেন এ দেশ সেরা কাটার। কিন্ত শেষ বল না করে হাতের ডানায় ব্যাথানিয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান ।
মূলত মোস্তাফিজের আগমনেই গত বছর
বাংলাদেশ ক্রিকেটে সোনালী বছর পার করে। নিজেদের মাঠে চারটি টেস্টনেশন কে সিরিজ হারাতে হয় টাইগারদের হাতে।ফলে বছর শেষে সে পুরুস্কার দিতে ভুল করেনি আইসিসি। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইনার দল হিসাবে নির্বাচিত হয় তারা। পিছনে ফেলে একমাত্র অস্ট্রেলিয়া ছাড়া ভারত, ইংল্যান্ড,নিউজিল্যান্ড আর সাউথ আফ্রিকার মত বাঘা বাঘা দলকে।বাংলাদেশ অর্জন করে চ্যাম্পিয়ন ট্রপিতে খেলার যোগ্যতা।দীর্ঘদিন পরে যায়গা করে নেয় সপ্তম স্থানে।
এর পিছনে কিন্ত সে কাটারের হাত তবে দলের অন্য সদস্যদের পারফর্ম কিন্ত খাটো করে দেখার অবকাশ নেই। সবার সম্মেলিত উদ্বোগেই সাফল্য এসেছে।তবে কাটারের
আবির্ভাব ভিন্নতা নিয়ে এসেছে। বিশ্ব একাদশে প্রথম বাংলাদেশী হিসাবে সুযোগ পেয়ে দেশকে সম্মান এনে দিয়েছে বিশ্ব দরবারে।
কিন্ত সে মোস্তাফিজের বয়স কত?
সে দিকে কি খেয়াল আছে ক্রিকেট কর্মকর্তাদের। শুধু একটা জয় পাচ্ছি আর সাথে সাথে সবাই আনন্দে গা ভাসিয়ে উম্মাদ হয়ে যাচ্ছি খুশিতে। অবশ্যই যে কোন জয় আমাদের সমগ্র জাতিকে এক সাথে হাসায়।
কিন্ত এত অল্পবয়সে অধিক চাপ কি বইতে পারছে মোস্তাফিজ!!!
যে এখনো নিজের ভাল মন্দ বা শরিরের যত্ননেয়ার মত ক্ষমতা রাখে না, যে বুঝে না তার ক্রিকেটিয় অধিকার। যখন নিজের শেষ
ওভারের পঞ্চম বল করতে গিয়ে উইকেট পান আমরা সবাই জয়ের জন্য মরিয়া কিন্ত মোস্তাফিজ যে হাতের ডানায় জখম পেয়েছেন সে দিকে কি কেউই খেয়াল করেছেন? না করেন নি।
যার দায়িত্ব ছিল সর্বাধিক, যিনি দলপতি যাকে অন্যরা অনুকরন হিসাবে গ্রহন করে সে ম্যাশ ও বিষয়টি আচঁ করতে পারেন নি।অবুঝ মোস্তাফিজ নিজের উপর অর্পিত দায়িত্ব শেষ করতে চরম ব্যথা নিয়েও যখন বল হাতে তুলে নেয় তখনই বিষয়টি তামিমের দৃষ্টিতে আসে। শেষে শেষ বল না করেই মাঠ ছাড়ে এ কৃতিমান বোলার।
পরিশিষ্টঃ
মোস্তাফিজ আমাদের জন্য হিরা/মাণিক, সাফল্য অর্জনের খনিও বটে। সময় এখনই এই মূল্যবান সম্পদটিকে টিকিয়ে রাখার। দায়িত্ব শীলদের আরো যত্নবান হতে হবে মোস্তাফিজের প্রতি ।বয়সের কথা চিন্তা করে তার উপর থেকে চাপ অনেক কমিয়ে নিতে হবে।সময় দিতে হবে নিজেকে পরিপূর্ণ করে গড়ে তোলার।আশার কথা হচ্ছে পরবর্তী দু'ম্যাচ তাকে রেষ্ট দেয়া হয়েছে। পিসিএলে খেলার ব্যাপারেও বিসিবি আপত্তিকরেছে। প্রয়োজনে বিসিবি মোস্তাফিজের আর্থিক ক্ষতি পুষিয়ে দিবে, তেমন টা আমরা কামনা করি।
একটি ফুল যেন ফোটার আগেই ঝরে না যায় সে দিকে নজর রাখার জন্য বিসিবি ও বিশেষজ্ঞ মহলের প্রতি রইলো দেশবাসী কোটি ক্রিকেট প্রেমীদের পক্ষ থেকে আকুল আবেদন। সেই সাথে দ্যা বিগ টাইগার কাটারবয় মোস্তাফিজের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি।
®সিলেট থেকে....
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৯:০৯