somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মদিনা সনদের অসামপ্রদায়িক চেতনা

১৪ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১০:৫৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

মক্কাবাসী মহানবী (সা.) ৬২২ খ্রিস্টাব্দে ইয়াসরিব উপত্যকাতে হিজরত করেন। তাঁর হিজরতের মাধ্যমে ইসলাম আধ্যাত্মিক জগতের পাশাপাশি রাজনীতির জগতেও প্রবেশ করে। পি কে হিট্রি তার 'হিস্ট্রি অব দি আরবস' গ্রন্থে হিজরতকে মোহাম্মদ (সা.)-এর জীবনের মোড় পরিবর্তনকারী ঘটনা বলে অভিহিত করেছেন। অন্যদিকে সৈয়দ আমীর আলী তার 'দ্য স্পিরিট অব ইসলাম' গ্রন্থে এ ঘটনাকে মদিনাবাসীর জন্য নতুন শতাব্দীর সূচনা হয়েছে বলে মন্তব্য করেন। প্রিয় নবী (সা.) মক্কা থেকে মদিনাতে হিজরত করার পর সমকালীন পরিস্থিতিকে বিবেচনা করে আনসার ও মোহাজিরদের মধ্যে একটি চুক্তি লেখেন। এ চুক্তিটিতে তিনি ইহুদিদেরও অন্তর্ভুক্ত করেন। আনসার-মোহাজির-ইহুদিসহ সমগ্র ইয়াসরিবের জনগণের জন্য তিনি যে সনদ প্রদান করেন তা ইতিহাসে মদিনা সনদ নামে পরিচিত। ইসলামের ইতিহাসে ম্যাগনাকার্টা খ্যাত মদিনা সনদকে ঐতিহাসিকরা বিশ্ব (বাকি অংশ ২৭ পৃষ্ঠায়)
(২৮ পৃষ্ঠার পর)
ইতিহাসে সর্বপ্রথম লিখিত সংবিধান বলে স্বীকৃতি প্রদান করেছেন।
ইয়াসরিববাসীর সঙ্গে স্বাক্ষরিত এ সনদের মাধ্যমে ইসলামী রাষ্ট্রের ভিত্তি স্থাপিত হয়। এ সনদই ইসলামের নবী হজরত মোহাম্মদ (সা.)-কে নবপ্রতিষ্ঠিত মদিনা রাষ্ট্রের সর্বময় কর্তৃত্ব প্রদান করে। এ সনদ স্বাক্ষরিত হওয়ার পর ইয়াসরিব উপত্যকার নাম পরিবর্তিত হয়ে মদিনাতুন্নবী বা নবীর শহর নাম ধারণ করে। পরে এ শহরই মদিনা নামেই জগৎময় পরিচিতি লাভ করে।
প্রায় সমসাময়িক ইতিহাসবিদ ইবন হিশাম (রহ.) তার সিরাতুন্নবী (সা.) গ্রন্থে এ সনদের ৫৩টি ধারার বর্ণনা করেছেন। [দ্র. ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ থেকে বাংলা ভাষাতে অনূদিত এ গ্রন্থের দ্বিতীয় খ-ের (ঢাকা : ১৯৯৪) পৃ. ১৬৩-১৭১)]। তবে উইলিয়াম মন্টেগোমারি ওয়াট তার 'মোহাম্মদ অ্যাট মদিনা' গ্রন্থে এ সনদের (পৃ. ২২১-২২৫) ৪৭টি ধারা উল্লেখ করেছেন। যা হোক, এ সনদের মাধ্যমেই মহানবী (সা.) ধর্ম, বর্ণ, জাতি, উপজাতি নির্বিশেষে সকলকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধ রাষ্ট্র ব্যবস্থা গড়ে তুলেছিলেন। তিনি যে রাষ্ট্র ব্যবস্থার কা-ারি ছিলেন সেই রাষ্ট্রে সকল মানুষের সমান অধিকার সুনিশ্চিত হয়েছিল। তিনি ছিলেন অসামপ্রদায়িক চেতনার মূর্ত প্রতীক। তিনি সকলের সমন্বয়ে রাষ্ট্র পরিচালনা করতেন। এ সনদে মদিনাবাসী ইহুদি, খ্রিস্টান, মাজুসি, অগি্ন উপাসক অর্থাৎ সনদে স্বাক্ষরিত সকল সম্প্রদায়কে উম্মাভুক্ত বলে ঘোষণা করা হয়। এ সনদের ১নং ধারাতে বলা হয়েছে_ 'তারা সকলে মিলে সকল জাতি থেকে পৃথক একটি উম্মা।' আর উম্মাভুক্ত সকল ধর্ম ও বর্ণের মানুষের মদিনা উপত্যকাতে বসবাসের অধিকার রয়েছে। এ বিষয়টি সনদের ৩৯নং ধারাতে বলা হয়েছে। এ ধারার মাধ্যমে মূলত তিনি মদিনাকে সামপ্রদায়িকতার বিষবাষ্পে বিষাক্ত হওয়া থেকে রক্ষা করেছেন।

বিস্তারিত মূল লেখায় পড়ুন
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কাশ্মীরে বন্ধুকধারীদের হামলায় ২৬ জনকে হত্যা; নেপথ্যে উগ্রবাদী মোদীর বিতর্কিত কাশ্মীর নীতি!

লিখেছেন নতুন নকিব, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ৮:২২

কাশ্মীরে বন্ধুকধারীদের হামলায় ২৬ জনকে হত্যা; নেপথ্যে উগ্রবাদী মোদীর বিতর্কিত কাশ্মীর নীতি!

পেহেলগাম, ছবি গুগল থেকে প্রাপ্ত।

কাশ্মীরে অন্তত ২৬ জন পর্যটক নিহত হয়েছেন, যা সাম্প্রতিক বছরগুলোর সবচেয়ে মারাত্মক হামলা। বিশ্লেষকদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিসর্জনের ছাই

লিখেছেন রানার ব্লগ, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ১১:০৯




একদিন দগ্ধ ঘাসে ভালোবাসা পুড়িয়ে দেব।
সর্বাংগে ওর ছাই মেখে আমি বৈরাগ্য নেব।
রগড়ে রগড়ে ধুয়ে ফেলব শ্রবন মেঘের জলে।
কায়াটা কে শুকতে দেব তোমার বাড়ির উঠনে।

পায়ের নখে গজিয়ে উঠবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

কিছু আশা, কিছু হতাশা, কিছু বাস্তবতা

লিখেছেন ভুয়া মফিজ, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৫ দুপুর ১২:০৯



বাংলাদেশ যেন একটা রোলার কোষ্টারে সওয়ার হয়ে চলছে এখন। প্রতিনিয়ত পরিস্থিতির পরিবর্তন হচ্ছে; একটা সংযোজন-বিয়োজনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে দেশ। আমরা সরকারের কর্মকান্ডে আশান্বিত যেমন হচ্ছি, তেমনি হতাশায়ও নিমজ্জিত হচ্ছি;... ...বাকিটুকু পড়ুন

=ইচ্ছে করে ঘুরে বেড়াই=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৫ দুপুর ১:১২


এই উষ্ণতায় ইচ্ছে করে ঘুরে বেড়াই নদীতে সমুদ্দুরে
বালুচরে হেঁটে বেড়াই,
ঢেউয়ে থাকি বসে, জল এসে ছুঁয়ে দিক আমায়,
হিম হাওয়া এসে ভাসিয়ে নিয়ে যাক সুখের সপ্ত আসমানে।

এই বৈশাখে ইচ্ছে করে পুকুরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আপনি শেষ কবে একটি বই পড়েছেন ?

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:২২


আজ ২৩ এপ্রিল, বিশ্ব বই দিবস। অনেকেই একে বলেন ‘বিশ্ব গ্রন্থ ও গ্রন্থস্বত্ব দিবস’। ইউনেসকোর উদ্যোগে ১৯৯৫ সাল থেকে দিনটি পালিত হয়ে আসছে বই, লেখক এবং কপিরাইট রক্ষার বার্তা নিয়ে।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×