এই যে এক একটা কাহিনীচিত্র দেখছি বিস্মিত বালিকার চোখে
এর অন্তরালেও আছে পাতালে বয়ে চলা নদীর বিবর্তন,
আছে ধীরে ধীরে অপার এক শূন্যতার ভেতর প্রাণের অস্তিত্ব জেগে ওঠা।
হয়ত ভাবছ এসব আমার বিনিদ্র রাতের বিক্ষিপ্ত প্রলাপ,
দুঃখ-বিষাদ কিংবা পচে যাওয়া লোকালয়ে দিবা-স্বপ্নের ঘোর !
যা খুশি ভাবতে পারো, অবারিত তোমার সে সুযোগ।
দেয়াল খামচে খামচে ভীত টিকটিকি অথবা আরশোলা দূরে ফেলে কোনোক্রমে পালিয়ে এসেছি,
দেয়াল এখন রক্তাক্ত, যেন চিত্রকরের তুলি থেকে ছিটকে আসা রঙের চিৎকার
রক্তাক্ত আমার নখ, পাঁজর, বুকের খোড়লে আড়াল হয়ে থাকা স্বপ্ন, সবকিছু ।
তবু মধ্যরাতের চন্দ্রালোকে মুক্ত হয়েছি অবশেষে। হ্যাঁ মুক্ত হয়েছি,
যদিও জানি না এ কেমন মুক্তি আমার, অজ্ঞাত মেঘ প্লাবিত আকাশে চাঁদের পরমায়ু !
এ আকাশ আমার পরিচিত প্রতিদিনকার সেই আকাশ নয় যে আমাকে বিশালত্বের ছায়া দিত
অন্ধকার থেকে উৎক্ষিপ্ত পাপাচারের অপগন্ধে বিলীন আমার চেতনার বহিরঙ্গ, দৃষ্টির মসৃণ পরাগ
সযতনে আগলে রাখা এত কালের পরিধেয় পোশাক, চুলের জট।
কত-কতদিন ভুলে আছি আমি তোমায় প্রিয় বারান্দা, আহা, আমার একান্ত ক্ষণের পৃথিবী
ঘর – গেরস্থালী, নিঃশ্বাস-প্রশ্বাসে অবিরাম গতিময় বিশ্বাসের অমরাবতী!
তবু নাস্তিকতার বোঝা বয়ে নিয়ে হেঁটে চলি উন্মন, গ্রাম থেকে গ্রামান্তরে
ফসলের ক্ষেত, ধান ছড়ানো উঠোন, মানচিত্রের সংজ্ঞা বদলে দেয়ার আশায়,
আবারো এক নতুন আরম্ভের আশায় বদলে যাই আমি, বদলে যাই, বদলাতে থাকি...
তোমাদের পাপমোচনের জন্যে হয়তো কোনো যুবতী বধূর কোল আলো করে
আমি আবার জন্ম নেবো, বারবার জন্ম নেবো !
ততদিন পর্যন্ত প্রিয় বন্ধুরা তোমাদের স্বপ্নের মতো ভুলো না আমায় !