ওদের হারানোর কিছু ছিলোনা। ছিলোনা অনেক কিছু পাবার আশাও। "লেখাপড়া করে যে, গাড়ীঘোড়া চড়ে সে" টাইপের চিন্তা করার বিলাসিতাও ওদের সাজতো না। শুধু জানতো, আমাকে সামনে আগাতেই হবে।
ছিলোনা যেমন অনেক কিছুই, তেমনি ছিলোও আবার অনেক।
ছিলো দারিদ্রের কষাঘাত, না পাওয়ার বেদনা, অসহায়ত্ব, অনিশ্চয়তা...........আর ছিল সামনে এগুবার প্রবল জেদ।
ওরা পেরেছে। সারা দেশ দেখেছে সেই মুখগুলো। জেনেছে, পোড়খাওয়া আর মলিন ওই মুখগুলোর আড়ালে লুকিয়ে আছে অন্যরকম কিছু গল্প। পরিসংখ্যানের বিচারে ওরা হয়তো সেই হাজারো শিক্ষার্থীর মিছিলে, যারা এসএসসি তে জিপিএ ৫ পেয়েছে। কিন্তু ওদের গল্পে ছিলোনা প্রাইভেট টিউটর রেখে পড়া কিংবা পড়ার সময় দুধ নিয়ে মায়ের দাঁড়িয়ে থাকা।
টিউবওয়েলের পানি খেয়ে দুপুর কাটাতো জাহিদ, মুক্তাদির পড়তো রাতে ল্যাম্পপোস্টের নিচে দাঁড়িয়ে, পরের বাড়ীর বারান্দায় ঘুমাতো শফিকুল, জোগালির কাজ করতো সালাম, ধার করা পাঠ্যবই পড়তে হতো তাপসের, একটি নয়, দুটি কিডনিই নষ্ট ভাষ্করের ................এগুলো শুধুই হেরে যাবার কোন গল্প নয়।
হার না মানা, মাথা নত না করা অদম্য সেই মেধাবী মুখগুলোকে সংবর্ধনা দেবে শিবির। আমাদের বিবেচনায় যা অসম্ভব, তা ই করে দেখিয়েছে ওই মুখগুলো। ভবিষ্যতের অসম্ভব কাজগুলোকে ওরাই হয়তো পারবে সবার আগে সম্ভব করতে।
রোল মডেল বলে যদি কিছু থাকে, সে তো ওরাই।
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই জুলাই, ২০০৯ রাত ৯:৩৪