১. ইদ্রিস কানা নামটি খুব চেনা আমাদের দু-চার গ্রামে।
তিনি অনেক বড় গায়ক ছিল।
বাউল গান,পালা গানে ছিল তার অনেক সুনাম।
তবে সে ছিল অন্ধ,তার পরও তার কন্ঠ-গান এক শ্রেনীর মানুষকে মুগ্ধ করেছে।
সুনেছি সে মঞ্চে উঠে (হা...) করে সুর দিলেই ভালো লাগত শ্রতাদের এবং মানুষ তাকে করতালি দিয়ে স্বাগত জানাত।
একবার সে রেকর্ডিং এ ডাক পায় কিন্তু সেখানে সফল হয় না।
কারন সুর-তাল রেকর্ড রুমের বাদ্যযন্ত্রের সাথে মিলাতে পারে না।
যেখানে থামতে হবে সেখানে থামতে পারে না -গানের তাল উঠলে গাইতেই থাকে।
#একবার দেখেছি আমাদের হাই স্কুলের সংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে, একটা মেয়ের কন্ঠ ভালো কিন্তু ড্রামের সাথে তাল দিতে পারছিল না।
তাই মিউজিসিয়ান তাকে অনেক পচিয়েছে...
২. অনেক দিন ইন্ডিয়া থাকার পরে দেশে ফিরেছে এলাকার ছেলে রাকিবুল।
এসে ফারজানা নামক একটা মেয়েকে বিয়ে করে।
শশুর বাড়ি বেড়াতে গিয়ে দেখে তার স্ত্রী গানের সুরে বলছে -
ডিজে আলমগীর...ডিজে আলমগীর...ডিজে আলমগীর।
এমন সময় পিছন থেকে রাকিবুলও বলে উঠল ডিজে শান্তি... ডিজে শান্তি...ডিজে শান্তি।
তার স্ত্রী ফারজানা হতভম্ব হয়ে গেল।।

কারন আলমগীর রাকিবুলের বাবার নাম ও শান্তি ফারজানার মায়ের নাম।
টিকা:- আসল কাহিনী হল- বর্তমান ডিজে গান গুলো এমন অবস্থা করেছে যেখানে গানের সুর তাল কিছু না বোঝা গেলেও গানের মধ্যে সেট করা ডিজে আলমগীর/ডিজে ভিকি এই রকম নামগুলো খুব সহজেই বোঝা যায়।
তাই ডিজে গান গুলো শুনে ওই নামগুলোই জপতে থাকে গানের ছলে কিছু লোক/বাচ্চারা...
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১২:০৪