আমার চেয়ে ভালো studentদের রেজাল্ট শুনে নিজের রেজাল্ট নিয়ে মন খারাফ করিনি। ভেবেছিলাম এবার হয়তো একটু কড়াকড়ি ভাবে উত্তরপত্র মূল্যায়ন করা হয়েছে। কিন্তু mark shit পর্যালোচনা করে কিছু কথা বলতে ইচ্ছে হল।
এই ফলাফলকে বিতর্কিত মনে করার যথেষ্ট কারন বিদ্যমান।
যে subjectএ ভালো কিছু আশা করিনি সেখানে ভালো করলাম আর যেটায় over confidenceছিল তাতে অবিশ্বাস্য খারাফ করেছি।
হ্যাঁ, চ্যালেঞ্জ করার একটা সুযোগ রয়েছে। কিন্তু জানামতে এটি সম্পূর্ণ অকার্যকর।
আমি চট্টগ্রাম বোর্ড অধিনে পরীক্ষার্থী ছিলাম। অভারঅল সারা দেশে ফল বিপর্যয় হয়েছে। সর্বোচ্চ বিপর্যস্ত বোর্ড হচ্ছে চট্টগ্রাম। কিন্তু কেন?
দ্বিতীয় রাজধানী খ্যাত এতো অত্যাধুনিক সুবিধা সমৃদ্ধ এই অঞ্চলকে পিছনে ফেলেছে বঞ্চিত অজপাড়াগাঁয়ের বোর্ড গুলো! তবে কি ভালো ফলাফলের জন্য উন্নত শিক্ষা বেবস্থার অবদান কমে গেল? নাকি এটা স্রেফ একটি রাজনৈতিক চক্রান্ত! দোষারোপের রাজনীতিতে ইতিমধ্যেই তার কিছুটা উপলব্ধি করা যাচ্ছে।
রেজাল্টের আগ পর্যন্ত এমন শুনেছি যে সরকারের শেষ মুহূর্তে কোন সরকারই চায়না ফল বিপর্যয় হউক। এতে তাদের প্রণীত শিক্ষা পদ্ধতির রুগ্নতার বহিঃপ্রকাশ হবে বলেই মনে করা হয়। কিন্তু এবার এমন হওয়ার কারন কি?
ধারাবাহিক ভাবে প্রতিটি শিক্ষা বর্ষ পূর্বেকার সাফল্যের রেকর্ড ভঙ্গ করে। কিন্তু এবার ধারাবাহিকতার রেকর্ডটিই ভঙ্গ হয়েছে।
একই প্রকার হরতাল বিড়ম্বনা তো sscতেও হয়েছে। কই, তাদের তো এমন হয়নি! নাকি এবারে সারাদেশের hsc পরীক্ষার্থীরা পড়ালেখায় মনযোগী ছিলনা!
প্রতিবারের ন্যায় গত ssc রেজাল্টে রেকর্ড ভঙ্গের ধারাবাহিকতা রক্ষার কারনে বর্তমান শিক্ষা বেবস্থা মারাক্তক সমালোচনার মুখে পড়ে। বিভিন্ন শিক্ষাবিদ তাদের বক্তব্যে একে প্রত্যেক ক্ষমতাসীন সরকারের অসদিচ্ছার প্রতিফলন বলে পরোক্ষ ইঙ্গিত করেছেন। অর্থাৎ উত্তরপত্র মূল্যায়নে সরকার হস্তক্ষেপ করে বলেই ধারনা তাদের। তবে কি জনগন এই হস্তক্ষেপের ভিন্ন রুপ দেখল এবার? অর্থাৎ, এক ঢিলে দুই পাখি!
তারা ঢিলাঢিলি করুক, এক ঢিলে দশ পাখি মারুক। কিন্তু আমাদেরকেই কেন ঢিল বানানো হল? কি অপরাধ ছিল আমাদের? এক পরীক্ষার প্রস্তুতি নিয়ে দিতে হল অন্য পরীক্ষা। কিছু পরীক্ষা আঞ্চলিক হরতালের মধ্যেও দিতে হয়েছে। এক পক্ষের নিপীড়নের পর প্রত্যাশিত ফলের বিপরীতে এলো অপরপক্ষের নিপীড়ন! এর কি কোন প্রতিকার নেই? সুশীল সমাজের কি কিছুই বলার নেই?