কিছু বিজ্ঞাপন বারবার দেখলেও বিরক্ত লাগেনা|
একটা মজার কিংবা শিক্ষনীয় ঘটনা উল্লেখ করে করা বিজ্ঞাপন গুলো তাই|
বাংলাদেশে সিম অপারেটর কোম্পানি গুলোর মাজে ব্যাপারটি লক্ষনীয়|
সাম্প্রতি একটি কোম্পানির জনসচেতনতা মুলক বিজ্ঞাপন জনসাধারনের মাজে ব্যাপক সাড়া পেলেছে|
তাদের বক্তব্যের মুল থীমটা হলো, কোন একটি ভালো কাজ ছোট্ট হলেও তা অবহেলা করা উচিত নয়| এভাবে বড় কোন ভালো কাজ করার স্বদিচ্ছা তৈরি হয় এবং তা অন্য অনেক কেও অনুপ্রানিত করে| আর এভাবেই তৈরি হতে পারে একটি জাতীয় ঐক্যের|
তাদেরকে সৌজন্য করে একটি প্রাইভেট রেডিও বিভিন্ন প্রকার ছোটছোট ভালো কাজের উল্লেখ করে বিজ্ঞাপন দিচ্ছে| যেমন, খালি ক্লাসরুমের লাইট বন্ধ করা, সিটিবাসে প্রবিনকে ছিট দেয়া ইত্যাদি|
অনেক্ষন চিন্তার পর আমি করি এমন একটি ডিফেরেন্স ভালো কাজের কথা মনে পড়লো| আর এটি শেয়ার করাই হলো এই পোষ্টের মুল উদ্দেশ্য|
ব্যাপারটি হয়তো অনেকেই জানে, তবে প্রয়োগ করতে দেখিনি কাউকে| অথচ প্রতিবার আমি রিকশাওয়ালার হাসিমুখ দেখেছি|
হ্যাঁ, ২-৩জন রিকশায় উঠলে রাস্তার উঁচু অংশের আগে একজন নেমে গেলে পুলার অনেক খুশি হয়| তবে আমার কাজটি এত বড় নয়|
উঁচুনিচু বা ভাংগা রাস্তায় রিকশা হঠাত হ্যাং হয়ে যায়|
অর্থাত চাকা ঢালু স্থানে আটকা পড়ে| এমতাবস্থায় পুলার তার পুরো ভর পেডেলের উপর রাখে এবং সমস্ত শক্তি দিয়ে ২হাতে হ্যান্ডেল উপরের দিকে টেনে ধরে পেডেলে অতিরিক্ত ভার যোগ করতে| ঠিক এই মুহুর্তে আপনি যদি কোমর উঠিয়ে পাদানিতে চাপ দিয়ে সামনের দিকে ঝাকুনি দেন তবে তাকে আর টেনে রিকশা উঠাতে নামতে হয়না|
খুব ছোট একটি কাজ অথচ ফলটা নিতান্ত ছোট নয়|
এখানে কেউ হয়তো নিউটনের সুত্রের উল্লেখ করে বলতে পারেন যে, সম্মুখে প্রয়োগক্রিত বলের সমান বল তো পরক্ষনেই পশ্চাতে ঠেলে দিবে!
হ্যাঁ, সমপরিমান বলের পতিক্রিয়া হবে ঠিক|
তবে তা পুলারের ভরকে উপেক্ষা করে প্যাডেলকে উল্টা ঘুরানোর সামর্থ রাখেনা|
এরকম আরো কিছু ছোটখাট ভালো কাজের উদাহরন জানতে চাই|
চর্চাই তো পারে উত্সাহ দিতে!
তাইনা?