সারা দেশে চলমান ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’- সম্পর্কে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছিলেন, অপারেশন ডেভিল হান্টে ছোট থেকে বড় সব শয়তান ধরা পড়বে। কেউ ছাড় পাবে না।।
এখন পর্যন্ত ৬ আগ্নেয়াস্ত্র এবং ধারালো অস্ত্রসহ রড, লাঠি উদ্ধার ৫৬ ও গ্রেফতার ২২৫৮! স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা নিজেই বলেছেন যে, অপারেশন ডেভিল হান্টে এখন পর্যন্ত আশানুরূপ অস্ত্র উদ্ধার হয়নি!! স্বরাস্ট্র উপদেষ্টার বিভিন্ন সময়ের কথাবার্তায় এটা স্পষ্ট যে আইন শৃংখলা বাহিনী উনার কথামত কাজ করছে না। পুর্বের স্বরাস্ট্র উপদেষ্টাও একই টোনে কথা বলতেন। দেশ এর বর্তমান আইন শৃংখলা পরিস্থিতি দেখলেই বোঝা যায় যে আইন শৃংখলা বাহিনী তাদের দ্বায়িত্ব পালিন করছে না । আসলে তাদের তেমন দোষ দেওয়া যায় না। আপনার বস যদি একজন মিনমিনে টাইপ অযোগ্য কোণ ব্যক্তি হন , তাহলে আপনি তার সুযোগতো নেবেনই।
এবার আসা যাক বিগত সরকারে অপরাধের বিচার বিষয়ে। প্রতিদিন পত্রিকা খুললেই দেখি লীগের হাজারো অপকর্মের কাহিনী। লোহমর্শক সেসব অপরাধের বিবরন পড়লে গায়ের রোম দাঁড়িয়ে যায়। এবারতী জাতিসংঘের ফ্যক্ট ফাইন্ডিং দলের প্রতিবেদনও বের হয়েছে। গত ১ জুলাই থেকে ১৫ আগস্ট পর্যন্ত সংঘটিত মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় জাতিসংঘের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশন রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। মানবাধিকার লঙ্ঘনে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সহ সরকারের উচ্চপর্যায়ের নেতারা ও নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের সরাসরি সংশ্লিষ্টতা খুঁজে পেয়েছে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশন। বিক্ষোভকারীদের হত্যা, লাশ গুম করার নির্দেশ দিয়েছিলেন হাসিনা । view this link
এই যে আওয়ামিলীগের প্রমান সাবুদ সহ এত অপরাধের খবর আমরা প্রতিনিয়ত পত্রিকায় পড়ছি , আজতক কি কোন অপরাধের বিচার হতে দেখেছি ? এই সরকার ক্ষমতা হাতে নিয়েছে ছয় মাস পেরিয়েছে । এখনও আমরা দেখি যে , লীগের নেতা কর্মীরা ইচ্ছেমত হুঙ্কার দিয়ে বেড়াচ্ছে। পলাতক নেত্রী ভাষন দিয়ে বেড়াচ্ছে ! কেন তারা এরকম করার সাহস পাচ্ছে? উত্তর খুবই ক্লিয়ার। কারন কোন অপরাধের বিচার হচ্ছে না। খালি মামলাই হচ্ছে কিন্তু বিচার হচ্ছে না। জুলাই আন্দোলনে নিহত মুগ্ধ সহ আরো অনেক শহীদ পরিবার মামলাই করে নাই। কারন তারা বলছে যে, বিচার হবার কোণ লক্ষন এখন পর্যন্ত দেখা যায়নি। তাই মামলা করে তাদের পরিবার বিপদে পড়তে চায় না।
রাজনৈতিক দলগুলো বিচারের দাবী না তুলে বলছে আওয়ামিলীগকে নিশিদ্ধ করার কথা!! অথচ এটার কোন দরকারই নাই। একটা দলকে নিশিদ্ধ করে কোণদিন নিশ্চিহ্ন করা যায় না। করা গেলে জামাত এর এতকাল পরেও রাজনীতিতে টিকে থাকার কথা নয়। যেটা দরকার সেটা হচ্ছে আওয়ামিলীগের নেতা কর্মিদের বিচারের মুখোমুখি করে দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির ব্যবস্থা করা। কিন্ত অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে এই বিচার যেন সোনার হরিণ। এটা নিশ্চিত যে, চুরান্ত অযোগ্য স্বরাস্ট্র উপদেষ্টার পক্ষে যেমন দেশের আইন শৃংখলা পরিস্থিতি উন্নয়ন করা অসম্ভব ঠিক তেমনি বিতর্কিত আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুলের পক্ষেও আওয়ামিলীগের বিচার করাও অসম্ভব। তবে একটা বিষয়ে শেখ হাসিনার সাথে তাদের বড়ই মিল ।দ্বায়িত্ব পালনে অপারগ হলেও ক্ষমতা যেভাবেই হোক জোড়পুর্বক ধরে রাখতে হবে!
বৈষম্যবিরোধি আন্দোলনের ছাত্র উপদেষ্টাদের বলতে চাই যে , ''আপনারা ক্ষমতায় থাকা কালেই যদি আওয়ামিলীগের বিচার শুরু করে না যেতে পারেন তবে সামনে রাজনৈতিক দল ক্ষমতায় আসলেও বিচার হবে না। এই বিচারহীনতার কঠিন পরিনতি ভোগ করতে হবে জুলাই-অগাস্ট আন্দোলনে অংশ নেয়া সকল বিপ্লবীদের। আগে কিংবা পরে ----"
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৫৮