স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যার কবলে দেশ। ভারত থেকে বিবিসি বাংলার সংবাদদাতা জানিয়েছে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে।এমন পরিস্থিতিতে ভারতের ত্রিপুরার ডম্বুর হাইড্রোইলেক্ট্রিক পাওয়ার প্রজেক্ট বা ডম্বুর গেট খুলে দিয়েছে ভারত। ত্রিপুরা রাজ্যের গোমতীর জেলা প্রশাসক তরিৎ কান্তি চাকমা তার সরকারি এক্স একাউন্টে (সাবেক টুইটার) এ কথা জানিয়েছেন। তবে চলমান বন্যা পরিস্থিতির জন্যsb] ত্রিপুরার গোমতী নদীর বাঁধ খুলে দেওয়া নিয়ে যে আলোচনা চলছে, তা সঠিক নয় বলে মন্তব্য করেছে ভারতের পররাষ্ট মন্ত্রণালয়।
পত্রিকায় এসব খবর দেখে ভাবছি আমাদের একজন পররাস্ট্র উপদেষ্টা আছেন ।মোঃ তৌহিদ হোসেন এখন কোথায় গিয়ে লুকিয়েছেন ? এই মুহুর্তে কি তার জরুরী ভিত্তিতে ভারতের পরারাস্ট্র মন্ত্রনালয়ের সাথে বসা উচিত নয় ? International Convention for the Safety of Life রুল ভঙ্গ করেছে ইন্ডিয়া। পররাস্ট্র উপদেষ্টার উচিত কঠিন ভাষায় এর প্রতিবাদ করা। সড়ক পরিবহন , সেতু ও রেলপথ মন্ত্রণালয়ের জনাব মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান কোথায় ? অনেকগুলো গুরুত্বপুর্ন সড়ক , রেল পথ পানির নীচে তলিয়ে গেছে । এঅবস্থায় তিনি কি ব্যবস্থা গ্রহন করেছেন ? পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন ও
পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান কোথায় ? এই দুর্যোগপুর্ন আবহাওয়া ও পরিস্থিতি মোকাবেলায় কি পদক্ষেপ গ্রহন করেছে উনার মন্ত্রনালয়? আর সবচেয়ে গুরুত্বপুর্ন মন্ত্রনালয় - দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় এর জনাব ফারুক ই আজম কোথায় ? এখন পর্যন্ত এইসব গুরুত্বপুর্ন মন্ত্রনালয়ে থাকা উপদেষ্টাদের কোন বক্তব্য বা বর্তমান দুর্যোগপুর্ন পরিস্থিতি মোকাবেলায় কি পদক্ষেপ তারা গ্রহন করেছেন তা জনসম্মুখে আসেনি।
আমরা শুধু দেখতে পাচ্ছি যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় উপদেষ্টা জনাব আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এর উপদেষ্টা জনাব মোঃ নাহিদ ইসলাম এর কর্মতৎপরতা।বন্যাদুর্গতদের পাশে দাঁড়াতে প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশ পৌঁছে দিলেন নাহিদ। অনতিবিলম্বে সরকারি-বেসরকারি সব বোট দেশের বন্যাদুর্গত এলাকায় নিয়োজিত করার আহ্বান জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম। বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষের উদ্দেশে তিনি বলেন, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে আহ্বান করে বলুন প্রধান উপদেষ্টা থেকে নির্দেশ আছে। এক ঘণ্টার মধ্যে কন্ট্রোল রুম চালু করুন। ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ ভারতের কাছ থেকে কোন প্রকার সতর্কতা জারী না করে ডম্বুর গেট খুলে দেয়া বিষয়ে স্পষ্ট ব্যাখ্যা দাবী করেছেন । অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে রাস্ট্রের সকল দায় দ্বায়িত্ব কেবল ডঃ ইউনুস এবং দুই ছাত্র উপদেষ্টার! বাকিদের কাজ কেবল সরকারী গাড়িতে চড়ে অফিসে গিয়ে মুর্তির মত বসে থাকা!!এইসব অথর্ব ও অপদার্থ উপদেষ্টাদের জবাবদিহিতার আওতায় আনা অত্যন্ত জরুরী হয়ে পড়েছে। এরা হয় আওয়ামী গুপ্তচর নাহয় দ্বায়িত্ব পালনে সম্পুর্ন অযোগ্য ।
ছাত্র সমন্বয়ক ও সাংবাদিকদের দৃষ্টি আকর্ষন করে বলতে চাই , এইসব উপদেষ্টাদের সম্পর্কে খোজ খবর নিয়ে দ্রুত জবাবদিহিতার আওতায় আনুন। গনতন্ত্রের অন্যতম ভিত্তি হচ্ছে জবাবদিহিতা। অনেক রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতা বেহাত হয়ে যেতে পারে এইসব সন্দেহজনক ও অপদার্থ উপদেষ্টাদের কারনে। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতিটা সেক্টরে আমরা দক্ষ , যোগ্য, সাহসী ও দেশপ্রেমিক ব্যক্তিদের দেখতে চাই।