৮৮ সালে ভয়াবহ বন্যার কারণে সারা দেশের সাথে সড়ক পথে যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। কেবলমাত্র ট্রেন আর লঞ্চ চলাচল করতো। বন্যার সময় ট্রেনে করে ঢাকা থেকে কুমিল্লা গিয়েছিলাম। সময় লেগেছিলো প্রায় ৮ ঘন্টা। সেই অভিজ্ঞতা নিয়ে রহস্য পত্রিকায় একটা লেখা পাঠিয়েছিলাম। যা ছাপা হয়েছিলো ৮৯ সালের এপ্রিলে। তার সম্মানী পেয়েছিলাম ৩০০ টাকা। ৯২-৯৩ সালের দিকে যায়যায়দিন (বিশেষ সংখ্যা) এবং মৌচাকে ঢিল (যায়যায়দিনের ফান ম্যাগাজিন)-এ লিখেও কিছু টাকা পেয়েছিলাম।
তারপর ভোরের কাগজের সবচেয়ে জনপ্রিয় পাতা মেলাতে লিখে ৩০০ টাকা। এরপর প্রথম আলোর আলপিন আর নকশাতে লিখে বেশ কবার টাকা পেয়েছি। সবশেষে ২০০৬ এবং ২০০৭ সালের ঘুড়ি উৎসব নিয়ে ইত্তেফাকে দুটো ফিচার লিখেছিলাম। তরুন কন্ঠ / কড়চা পাতার সম্পাদক অনেক বার বলার পরও সময়ের অভাবে (!) ইত্তেফাক থেকে বিলগুলো আর তোলা হয়নি। যুগান্তরেও ঘুড়ি উৎসব নিয়ে একটা লেখা ছাপা হয়েছে। ওরা অবশ্য টাকা-পয়সা দেয়নি।
নিজেকে নিয়ে এত সাফাই গাইবার অর্থ এই নয় যে-
আমি খুব ভাল লেখক
লেখালেখি করে আমি ম্যালা টাকা কামাই করেছি
বা মুই কী হনু রে...
আসল বিষয়টা হচ্ছে- আমার আট বছরের ছেলে রোদ্দুর। বাবার মত বই, পত্র-পত্রিকা পড়ার বদ অভ্যাস তারও হয়েছে। প্রথম আলোর গোল্লাছুট আর ফান ম্যাগাজিন রস আলো নিয়মিত পড়ে। এটা সেটা ধাঁ ধাঁ মেলায়। আমাকে বলে পত্রিকায় পাঠাতে। আমি যথারীতি তা পাঠিয়ে দেই। বেচারা ! সবগুলোর সঠিক উত্তর দেবার পরও কোনদিন তার নাম পত্রিকায় ছাপা হয় না। তবু প্রতি সপ্তাহে মিলায় এবং আমাকে পাঠাতে বলে। কিন্তু ঘটনা ঘটে গেছে আজ। রস আলোতে রস চিঠি-১৩ তে ৩ জন ভাগ্যবানের মধ্যে সে ৩য় বিজয়ী হয়েছে। পুরস্কার হিসেবে পাচ্ছে ৩০০ টাকার প্রাইজবন্ড। তার জীবনের প্রথম উপার্জন ! তাও পত্রিকা থেকে !!
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই অক্টোবর, ২০০৮ বিকাল ৫:১৯