বাংলাদেশে ইসলাম ভিত্তিক রাজনৈতিক দলের কোন ভবিষ্যৎ নাই। তবে দলগুলো যখন গড়ে উঠে, বেড়ে উঠে, স্বপ্ন দেখে তখন এটা বুঝা যায় না। তখন তারা নিশ্চিত সাফল্য দেখে। আক্ষরিক অর্থে সেই সম্ভাবনাও শুরুর দিকে বেশ ভালোই থাকে। কিন্তু অল্প পথ পাড়ি দিতেই ঘটনার মোড় ঘুরে যায়। এবং এটি এত দ্রুত ঘটে যে খোদ ইসলামী দলসমুহের নেতারাও টের পায়না।
উল্লেখ করা যেতে পারে যে, রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করে ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য যে ইসলামের উপরে ভর করা হয় সেটাকে 'রাজনৈতিক ইসলাম' বলে। প্রাত্যহিক পালনীয় ইসলামকে মূল ধারার ইসলাম হিসেবে স্বীকৃত।
এই ব্যাকফুটে আসার কারন একাত্তরে ইসলামের চরম অপব্যবহার। এদেশের কতিপয় মোল্লার ভুমিকা। ইসলামপন্থী রাজনৈতিক দলসমুহের ভুমিকা। এরা মূলত বাংলাদেশ বিরোধী ভুমিকায় লিপ্ত চিল। বিশেষ করে পাকিস্তানীরা এবং জামাত যেভাবে ইসলামের নামে সকল কুকর্মকে হালাল হিসেবে বাস্তবায়ন করেছিলেন সেই ইতিহাস ক্ষনে ক্ষনেই মানুষের মনে উকি দেয়। ঠিক এই কারনেই এদেশে ইসলামপন্থী রাজনীতির কোন ভবিষ্যত নাই। মোদ্দাকথা ইসলামপন্থী দলগুলোর সামনে উভয় সংকট বিরাজমান।
বলা যেতে পারে, জামাত বিহীন ইসলামপন্থী দল হলেই তো হয়ে যাবে। কিন্তু না, সেটার ন্যুনতম সুযোগ নাই। কারন জামাত-বিহীন অনেকেই চেষ্টা করেছে কিন্তু পারে নাই। বেলাশেষে সব ইসলামপন্থী দলই জামাতের সঙ্গে ঘাটছড়া বাঁধতে বাধ্য। এটাই আল্টিমেট পরিনতি। জামাতের সঙ্গে না মিশে থাকার উপায় কোন ইসলামপন্থী দলের পক্ষে সম্ভব নাই। এন্ড অব দ্যা ডে অল ইসলামিক পলিটিক্যাল পার্টি মাষ্ট বি ইউনাইটেড ইনক্লুডিং জামাত। সো যখনই জামাতিরা ইসলামের কথা কইব তখন ইসলামী রাজনীতি প্রশ্নবিদ্ধ হইব এবং মুখ থুবড়ে পড়তে বাধ্য হয়।
আবার জামাত ছাড়াও তারা আগাইতে পারবে না। দুই ভাবেই চেষ্টা করেছে অনেকে। কিন্তু কোন প্রক্রিয়াই ন্যূনতম সফলতার মুখ দেখে নাই।
সর্বশেষ আমরা হেফাজতিদের উত্থান এবং পতনের মাধ্যমে এটাই দেখলাম। প্রথমদিকে হেফাজতিদের মানুষ কিন্চিৎ কৃপাদৃষ্টিতে দেখলেও এখন শুধুই ঘৃনা প্রকাশ করছে। এটাই হইল এদেশের ইসলামিষ্টদের পরিনতি।