অনুবাদ-মনযূরুল হক
সেদিন ছিলো শনিবার। দুপুরের পর। প্রায় ছয়-সাতবার দ্বিধাদ্বন্দ্ব শেষে বাসা থেকে নামলাম কোকাকোলা আর সিগারেট কিনবো বলে। রাস্তা পার হয়ে পর্তুগিজ মালিক ম্যানুয়েলের ছোট্ট দোকানটার সামনে এলাম।
লাইনে দাঁড়ানো মানুষ । অপেক্ষা করছিলাম কেনাকাটার পালা কখন আসবে। একটা লোক আমার কাছাকাছি এলো। মিনি একটা হারমোনি বাজাচ্ছিলো লোকটা। আমার দিকে তাকিয়ে হালকা একটু সুর তুললো। গলা চড়িয়ে কথা বললো সে। বললো, ইংলিশ কালচারাল সেন্টারে সে আমার পরিচয় পেয়েছে। বাস্তবিকই সেখানে আমি দুই-তিন মাস স্ট্যাডি করেছিলাম। আমাকে সে বললো, ভয় পাবেন না আমায়।
উত্তরে বললাম, আমি ভীত নই। আপনার নাম কি ?
সে জবাব দিলো ইংরেজিতে, একটু বিবর্ণ হাসি ঝুলিয়ে, নামটা কি তেমন গুরুত্বপূর্ণ ? এরপর ম্যানুয়েলকে বললো, তোমার সামনে দাঁড়ানো এই যে মহিলা, আমার চেয়ে সে কিন্তু বড় কেউ নয়। তবে পার্থক্য আছে। পার্থক্যটা হলো, সে লেখে আর আমি লিখি না।
ম্যানুয়েলের উপর তার কথাবার্তা প্রত্যাখ্যানের কোন ভাব দেখা গেলো না। লোকটা ছিলো পুরোপুরি মাতাল। যখন আমি প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিয়ে চলে যেতে মনস্থ করলাম সে বললো, আমি কি আপনার বোতল ও সিগারেটের বোঝাটা বহন করার মতো সৌভাগ্য পাবো ?
আমি তার কাছে যা যা কিনেছি সব দিলাম। অ্যাপার্টমেন্টের গেটের সামনে এসে পুনরায় আমি কোকাকোলা ও সিগারেটগুলি নিয়ে নিলাম। সে আমার সামনে অবিচল দাঁড়িয়ে আছে। সহসা তার মুখের আদলটি খুবই পরিচিত মনে হলো আমার। নাম জানতে চাইলাম আমি।
আমি ক্লোডিয়ো।
কোন ক্লোডিয়ো ?
আচ্ছা..আপনি কি এভাবেই বলে যাবেন- কে কোন ? আমার নাম ক্লোডিয়ো প্রিটো..
আমি চিৎকার করে উঠলাম, ক্লোডিয়ো..ও মাই গড ! আশা করি আমার সঙ্গে তুমি আমার ফ্লাটে আসবে।
কোন ফ্লোরে আছেন আপনি ?
যে ফ্লোরে থাকি এবং আমার ফ্লাট নাম্বার ওকে জানালাম। ও বললো, ছোট্ট সেই দেকানটাতে ও বিল পরিশোধ করতে যাবে। এরপর যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আমার বাসায় ফিরে আসবে।
ফ্লাটে আমার সঙ্গে আমার এক বান্ধবী থাকে। যা ঘটেছে সব বান্ধবীকে খুলে বললাম। সাথে বললাম, নিশ্চিত ও আসবে না। ওর ভারী লজ্জা।
মোটেই আসবে না। নেশাগ্রস্ত, তাই, শীঘ্রই ফ্লাট নম্বর ভুলে বসবে। কিন্তু যদি এসেই পড়ে, তবে জায়গাটা ছেড়ে তাড়াতাড়ি যেতে চাইবে না। আমার কথা হলো, যদি তুমি চাও, তাহলে আমার রুমে আমি চলে যাবো এবং একমাত্র তোমাদের দু’জনকে রেখে যাবো– বান্ধবী শুধালো।
কেবল অপেক্ষা করতে থাকি আমি। পারাজয়ের একটা ধাক্কা লাগলো বুকে। ক্লোডিয়ো প্রিটোকে হারানোর পরাজয়। বিষণ্নতার কষ্ট অনুভূত হলো খুব। ড্রেস চেঞ্জ করে ফেললাম। আচানক দরোজায় বেল বাজলো। বন্ধ দরোজার পাশে গিয়ে জিজ্ঞেস করলাম, কে শব্দ করছে ?
ক্লোডিয়ো।
তোমার অপেক্ষায় ব্যলকনিতে বসে ছিলাম। কয়েক মিনিট পরেই তো দরোজা খুলবো– তাই।
পরিধেয় কাপড় বদলে নিলাম আমি। এক সময় মস্ত বড় কবি ছিলো ক্লোডিয়ো। এই দীর্ঘ বছরগুলোতে কী করেছে সে ? ঘরে ঢুকলো। দ্রুত আমার কুকুরটার সাথে খেলায় মগ্ন হয়ে গেলো। বলে কিনা, যত প্রাণী আছে, তার মধ্যে কেবল এই একটিই নাকি ওকে ঠিক বুঝতে পারে। জিজ্ঞেস করলাম কফি খেতে চায় কি না। ও বললো, কড়া পানীয় ছাড়া আর কিছু পান করি না। তিনদিন ধরে মাতাল আমি।
মিথ্যে বললাম ওর সাথে। আফসোসের স্বরে বললাম, উত্তেজনাকর কোনো পানীয়ই বাসায় নেই।
নীরবে মনস্থ করেছি, ওর সামনে কফিই এনে দেবো। সাগ্রহে আমার দিকে তাকিয়ে বললো, আমাকে কিন্তু কোন আদেশ দিচ্ছেন না আপনি।
আমি তোমার আদেশ দেয়ার মতো নই..অবশ্য আমি চাচ্ছি তুমি কফিটা নাও। ফ্লাস্কভরা দারুণ কফি আছে।
কফি অবশ্যই নেবো আমি।
ধরা যায় না এমন সামান্য এ্যালকোহল মিশিয়ে আমি চায়ের পেয়ালা ভর্তি কফি এনে দিলাম। খেতে একটুখানি পীড়াপীড়ি করলাম ওকে। ও কফি পান করছিলো একই সঙ্গে আমার কুকুরের সাথে আলাপ চালিয়ে যাচ্ছিলো, যদি তুমি কাপটা ভেঙে ফেলো, আমাকেই তার মূল্য পরিশোধ করতে হবে। দেখো কাণ্ড, আমি ওর দিকে যেভাবে তাকিয়ে আছি ও-ও ঠিক সেভাবে আমাকে দেখছে। নিশ্চয় আমাকে ও ভীষণ মিস করে।
আমিও তোমাকে মিস করি।
আপনি ? একমাত্র বিষয় যা আপনার কাছে গুরুত্বপূর্ণ; সেটা সাহিত্য।
ভালো বলেছো। কিন্তু সেটা তোমার ভুল। আমার সন্তানেরা, আমার পরিবার, আমার বন্ধুরা- গুরুত্বের বিবেচনায় তারাই প্রথমে আসে।
ও আমার দিকে বিভ্রান্ত দৃষ্টিতে তাকালো। জিজ্ঞেস করলো, কসম করতে পারবেন, সাহিত্য আপনার কাছে তেমন গুরুত্বপূর্ণ নয় ?
কসম করে বলছি এটা– জবাব দিলাম আমি। ভেতরের প্রকৃত অনুভবের শক্তিতে জোর দিয়ে বললাম কথাটা। আরো যোগ করলাম, কি বিড়াল কি কুকুর- এমন সব ‘পেট’ও আমার ধারণায় সাহিত্যের চেয়ে বেশি গুরুত্ব রাখে।
ও বললো, এমন অবস্থায় আমার দু’টি হাতই বাঁধা। অথচ আমি আপনাার ওপর ভরসা রাখতাম।
তুমি কি বিয়ে করেছো ?
হাজারবার..অথচ আমার স্মৃতিশক্তি ও প্রতিভা আমাকে রক্ষায় এগিয়ে আসে নি।
তোমার ছেলেসন্তান আছে ?
একটা ছেলে। পাঁচ বছর বয়স ওর।
আমি তোমাকে আরো কফি এনে দিচ্ছি।
ওর সামনে আরেকটা কফির পেয়ালা রাখলাম। কফিতে চুমুক দিয়ে বললো, তুমি একটা অদ্ভূত নারী।
না, আমি কোন অদ্ভূত বা রহস্যময়ী নারী নই। একেবারেই খোলামেলা। এখানে আমার সাথে কারো সম্পর্ক নেই, কোন বন্ধন জড়িয়ে নেই।
এক লোকের গল্প শোনালো ও আমাকে। ফ্রান্সিসকো নাম তার। আমি আসলে বুঝতে পারি নি- ফ্রান্সিসকো ‘কে’। জানতে চাইলাম, “আজকাল কী ধরনের কাজে ব্যস্ত আছো তুমি ?”
আমি কোনো কাজই করি না..অখণ্ড অবসর। নেশা-ভাঙে আসক্ত। মানসিক পঙ্গু।
তুমি মানসিক দিক থেকে মন্দ নেই, স্বাভাবিক আছো। কেবল যতটুকু দরকার তার চেয়ে বেশি পান করছো- এই যা।
আমাকে জানালো যে, ভিয়েতনামে যুদ্ধ করেছে ও। অল্প কয়েক বছর জাহাজের নাবিকের চাকরি করেছে। সমুদ্রকে ভালোবেসে ফেলেছে। অশ্রুতে ভরে গেলো ওর চোখদু’টো।
বললাম, “তুমি হচ্ছো পুরুষ আর তুমি কিনা কাঁদছো ? তুমি চাচ্ছো আমিও কাঁদি। নাও, যত খুশি কাঁদো। তুমি হচ্ছো সাহসী লড়াকু, আর তুমিই কাঁদছো ! অবশ্য কাঁদার মতো যথেষ্ট কারণ আছে তোমার ।...
হায়, আজ আমি এখানে কফি পান করছি আর কাঁদছি....এমন কেন যে হয়..।
সেটা কোন বিষয় নয়। আমি যখন কাঁদি, ভাবি, আমি এখানে নেই।
কিছুক্ষণ কাঁদলো ও। বেশ সুপুরষ ছিলো এক সময়। দাড়িটা শেভের অভাবে পরজিত মানুষ বনে গেছে। দেখতে অকেজো লোকের মতো লাগছে। যেমন অকেজো আমরা সবাই। আমাকে একটা কবিতা পড়ে শোনাতে পারে কি না- জানতে চাইলো ও। বললাম, তুমি কিছু শোনালে আমার সত্যি ভালো লাগবে।
অতএব, ও ব্যাগ খুললো। বের করলো মোটা একটা পাণ্ডুলিপি। তারপর সেটা মেলে ধরার পূর্বেই হো হো করে হেসে ফেললো।
কবিতা পড়ে চলেছে। বেশ নান্দনিক কবিতা। কতক নোংরা শব্দের মিশেল আছে, তবে ভাবার্থ অত্যন্ত সূক্ষ্ম ও তাৎপর্যময়। ইচ্ছে করছিলো চিৎকার করে বলি, “হায় ক্লোডিয়ো, আমরা সবাই ব্যর্থ, অকেজো। একদিন আমরা মরে যাবো। কে আছে এমন, যে সত্যকথাগুলো বলে যেতে পারবে ? নি:সন্দেহে তার সত্ত্বাই এই জীবনে কার্যকরিতা লাভ করবে। সফলতার ধারণা নিরেট মিথ্যা।
কিন্তু আমি বললাম, কবিতাটা চমৎকার, অপূর্ব। তোমার কাছে কি আর কোনো কবিতা আছে ?
আরো একটা আছে। কিন্তু আমি তো আপনাকে বিরক্ত করেই যাচ্ছি। আমি নিশ্চিত, আপনি এতক্ষণে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন, যেনো আমি আমার পথে চলে যাই।
আমি চাই না, এখনই তুমি আমাকে ছেড়ে যাও। তোমাকে জানাবো আমি- কখন তোমার চলে যাওয়া উচিত। অবশ্য আমি একটু তাড়াতাড়ি বিছানায় যাই।
তার পাণ্ডুলিপিবদ্ধ কবিতা নিয়ে পর্যালোচনা হলো; যা এখনও কেউ ছাপে নি। তারপর পাণ্ডুলিপির প্রসঙ্গ ছেড়ে বললো, আমি তোমার সম্পর্কে তেমন জানি না। কেবল তোমার প্রাক্তন স্বামী আমার পরিচিত।
আমি নিশ্চুপ রইলাম।
তুমি বেশ সুন্দরী।
আমি নীরব।
অসম্ভব মন খারাপ লাগলো আমার। জানি না, ওর সাহায্যের জন্য আমার কী করা উচিত। সেটা একটা কঠিন দু:সময়, যখন তুমি জানো না– কী করে কাউকে সাহায্য করবে তুমি।
ও আমাকে বললো, একদিন আমি আত্মহত্যা করবো..।
ওর কথা কেটে দিয়ে বললাম, কক্খনো না। কিছুতেই আত্মহত্যার দিকে যাবে না তুমি। আমাদেরকে বেঁচে থাকতে হবে। স্বাচ্ছন্দ্যময় জীবন যাপন করা আমাদের পক্ষে অসম্ভব নয়। আমাকে তুমি বিশ্বাস করো।
এবারে আমিই ডুকরে কাঁদছিলাম। সে সময় করার মতো আর কিছুই ছিলো না আমার।
জিজ্ঞেস করলাম– কোথায় থাকে ও। জানালো, কাছেই বোটাফোগোতে ওর ছোট্ট একটা ফ্লাট আছে। বললাম, যাও, তোমার বাসায় গিয়ে ঘুমিয়ে পড়।
প্রথমে আমার ছেলেটাকে দেখতে হবে। ও জ্বরে ভুগছে।
কী নাম তোমার ছেলের ?
নাম বললো ও।
প্রতি উত্তরে আমি বললাম, একই নামে আমার একটা ছেলে আছে।
আমি সেটা জানি।
আমি তোমাকে একটা বাচ্চাদের গল্পের বই দেবো। ওটা কোন একসময় শিশুদের জন্য লিখেছিলাম আমি। তুমি বইটা জোরে জোরে পড়ে ওকে শোনাবে।
আমি ওকে শিশুতোষ বইটা দিলাম এবং তাতে উপহারের শব্দমালা লিখে দিলাম। ও বইটা যত্ন করে ওর সাইটব্যাগ হিসেবে ব্যবহৃত থলেটার মধ্যে রাখলো। সাহস করে বললাম, তুমি কি একটা কোক নেবে ?
মানুষকে কফি ও কোক খাওয়াতে তুমি খুব ভালোবাসো, তাই না ।
হতে পারে । কারণ আমার কাছে দেয়ার মতো আর কিছু নেই।
দরোজার সামনে আমার হাতে চুমু খেলো ও। লিফট পর্যন্ত ওর সাথে চললাম আমি। নিচতলায় যাবার বোতামে চাপ দিলাম এবং বললাম, প্রভু তোমায় রক্ষা করুন।
লিফট নিচে নেমে গেলো। আমি আমার ফ্লাটে ফিরে এলাম। আলো নিভিয়ে দিলাম। বান্ধবীকে জানালাম– ও এমনিই চলে গেছে। কাপড় বদলে নিলাম। মুখে কয়েকটা ঘুমের ট্যাবলেট পুরে দিলাম। ড্রয়িং রুমে বসলাম সিগারেট ফুঁকতে। ক্লোডিয়োর স্মৃতিচারণ করলাম কয়েক মিনিট। ও আমার কাছে সিগারেট চেয়েছিলো, যা আমি টানছি এখন। দিয়েছিলাম ওকে। ও সিগারেট ফুঁকেছে। এটাও বলেছিলো, একদিন কাউকে খুন করবো আমি।
এটা ঠিক নয়। আমি তোমাকে সমর্থন করি না। বিশ্বাস করি না, তুমি এটা করতে পারো।
আমাকে আরো জানালো, যন্ত্রণাদগ্ধ একটা কুকুরকে কিভাবে সে গুলি করে মেরেছে। ওকে জিজ্ঞেস করলাম, একটা ফিল্মে লোকজন ঘোরাগুলোকে হত্যা করে ফেলে– ফিল্মমটা ও দেখেছে কি না। এটাও ঠিক তেমন নাকি ? পর্তুগালে ফিল্মটার নাম দিয়েছে ‘হতাশার রজনী’। হ্যাঁ, ও ছবিটা দেখেছে।
সিগারেটের ধোঁয়া ছাড়লাম আমি। অন্ধকারের ভেতর থেকে কুকুরটা আমার দিকে তাকিয়ে আছে।
এটা ছিলো গতকাল। শনিবার। আজ রবিবার। মার্চের বার তারিখ। আমার মাতৃত্বের দিবস। বহুবছর আগে কোন একদিন এই তারিখে ক্লোডিয়োর ‘মা’ হয়েছিলাম আমি। কিভাবে সম্ভব যে, এই মানুুুুষটার মা হই আমি ? কী করেছি আমি ওর জন্য ? নিজেই প্রশ্ন করলাম নিজেকে। কোন উত্তর নেই। কোন জিনিসেরই কোন জবাব নেই।
বিছানায় গিয়ে গা এলিয়ে দিলাম। আজ নিশ্চিত মরে গেছি।
[লেখক পরিচিতি: ক্লারিশ লিসপেক্টর (Clarice Lispector) সমকালীন ব্রাজিলের শ্রেষ্ঠতম লেখকদের একজন। লাতিন আমেরিকান এই নারী লেখিকার জন্ম ১৯২২ সালে। তার প্রথম রচনা প্রকাশিত হয় ১৯৫০ সালে La cos di familia শিরোনামে। ওটা ছিলো তার ছোটগল্পের একটা সঙ্কলন। সঙ্কলিত গ্রন্থটি উইলিয়াম গ্রোসম্যান কর্তৃক অনুবাদিত হয়ে ‘আধুনিক ব্রাজিলের গল্পকথা’ নামে আন্তর্জাতিক পরিসরে সাড়া জাগাতে সক্ষম হয়। অনুবাদ গ্রন্থটি ক্যালিফোর্নিয়া ভার্সিটির প্রকাশনা থেকে ১৯৬৮ সালে প্রকাশ পায়। যে বছর ব্রাজিলের বাজারে আসে ‘আঁধারের আপেল’ নামে তার ছয়টি উপন্যাসের সঙ্কলন। মানবিকতা ও আধ্যাত্মিকতা হলো তার রচনার মূলসুর।]
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই মে, ২০১৪ রাত ১:০৯