পুরো বাংলাদেশকে বাঁচাতে চাই না,কন্যাদের নিরাপদ দেখতে চাই,পুত্ররা কন্যাদের নিরাপত্তাহীন করছে না এটা দেখে মরতে চাই। কন্যা মানে দু'টি স্তন ও একটি যোনীর সমন্বয় নয় এ জ্ঞান পুরুষতন্ত্র ও তার ধারক নারীকূলের মস্তিষ্কে গেঁথে মরতে চাই। পুরুষকে মানুষ হিসেবে দেখতে চাই।তার লৈঙ্গিক পরিচয় ভুলে যেতে চাই।
প্রতিদিন খবর আসে নীপিড়নের যৌন নীপিড়নের- শিশু থেকে তরুণী, গৃহবধূ থেকে কিশোরী কেউ বাদ নেই। এ আমাদের একদিনের রোগ?হঠাৎ করে ঘটা কোন উপসর্গ? তথ্য উপাত্ত ঘাটলে যে কেউ নিশ্চিত হয়ে যাবে এ রোগ অনেককালের।
এত পত্রিকা ছিল না, ছিল না ইলেকট্রনিক মিডিয়ার ছড়াছড়ি, মানুষ ও লোকলজ্জার ভয়ে আইন আদালত এড়িয়ে চলেছে যারপরনাই।
খবর এলেই কি সমস্যার সমাধান? আমরা নিজের ঘরে আগুন না লাগা পর্যন্ত ভীষণ আমোদে আলুপোড়া খাই।
দিনাজপুরে পাঁচ বছরের কন্যাশিশু ধর্ষিত।
রংপুরে নার্সিং হোমের শিক্ষার্থী নোট আনতে গিয়ে গণধর্ষিত।
আইন শৃংখলা রক্ষাকারীবাহিনী তাদের কাজ করবেন।
কন্যা শিশুর জন্য, দুই বেণী কাঁধে স্কুলে যাওয়া কিশোরীর জন্য, নতুন জীবনের স্বপ্ন দেখা তরুণীর জন্যে, বাসায় থাকা গৃহিণীর জন্যে-তাদের নিরাপদে রাখার জন্যে আমাদের ও ভাবা দরকার।
এ এক ছোট প্রয়াস, শুক্রবার বিকেল ৩:৩০-৫:৩০ সংসদ ভবনের সামনে, ন্যাম ভবনের উল্টোপাশে, সাদা কাপড় পরে, লাল কাপড়ে মুখ বেঁধে দাঁড়ানো- এটুকু বলার জন্য "নারীর উপর নির্যাতন, রুখে দাও জনগণ"; যে ছোট প্রয়াস আপনাকে পাশে পেয়ে হয়তো সচেতনতার বৃহৎ পথের সূচনা করবে।
আসুন বন্ধুরা আমরা বলে দেই "ছোট্ট পূজার দায়িত্ব/নিলেন মাননীয় সরকার/এমন দায়িত্বের হাত/ঘটনা ঘটবার আগেই/প্রতি শিশুর দরকার"
আমরা জানাই বিচারের প্রক্রিয়া এমন হোক যেখানে ধর্ষিতা নয়, ধর্ষক প্রমাণ করবে সে দোষী নয়।
আপনাদের উপস্থিতি আমাদের শক্তি।
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা নভেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:৫৭