আমার সুললিত পূর্ণিমা, দীঘল তারার রাত
কেন যে এভাবে ঢেকে দেয় মেঘের ক্রোধ!
দৃশ্যবিহীন ন্যাড়া খনিজ পাহাড়ের অ-সুখ,
কোষে কোষে বিভ্রমের খাঁজ কেটে যায় অক্লান্ত।
আমি অবুজ হয়ে সবুজ খুঁজি, ধূলায়
গড়াগড়ি নাক, অকালে ঝরে যাওয়া কেশ,
নীলিমার সহজ ভাষা বোঝার ক্ষমতা হারিয়ে
বেভুল হাঁটি স্পর্ধিত শহরে;
নৃশংস জেগে থাকা শরীর জানে, তার চাই
অমল ঠান্ডা; মৈথিলী কবিপ্রাণ করে
অর্থহীন হাহাকার, জানে না সে
তার হাতেই হয়েছে কবে শব্দের সংহার!
নীরব কলম পাশে নিয়ে কানকো চেপে
কাঁহাতক আর কাটা যায় একাকী সাঁতার!
বাক্যের বিবৃত পেশী অপেক্ষা করে
একটি অলিখিত উপন্যাসের স্ফূরণ ঘটাবে বলে-
তার দেয়ালে ঝুলে থাকে স্তম্ভিত সংসার,
জন্ম চাই, চাই প্রথম সুখ, তাপিত নিমন্ত্রণ,
এতবার সূর্যপাঠ শেষেও ঘটে না মেঘের নিষ্ক্রমণ।
(শুধু স্মৃতি করে যায় তার কাজ নির্ভুল,
আমি কি করব??)