ফেসবুক হ্যারাসমেন্ট থেকে বাদ যাচ্ছে না এখন সেলেব্রেটি থেকে শুরু করে ছেলে মেয়ে জোয়ান বৃদ্ধ সবাই। আমি মনে এর কারন অনেকটাই হল এই যুগের ট্রেন্ড,সবার ফেসবুক থাকতে হবে,কুল হলে হবে,সেলফি তুলে প্রতি ঘন্টায় আপডেট করতে হবে,টয়লেট থেকে শুরু করে বেড রুম পর্যন্ত যেকোন জায়গার।ফেসবুক ইউজ না করলে তুমি ক্ষেত,তুমি জঙ্গল থেকে উঠে আসছ, এই আধুনিক কুল ট্রেন্ডে তোমার বেইল নাই এমন ভাবনা। সাথে সরকার থেকে শুরু করে কর্পোরেট গুলো উঠে পরে লেগেছে মানুষ কে ফেসবুক ইউজ করাবেই। ফ্রী ইন্টারনেট ,জিরো ফেসবুক, ফ্রী ফেসবুক অফার সহ নানা অফার দিয়ে এদেশের শিশু থেকে বৃদ্ধ সবাইকে ফেসবুকে নিয়ে এসেছে। এখন ইন্টারনেট সহ মোবাইল খুব সস্তা,এন্ড্রয়েডের যুগে অল্প টাকায় স্মার্টফোন চালায় সবাই। রিক্সাওলা,কুলি মজুর মুচি থেকে শুরু করে শিক্ষিত অশিক্ষিত, ভালো খারাপ সবাই।তাদের শিক্ষার বা নৈতিক শিক্ষার মান আর একজন শিক্ষিত ব্যাক্তির চিন্তা ভাবনা এক হবে না এটাই স্বাভাবিক। আমি বলছিনা ওরা ইউজ করতে পারবে না,আমি বলছি ফ্যাক্ট।ব্যাপার টা এমন যেহেতু এসব পুলাপান বেশী এখন তাই সাবধানে ইউজ করুন। প্রাইভেসী দিয়ে রাখুন ।
যে জীবনে টিশার্ট পরা কোন মেয়ে কে দেখে নাই ফেসবুকে এমন কাউকে দেখলে সে বাজে কমেন্ট করবেই, কোন মেয়ের ছবি দেখে সে বাজে ভাষায় মেসেজ ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট দিবেই। এখনকার পরিস্থিতির ব্যাপার টাই আলাদা।আমরা যে বয়ষে ব্যাট বল নিয়ে সারাদিন পরে থাকতাম,এখন ক্লাস ২ এর ছেলের কাছে আছে ফেসবুক, ইউজ করে আইফোন ৫। সে ফেসবুকে কি করবে? ঢাকাতে ইংরেজী মাধ্যমে পরে এমন স্যন্ডার্ড ৫ এ পরে এমন কিন্তু ফেসবুক একাউন্ট নাই পাওয়া দুস্কর। যা বলছিলাম এখনকার ট্রেন্ড ই সব কিছু ওপেন।মানুষের জৈবিক ব্যাপার গুলো আগে যতটা গোপ্ন ছিল এখন আর তেমন নাই, বাচ্চা কাচ্চারাও টিভিতে সিনেমায় দেখে এসব জানে। যার ইফেক্ট পরে আমাদের সোসাল লাইফে।
ধর্ষন ইভটিজিং এর মত ব্যাপার গুলো দিন দিন বাড়ছে,তার সাথে যুক্ত হচ্ছে পাব্লিক প্লেসে মেয়েদের গায়ে হাত দেয়া, পরকিয়া, প্রেমের নামে অশ্লীলতা ।প্রযুক্তি যখন সবার জন্য খুব তারাতারি উন্মুক্ত হয় তখন এটার এবিউজ শুরু হয়। মেয়েদের নাম্বার পেলে মিস কল দেয়া কল করে ডিস্টার্ব করা তো ছিলই এখন শুরু হয়েছে ফেসবুকে ডিস্টার্ব করা, ছবি নিয়ে ফেক আইডি খুলে নানান জনের সাথে ঝামেলা করে সেই মেয়েকে ফাসিয়ে দেয়া, ফেসবুকে প্রেম করে প্রতারনা, দেখা করতে গিয়ে ছিনতাই এর মত ঘটনা। আমাদের সমাজ ব্যবস্তা যেহেতু এটা দূর করতে মেয়েদের ই সাবধান হতে হবে। কার উপর কখন কোন বিপদ আসে আপনি টের ও পাবেন না।ডিজিটাল যুকে কাউকে ট্র্যাক করা তার ব্যাপারে ইনফো কালেক্ট করা কোন ব্যপার ই না। তাই সাবধান হতে হবে আপনার ই । সচেতনতাই সবচেয়ে সহজ ওয়ে।
আপনার ছবি পাব্লিক না দিয়ে পরিচিতদের মদ্ধ্যে রাখুন। ফেসবুকে সবাই ফ্রেন্ডলিস্টে থাকলেও আপনার ফ্রেন্ড না, আজকে ফ্রেন্ড কালকে আপনার ক্ষতি করে বসতে পারে। একটা ছবি আপনার জন্য সমস্যার কারন হতে পারে। আজকেই শুনলাম একজন কে র্যাব এর কাছে যেতে,কেউ তার ছবি দিয়ে ফেক আইডি খুলে প্রতারনা করেছে। ফেসবুক গ্রুপ গুলোতে সাহায্য চেয়ে বা শো অফ করতে মজা করে পোস্ট দিচ্ছেন,হাজার হাজার পার্ভার্ট সেখান থেকে আপনাকে পেয়ে নানা ভাবে হ্যারস করবে, ব্লগ গুলোতে কমেন্ট দিচ্ছেন।সমস্যা সেখানেও। পরিচিত সার্কেলে থাকন সেভ থাকুন। কারন আপনি জানবেন ও না আপনার ছবি দিয়ে কখন আরেকটা ফেক আইডি হয়ে গেছে, ওটা দিয়ে সেল বাই গ্রুপে এড দিয়ে ছিনতাই হচ্ছে। সেলিব্রেটি বা অন্যদের আগ্রহ,ফলোয়ার পাওয়ার জন্য ঘনঘন বিভিন্ন গ্রুপে পোস্ট দিচ্ছেন,যে ইভেন্টে জীবনেও যাবেন না সেখানে গোইং দিচ্ছেন এটেনশন পাওয়ার জন্য, বান্ধবিদের সাথে তোলা ফাজলামি করে তোলা ছবি পাব্লিক করে দিচ্ছেন আর সেটা চলে যাচ্ছে ১৮+ পেজ গুলোতে।এই হাজার হাজার লাইক আপনার কোন কাজেই আসবে। মোবাইল হারিয়ে পরছেন বিরম্বনায়,ছবিগুলো কার কাছে যায় এই ভয় !! সাবধানতাই আপনাকে বাচাতে পারে। মুখ বাকা করে তোলা সেলফি পাবলিক না দিয়ে প্রাইভেসি দিয়ে রাখুন। যাকে তাকে এড করবেন না, কারো পটানো কথায় পটবেন না। ফেসবুক এ পার্সনাল ইনফো দেয়া থেকে বিরত থাকুন।ট্রেন্ডের মধ্যে থাকতে গিয়ে পরিচিত অপরিচিত এক গাদা পুলাপান রে ছেলে ভাই ,চাচা বাবা বানাবেন না, ওরাই আপনার ১২টা বাজাতে পারে।
ফেসবুকে ফ্রেন্ড হোয়া যত সহজ আরেকজনের ক্ষতি করাও সহজ।ছেলেরাই কত প্রতারনার স্বীকার হয় আর মেয়েরা তো সহজ টার্গেট। গত বছরের কথা, ফেসবুকে পরিচয় ,মেয়েটা ছেলেটার সাথে দেখা করতে গিয়েছিল বসুন্ধরা সিটিতে,মোবাইল দোকানে মোবাইল কিনবে ছেলেটা। মেয়েকে বসিয়ে দোকানের বাইরে গেল মোবাইলে কথা বলা যায় কিনা,মেয়েটা আর সাত পাচ ভাবে নি, কিছুক্ষন পর ছেলে চম্পট।মেয়েটার অবস্থা কি হয়েছিল একটু ভেবে দেখুন। তাই সাবধান থাকুন। রংধনুর ট্রেন্ডে আমরা ছেলেরাই নিরাপদ না এখন আর, কয়েকদিন আগেই ত চিনি না জানি না,এক ছেলে ফেসবুকে মেসেজ দিল "bondo kota dao fiend hobe,............ আরো কি জানি লিখা ছিল সাথে মোবাইল নাম্বার ও চাইছে

সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৫ রাত ১২:৪০