ছোট বেলা থেকেই বই-পুস্তকের প্রতি আমার একটা আলাদা টান ছিল। আমি অনেকটা সর্বভূক টাইপের পাঠক, সামনে যা পাই সব পড়ি। সম্ভবত ২০০৯ বা ২০১০ সালের কোন এক দিন আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠাগারে ছোটদের মহাভারত ( উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী) নামের একটা বই পেলাম। জানিনা বইটা এই পাঠাগারে কিভাবে আসল। বইটা হাতে নিলাম এবং কয়েকটা পাতা পড়ার পড় মনে হল এই বইটা পড়ে শেষ না করে যাওয়া যাবেনা। বইটার ভাষার বিন্যাস এবং বিভিন্ন গল্পের উপস্থাপনা আমাকে মুগ্ধ করেছে।
পাঠাগারে যখন আমি বইটা পড়িছলাম তখন আমার একটা বন্ধু দেখে ফেলে এবং তার প্রতিক্রিয়া পেলাম রাতে যখন সে আমাকে অনুরোধ করে বুঝাইতে লাগল এই বই পড়া আর ঈমান হারা হওয়ার মধ্যে কোন পার্থক্য নাই। আমি বুঝলাম না ছোটদের মহাভারত পড়া আর ঈমান হারা হওয়ার মধ্যে সম্পর্ক কী। আচ্ছা এমন ভাঙ্গুর ইমানের কি দরকার, যা কোন বই পড়লেই হারিয়ে যায়? বরং ঈমান হওয়া উচিৎ হযরত ইব্রাহিম (আঃ) এর মত যিনি জ্বলন্ত অগ্নিকুন্ডে ও ঈমান হারা হননি।
ইদানিং কিছু ত্যানাধারী দেশপ্রেমিক ফেসবুকে তাদের দেশপ্রেম জাহির করা শুরু করেছে। খেলা উপলক্ষে বিভিন্ন দেশের পতাকা দেখে তাদের দেশপ্রেম টগবগ করে ফুটতে শুরু করেছে। ভিন্নদেশের পতাকা উড্ডয়ন করীদের রীতিমত দেশদ্রোহীর কাতারে সামিল করাচ্ছেন। আরে আহাম্মকরা, নিজ দলের পতাকা ওড়ানোটা সাপোর্ট করার প্রচলিত প্রকাশভঙ্গি মাত্র। এর সাথে দেশপ্রেম, ঘৃণা, মান অপমান ইত্যাদি তত্ত্ব গোলানো নিতান্তই মূর্খতা। শহীদ মিজানদের পঁচে লাশের সাথেই স্বাধীনতা বোধের অগ্নিপরীক্ষা হয়ে গেছে, সেখানেই আমাদের যখন পরাজয় হইছে তখন আর পতাকা দিয়ে কি করবেন?অন্য দেশের পতাকা উড়ালেই যদি দেশপ্রেম উবে যায়, তাহলে দরকার নাই সেই দেশপ্রেমের।