somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

কল্পনা চাকমা অপহরণ সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ছিলো

১৬ ই জুন, ২০১৬ সকাল ১১:৩৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


মোহাম্মাদ নেছার উদ্দিন
কল্পনা চাকমা অপহরণ ছিলো একটা ষড়যন্ত্রমুলক অপহরণ নাটক। যে অপহরণের দায় ষড়যন্ত্রমুলকভাবে সশস্ত্রবাহিনীর ঘাড়ে চাপানোর চেষ্টা চালানো হয়েছে দীর্ঘ ২০ বছর যাবৎ। ১৯৯৬ সালের ১০ জুন কল্পনা চাকমা অপহৃত হয়েছিলেন। সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে এই অপহরণের অভিযোগ আনা অপপ্রচারকারীরা দাবি করে, এই দিন লেফটেন্যান্ট ফেরদৌসের নেতৃত্বে সশস্ত্রবাহিনীর একদল সদস্য মাঝরাতে গোলাগুলি চালিয়ে কল্পনা চাকমা, তার ভাই কালিন্দী চাকমা এবং লালবিহার চাকমাকে অপহরণ করেছিলো। কিন্তু, কল্পনা চাকমার ভাই কালিন্দী চাকমা যে অপহরণ মামলাটি করেছিলেন, তাতে তিনি গোলাগুলি বা সেনাবাহিনীর সংশ্লিষ্টতার ব্যাপারে কিছু উল্লেখ করেননি। লেফটেন্যান্ট ফেরদৌস কল্পনা চাকমার বাড়ির নিকটবর্তী উগলছড়ি ক্যাম্পে আসেন নির্বাচনী দায়িত্ব পালনের উদ্দেশ্যে। উগলছড়ি ক্যাম্পে একজন আর্মির মেজর, একজন ক্যাপ্টেন, ২ জন লেফটেন্যান্টসহ প্রায় ৯০ জনের মত সৈনিক ছিলেন। এইসকল সামরিক কর্মকর্তা, সামরিক সদস্য এবং নির্বাচনী কর্মকর্তারা সেই রাতে উগলছড়ি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে রাত্রি যাপন করে। তারা সেখানে শুধুমাত্র নির্বাচনী দায়িত্ব পালনের উদ্দেশ্যে অবস্থান করেন। সেখানে সশস্ত্রবাহিনীর এই অবস্থানকে পুঁজি করে একটি দেশাদ্রোহী চক্র কল্পনা চাকমাকে অপহরণ করে এবং এর দায় সশস্ত্রবাহিনীর ঘাড়ে দেয়ার সর্বোচ্ছ অপচেষ্টা চেষ্টা করা হয়। যা এখনো পর্যন্ত অব্যাহত রয়েছে। অপপ্রচারকারীদের অভিযোগে সর্বপ্রথম যে প্রশ্নটি আসে, তা হলো, যদি গোলাগুলি হয়েই থাকে। তাহলে কল্পনা চাকমার ভাই কালিন্দী চাকমা তার মামলায় গোলাগুলির কথা উল্লেখ করেননি কেন? এর পরে যে প্রশ্নটি উঠে, তা হলো, কল্পনা চাকমার ভাই যেখানে সেনাবাহিনীর সংশ্লিষ্টতার ব্যাপারে মামলায় কোন প্রকার ইঙ্গিত দেননি। সেখানে ঐ বিশেষ চক্রটি কিসের উপর ভিত্তি করে লেফটেন্যান্ট ফেরদৌসকে এই অপহরণ কার্যক্রমের জড়িয়ে প্রচার চালিয়েছে। তৃতীয় প্রশ্ন হচ্ছে, এমন দুর্গম জায়গায় সশস্ত্রবাহিনীর মাঝরাতে কাউকে অপহরণ করার প্রয়োজন আছে কি? যেখানে দিনে দুপুরে খুন করে ফেললে কেউ দেখতে পাবে না। প্রকৃত ঘটনা ছিলো ভিন্ন ধরনের। সেই সময়ে বিচ্ছিন্নতাবাদি সন্ত্রাসী সংগঠন শান্তিবাহিনীর পুর্ণাঙ্গ অস্তিত্ব ছিলো। কেননা, তখনো শান্তিবাহিনীর সাথে বাংলাদেশ সরকারের চুক্তি হয়নি। যে কারনে শান্তিবাহিনী পার্বত্য চট্টগ্রামে সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিলো। কিন্তু, তাদের সন্ত্রাসী কার্যক্রমের পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিলো বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। যে কারনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করার কঠিন চেষ্টা চলছিলো। যেহেতু কল্পনা চাকমা হিল উইমেনসের সাধারন সম্পাদক এবং সেই সময়ের পার্বত্য চট্টগ্রামে প্রভাবশালী নারী। তাই বিচ্ছিন্নতাবাদিরা তাকেই বেছে নিয়েছিলো। আর যখন সশস্ত্রবাহিনীর সদস্যরা তার বাড়ির নিকটবর্তী স্থানে অবস্থান করেছিলো। তখন ষড়যন্ত্রকারীরা সে সুযোগ লুফে নিয়েছিলো। তারা কল্পনা চাকমাকে অপহরণ করলো। অপহরণের পর এর দায়টা সেনাবাহিনীর ঘাড়ে চাপালো সম্পূর্ণ ষড়যন্ত্রমুলকভাবে। এই অপহরণের ঘটনা দেশজুড়ে আলোচিত ছিলো। এমনকি এই অপহরণের প্রতিবাদী কর্মসূচিতে পুলিশ কতৃক অনেকে হতাহত হয়েছেন। ষড়যন্ত্রকারীরা এই জায়গায় অবশ্যই সফল ছিলো। আজ বিশ বছর ধরে সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে কল্পনা চাকমা অপহরণের এই মিথ্যে নাটক খাওয়ানো হচ্ছে জনগণকে।
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই জুন, ২০১৬ সকাল ১১:৩৬
৫টি মন্তব্য ৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

দরখাস্ত - বরাবর: জনাব, কাল্পনিক ভালোবাসা / জাদিদ সাহেব

লিখেছেন ঠাকুরমাহমুদ, ১২ ই নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১২:৫৩



বরাবর:
জনাব, কাল্পনিক ভালোবাসা / জাদিদ সাহেব
চিফ এক্সিকিউটিভ এডমিন
সামহোয়্যারইন ব্লগ

তারিখ: ১১-১১-২০২৪ইং

বিষয়: ব্লগার সোনাগাজী নিকের ব্লগিং ব্যানমুক্ত করার জন্য অনুরোধ।


জনাব, কাল্পনিক ভালোবাসা / জাদিদ সাহেব,
আপনাকে ও সামহোয়্যারইন ব্লগের সকল ব্লগারদের প্রতি... ...বাকিটুকু পড়ুন

সময়ের স্রোতে ক্লান্ত এক পথিক তবু আশায় থাকি …

লিখেছেন ডঃ এম এ আলী, ১২ ই নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৮:০৫


হালকা হাওয়ায় ভেসে আসে গত সময়ের এলবাম
মাঝে মাঝে থেমে যায়, আবার চলে তা অবিরাম
সময় তো এক নদীর মতো, বহমান অবিরত,
জল-কণা আর স্মৃতি বয়ে নেয় যত তার গত।

একটু... ...বাকিটুকু পড়ুন

মত প্রকাশঃ ইতিহাস কি বিজয়ীরাই লেখে?

লিখেছেন জাদিদ, ১২ ই নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৩:৩২

"বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাস রচনার সমস্যা" -বিষয়ক একটি অনুষ্ঠানে অধ্যাপক আলী রীয়াজ একবার বলেছিলেন, ‘ইতিহাসের সঙ্গে ক্ষমতার একটা সম্পর্ক আছে। সে ক্ষমতায় যারা বিজয়ী হয়, তারাই ইতিহাস রচনা করে। পরাজিতরা ইতিহাস... ...বাকিটুকু পড়ুন

বঙ্গবন্ধু নাম আর কেউ মুছতে পারবেনা।

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ১২ ই নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৩:৪০


২০১৮ সালের মে মাসে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ উৎক্ষেপনণের পরপরই ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানান শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘মহাকাশে আজ উড়ল বাংলাদেশের পতাকা। আজ থেকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

“বঙ্গভবন থেকে শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি সরানো উচিত হয়নি “এই কথা রিজভী কোন মুখে বলে ?

লিখেছেন শিশির খান ১৪, ১২ ই নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:৫১



অবাক হয়ে রিজভীর কথা শুনছিলাম উনি কি নিজেকে মহান প্রমান করার জন্য এই কথা বললেন নাকি উনি বলদ প্রকৃতির মানুষ সেটাই ভাবতেছি। উনি নিশ্চই জানেন স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা ও তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×