একটা বয়সে, ভালবাসা প্রকাশের জন্য তরুণ-তরুণী ছটপট করে। যুগে যুগে দেশে দেশে তরুন/তরুনীদের এ ভালবাসা ছড়িয়ে পড়ে বাথরুমের দেয়াল থেকে গাছের বাকলে, ক্লাসরুমের বেঞ্চ থেকে টাকার নোটে, লাইব্রেরির টেবিল থেকে বইয়ের পাতায়। প্রতিদিন অফিস যাওয়া-আসার পথে এডিলেইড বোটানিক্যাল গার্ডেন এর সরু পথ ধরে হাটি। ভালবাসার ক্লাসিক্যাল প্রকাশ গার্ডেনের বাঁশ বাগানে দেখে বিস্বিত হই না। এদিকে টরেন্টস নদীর উপর UniAdelaide-এর ব্রিজটার একপাশে ভালবাসায় প্রতীক হয়ে ঝুলছে হাজারো তালা। মানুষ হয়ে জন্মানোর কি এক অদ্ভুত অনুভুতি! অথচ এই কচি হৃদয়গুলি কেউ জানে না, এরকম হাজারো ভালবাসার অনুভূতি সময়ের স্রোতে ভেসে যায় অজানা গন্তব্যে। হারিয়ে যায় জীবনের প্রিয় মানুষ গুলি। হৃদয়ে ঝড় তোলা এ ভালবাসা ছড়িয়ে পড়েছিল গাছের ছালে, চিটিতে, বইয়ের পাতায়, টাকার নোটে, বাথরুমের দেয়ালে ও তালা চাবিতে। হারিয়ে যাওয়া ভালবাসার সুতীব্র বহিপ্রকাশ তো মিথ্যে নয়। শৈশবের সেই এক ঝলকের ভুবন ভোলানো হাসি দেখে যে অনুভুতি হয়েছিল তাও মিথ্যে নয়। যৌবনের থরথর হৃদয়ে ভালবাসার প্রথম প্রকাশ যে কাঁপা কাঁপা ঠোঁট ফুড়ে স্বশব্দে বেরিয়ে এসেছিল, তাও তো মিথ্যে নয়। মানুষে মানুষে অনুভূতির মায়াজালে, কি এক তীব্রতা। পেলে মনে হয় কি এক ভরাট অনুভূতি, না পেলেই যেন অসীম শুন্যতা।
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:১২