-তোমাকে আজকাল এত রোগা লাগে কেন শুভঙ্কর?
খুব ম্রিয়মাণ লাগে
যেন ঘন বর্ষাকাল, মেঘের দূসর ডানা, জল-কোলাহল
ছিঁড়ে খুঁড়ে ফেলেছে তোমাকে।
ভাঙ্গা কোনো মন্দিরের পুরোনো গন্ধের মতো লাগে।
অতীতকালের কোনো স্তম্ভে আঁটা শ্যোওলার মতো
অতীতে সবুজ ছিলে, এখন শোকের মতো হীন।
তোমাকে কি ঘিরে আছে কোনো কারাগার?
গরাদের কালো হাত, ঘন বৃক্ষজাল?
অথবা তুমি কি কিছু হারিয়েছ? অত্যন্ত আপন কোনো কিছু?
সন্ধা তারা ডুবে গেলে কোনো কোনো পাখি শুধু কাঁদে।
তোমার সোনার আংটি জলের গহ্বরে ভেসে গেছে?
তোমার গায়ের সেই চাঁপা রং, চমৎকার শোভন প্রচ্ছদ
শুভঙ্কর কোথায় হারালে।
-নন্দিনী, তুমিতো জানো আমার বাগান-পাট নেই,
যেটুকু বাগান ছিল শৈশবের সাঙ্গে ঝরে গেছে ।
তুমি ফুল ভালোবাসো বলে
তোমাকে ফুলের বৃন্তে মাঙ্গলিক উৎসবের মতো লাগে বলে
আমাকে ফুলের খোঁজে যেতে হয় পথ খুঁজে খুঁজে
সিন্দুনদ, হিন্দুকোশ, হরপ্পার মতো দুরান্তরে।
সেই সব পথে বহু ভাঙাচোরা বিমান বন্দর
বহু যুদ্ধ জাহাজের হাড়-গোড়, মেশিনগানের
কঙ্কাল-কবর রুঢ় কলকজ্জা-কাঠ-কয়লা-খড়।
সেই সব পথে বহু পতাকার সার কিন্তু প্রান চিহ্ন নেই।
দুরারোগ্য অসুখের শ্বাসকষ্টে বিদীর্ণ বাতাস
এবং পাথরও খুব, বড় বড় ডাকাতের মতো পাথর।
যেতে যেতে রক্তপাত হয়।
যেতে যেতে সর্বাঙ্গের উদ্যমে ও অভিলাষে, বাসনায়, বাহুতে ও বল্কলে
নীল মরচে পড়ে।
১. ০১ লা জানুয়ারি, ২০০৯ রাত ৮:৪৭ ০