somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

"রাজনৈতিক দলগুলো নিজের স্বার্থ হাসিলে পাগলপারা"

১৪ ই নভেম্বর, ২০১০ সকাল ১১:৪৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

১৯৭১ সালে স্বাধীনতা অর্জনের পর থেকে বাংলাদেশের স্বনামধন্য রাজনৈতিক দলগুলো যখনই ক্ষমতায় এসেছে, ঠিক তখনই নিজেদের স্বার্থ হাসিলের জন্য ব্যাকুল হয়েছে। ক্ষমতার মসনদ একটি। সুতরাং ক্ষমতায় আসলে একটি দলই আসবে। আর তাদের সময়সীমা তো বেধেঁই দেওয়া। সময় শেষ হবার সাথে সাথেই তো ক্ষমতার আসন ত্যাগ করে স্ব-স্থানে চলে যাবে। আর এটাই হলো চিরাচরিত রীতি। বর্হিবিশ্বের রাজনৈতিক অঙ্গনে দেখা যায়, বিরোধীদল সরকারী দলকে স্বাগত জানায় এবং দেশ গঠনে সহায়তা করে। বড়ই পরিতাপের বিষয় যে, বাংলাদেশে এ ধরণের আশা, নৈরাশা ছাড়া আর কিছুই নয়। কেন? কেন বিরোধীদল সরকারীদলকে সমর্থন দেয় না? কেনইবা সুর তোলে নির্বাচনে সুক্ষ্ম কারচুপী হয়েছে? এর কারণ একটাই। সেটি হলো নিজেদের স্বার্থ হাসিলের সুযোগ থেকে বিঞ্চত হওয়া। প্রতিটি দলই সর্বাগ্রে নিজের স্বার্থ সিদ্ধির জন্য ব্যস্ত। অথচ যে জনগণের ভোটে তারা ক্ষমতার উচ্চ শিখরে আরোহণ করে, সেই হতভাগা জনগণের কথা তো ভূলেও মনে করে না। ব্যাপারটি হলো "নির্বাচনের সময় পানি ফুস করে শব্দ করে, আর নির্বাচনের পরে ফুস শব্দ আর থাকে না।" নির্বাচনের প্রাক-কালে কতই না অঙ্গীকার। কিন্তু নির্বাচন শেষে সব অঙ্গীকারই ভঙ্গীকারে পরিনত হয়ে যায়। যখনই দেশের স্বার্থ এবং ব্যক্তি স্বার্থ একত্রিত হয়েছে, তখনই দেশে আরাজকতা সৃষ্টি হয়েছে। সবার উপরে হলো দেশের স্বার্থ। দেশের স্বার্থ ঠিকতো জনগনেল স্বার্থ ঠিক। ১৪ নভেম্বর বিরোধীদল কর্তৃক ডাকা হরতাল জনমনে যে ক্ষোভ দেখা দিবে তার সুরাহা দিবে কে? প্রধানমন্ত্রী না কি বিরোধী দলীয় নেত্রী?
সামনে ঈদ। সবাই ব্যস্ত কর্মস্থল ত্যাগ করে আত্মীয়-স্বজনদের সাথে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগির জন্য ছুটে যাবে নিজ আঙ্গিনায়। ঠিক এ মুহুর্তে দেশে যে সমস্যার সৃষ্টি হলো, সচেতন নাগরিকদের কি একটুও টনক নড়বে না?
সত্য কথা বলতে কি, কোন রাজনৈতিক দলই জনগণের চিন্তা মাথায় রাখেন না। আর মাথায় রাখার সময়ই বা কই? তাদের রাজনৈতিক আঙ্গিনায় তারা নিজেদের ফুল ফুটাতে পছন্দ করেন, দেশের এবং জনগণের নয়। বর্তমান সমস্যা ঈদের পরে সৃষ্টি হলে হয়তবা একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে আমারও তেমন খারাপ লাগত না। কারণ আমাদের দেশের রাজনীতি তো এরকমই। একজন আর একজনের দোষ খুঁজতে ব্যস্ত থাকে। অথচ নিজের দোষ সংশোধনের কোনো চেষ্টা নেই।

[কোন দলের পক্ষে নয়, আমি জনতার পক্ষে]
৪টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বাংলাদেশের নাম পরিবর্তনের প্রস্তাব ইসলামী আন্দোলনের।

লিখেছেন রাবব১৯৭১, ১০ ই এপ্রিল, ২০২৫ রাত ১১:২২

বাংলাদেশের নাম পরিবর্তনের প্রস্তাব ইসলামী আন্দোলনের।
এ দলের প্রতিষ্ঠয়তা মাওলানা এস এম ফজলুল করিম যিনি আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় ফতোয়া দিয়েছিলেন যে-- বাংলাদেশের মেয়েরা হচ্ছে ”গনিমতের মাল” মাওলানা নিজ হাতে অনেক... ...বাকিটুকু পড়ুন

গার্মেন্টসে শোষণ, সিনেমায় চুরি: অনন্ত জলিলের স্বনির্ভরতার মুখোশ উন্মোচন

লিখেছেন মি. বিকেল, ১১ ই এপ্রিল, ২০২৫ রাত ১২:০৬



অনন্ত জলিল—বাংলাদেশের চলচ্চিত্র জগতে একটি হাস্যকর নাম এবং গার্মেন্টস শিল্পে একটি বিতর্কিত ব্যক্তিত্ব। তার চটকদার জীবনযাত্রা, বিলাসী জীবনযাত্রা এবং স্বঘোষিত ‘স্বনির্ভরতা’ ও ‘গরীবের বন্ধু’র আড়ালে লুকিয়ে আছে শ্রমিকদের শোষণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঘুষ ইজ গুড ফর হেলথ !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১১ ই এপ্রিল, ২০২৫ রাত ১:২৩


সিরাজদিখানের মাহফুজুর রহমান সাহেবের কান্ড দেখে মনে হলো, তিনি ব্রিটিশ আমলের একটা গল্প খুবই সিরিয়াসলি নিয়েছেন। গল্পটা পুরনো, কিন্তু ঘুষখোরদের মধ্যে এখনো জনপ্রিয়। এক ব্রিটিশ ম্যাজিস্ট্রেট বাংলায় দুর্বল,... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছায়ার রক্তচোখ: ক্রোধের নগর

লিখেছেন শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু, ১১ ই এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ৯:৫২


ষড়ঋপু সিরিজের দ্বিতীয় কাহিনী ”ক্রোধ”

রাত্রি নেমেছে শহরের উপর, কিন্তু তিমির কেবল আকাশে নয়—সে বসেছে মানুষের শিরায়, দৃষ্টিতে, শ্বাসে। পুরনো শহরের এক প্রান্তে, যেখানে ইট ভেঙে পড়ে আর... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। নববর্ষের শোভাযাত্রা নাম বদল করছি না, পুরোনো নাম–ঐতিহ্যে ফেরত যাচ্ছি: ঢাবি উপাচার্য

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১১ ই এপ্রিল, ২০২৫ দুপুর ১:০৪



পয়লা বৈশাখে ফি বছর চারুকলা অনুষদ আয়োজিত মঙ্গল শোভাযাত্রার নাম পরিবর্তন প্রসঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খান বলেছেন, ‘আমরা নাম পরিবর্তন করছি না। আমরা পুরোনো নাম... ...বাকিটুকু পড়ুন

×