"ঘুড়ি তুমি কার আকাশে উড়ো!
তার আকাশ কি আমা চেয়ে বড়?"
ছোটবেলায় আমার একটি আকাশ ছিলো। অনেক বড়ো! আমার বয়স যতৈ বাড়ছে, আমার আকাশ তার নিজস্বতা হারাচ্ছে। একি সাথে দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ হারিয়ে চৌকোনা বাক্সের মতো হয়ে যাচ্ছে। আমার আকাশ ছিলো নীল; এখন সে আকাশের দিকে তাকালে আমার জন্ডিসের কথা মনে পড়ে। জন্ডিস আকাশে ঘুড়ি উড়েনা; অথবা আমি উড়াই না। তবে ঘুড়ি তুমি যার আকাশেই উড়ো, বারেবার আমার বাগানেই গোত্তা খেয়ে মরো। কারন নাটাই যে আমার হাতে!
আমার মাঝে মাঝে অঞ্জন দত্তের মতো চিৎকার করে বলতে ইচ্ছে করে - 'আমার বয়স বাড়ে আমি বাড়িনা'... কিন্তু আমার জন্ডিস আকাশ, আমার সিড়িভাঙ্গা চিলেকোঠা, আমার জনপদ হয়ে যাওয়া খেলার মাঠ আমাকে মনে করিয়ে দেয় - আমার বয়স বেড়েছে। যদিও বাবার ডায়েরী থেকে যানা যায় আমার বয়স মোটে আটাশ, আকাশ-মাঠ-তোমার অবহেলা আমার বয়স করেছে আরো বেশী। আর হ্যাঁ, এখানকার পানিটাও ভালো না; তাই চুলে পাক ধরে যাচ্ছে অতি দ্রুত।
"বৃষ্টি তো থেমেছে অনেক আগেই, ভিজেছি আমি একাই
আসতো যদি নীল বিভিষিকা, খুজে ও পেতে না আমায়।"
জন্ডিস আকাশ কেঁদেছিলো? নাকী আমাদের সবার আকাশ? সবার আকাশ যদি কাঁদতো, আমি একাই ভিজলাম কেনো! শীতল বাতাসে আমার জ্বর এসে যাচ্ছে। জ্বর এলে এখন আর তোমার হাত আমার কপাল ছোঁয় না; বেরসিক নার্স তার লৌহ-হস্ত ছুঁয়ে খসখস করে প্রেস্ক্রিপশন লিখে দেয়। আমি তোমার হাতের প্রেসক্রিপশন চাই; নার্স বা ডাক্তারের নয়। বৃষ্টি থেমেছে অনেক আগেই; নীল বিভিষীকাও আসেনি; এখনো কি সময় হয়নি তোমার! আমার আকাশে বৃষ্টি বলেই কি অন্যের আকাশে উড়তে হবে? একসাথে ভিজলে কী এমন ক্ষতি হতো! 'ভাবে মন অকারন সারাক্ষন'
..............................................................
এই রকম আরো আজেবাজে লেখা -
-> কেউ একজন এখানে থাকুক
-> আমি দুই দশক পেছনে গিয়ে তোমার ভালোবাসা পেতে চাই
-> বন্ধু তোর লাইগা রে ...
-> ছেড়ে দিয়েছো, তো হেরে গিয়েছো
ভাঙ্গা মন নিয়ে তুমি, আর কেঁদোনা