আমি অনেক আগে এটার ট্রেইলার পোস্ট করেছিলাম। কিছু ক্লিপ্স হারিয়ে যাওয়ায় শর্ট ফিল্ম টা রিলিজ দিতে পারিনি। প্রায় এক বছর পর ক্লিপ্স গুলো খুজে পাওয়া গেলো দুদিন আগে। সেদিন বন্ধু স্নিগ্ধা বাসায় এসে বলে কিছু সিনেমা দেয়ার জন্য। পুরোনো একটা ৪ গিগার মেমোরি কার্ড পড়ে রয়েছিলো, ভাবলা সেটাতে কপি করে দেই; হারিয়ে গেলে কমের উপর দিয়ে যাবে। ল্যাপটপে মেমোরি কার্ড ইন্সার্ট করে দেখি সেটার ভিতর সেই হারানো ক্লিপগুলো। স্নিগ্ধাকে পারলে জড়িয়ে ধরি আর কি! কিন্তু বাংগালী বন্ধু তার উপর মেয়ে মানুষ, হ্যান্ডেশেকের উপর দিয়ে ছেড়ে দিলাম
আগেই লাইনআপ টা দাড় করান ছিলো, নতুন ক্লিপ্স আর মিউজিক সেট করে দাড় করিয়ে ফেললাম আমার তৃতীয় শর্ট ফিল্ম 'আন্ডার দ্যা ক্লাউডস অফ লাভ'
কথা না বাড়িয়ে আসুন দেখে ফেলি শর্ট ফিল্মখানা। ল্যাপটপে এডিট করায় কনভার্ট করে লো-রেজুলেশনে এডিট করতে হয়েছে, তাই ফাইন্যাল আউটপুট ও লো-রেজুলেশন। এর জন্য দুঃখিত। ভালো কথা - শর্ট ফিল্ম দেখে কে কয়বার হাই তুলেছেন দয়া করে গুনে রাখবেন। এই শর্ট ফিল্ম এর টার্গেট হলো দর্শককে ঘুম পাড়ানো। কেউ না ঘুমালে বুঝবো সফল হই নাই
মাত্র ৮ হাজার টাকা বাজেটের এই শর্ট ফিল্ম এ যারা কাজ করেছেন তারা সবাই নতুন। ডে লাইট কে কাজে লাগিয়ে যতদুর পারা গিয়েছে, এবং নতুনদের কাজ শিখিয়ে যতদুর টানা গিয়েছে, ততদুর করেছি। প্রফেশন্যাল কোন কাজ নয়, একা সব হ্যান্ডেল করতে হয়েছে। শিখার জন্য এই ধরনের কাজ করা আর কি। বন্ধু সারোয়ার তুর্য আর সুমন বনিকের প্রতি অশেষ কৃতজ্ঞ শর্ট ফিল্মের কাজে সর্বক্ষন সাহায্য করার জন্য। এছাড়া, শিশির, সাইফুল, আলমগীর, ফয়সাল, রাজীবের আম্মুর ও সুমন বনিকের পরিবারের প্রতিও কৃতজ্ঞ।
কৃতজ্ঞ সিনেমা পিপলস এর সকল মেম্বারের প্রতি, যদিও তারা এটা দেখে হতাশ হতে পারে এই ভেবে যে মাস্টার খালি মুখে মুখেই যা, কাজে বেলায় ঠনঠন
আজ আমার জন্মদিন। সারারাত একশ এর উপর মানুষ উইশ করেছে - মেসেজ পাঠিয়ে, ওয়ালে পোস্ট করে, ব্লগে পোস্ট করে। তাদের সবার প্রতি কৃতজ্ঞ। এমন ভালোবাসা পাওয়ার জন্য প্রস্তুত ছিলাম না আপনাদের ভালোবাসায় বর্ষার ভেজা কদম ফুলের মতো লাজুক প্রস্ফুটিত হয়ে আছি।
সবাইকে আবারো ধন্যবাদ