১)
আমি দীর্ঘ সময় খোলা জানালার সামনে দাড়িয়ে আছি। বাইরে আবছা অন্ধকার, আকাশে সম্ভবত মেঘ করেছে, দক্ষিণের একটা নিম্নচাপ এই এলাকার উপর দিয়ে যাওয়ার কথা। মেঘ আমার বড় ভালো লাগে, কিন্তু আজ আমি মেঘের জন্য অপেক্ষা করছি না। দিনের আলো নিভে যখন অন্ধকার নেমে আসে, আদিগন্ত বিস্তৃত শহরের আকাশে যখন একটি একটি করে নক্ষত্রের আলো ফুটতে থাকে তখন সেটি দেখতেও আমার বড্ড ভালো লাগে। কিন্তু আজ আমি সেটাও দেখছি না। আমার মন আজ বড় বিক্ষিপ্ত, আমার সমস্ত অপেক্ষা কেন্দ্রীভূত হয়েছে আজ, সেই ছেলেটার জন্য।
ছেলেটার নাম শুভ্র। চশমার ভেতরে তাকিয়ে থাকা নির্লিপ্ত চোখগুলো যে কোন সাধারণ মেয়েকে ভাবিয়ে তোলার জন্য যথেষ্ট। আমি প্রায় সাধারণ একটা মেয়ে, পুরোপুরি নই। তাই হয়তো এড়িয়েই গেছি অনেকদিন। আমার সাধারণত্বকে পূর্ণতা দিতেই যেন ওর আগমন।
শুভ্র প্রায় প্রতিদিন আসতো রাতে। গভীর রাতে ইনসমনিয়াক আমাকে কিছু প্রশান্তি এনে দিতে পারে আমার এই বারান্দাটাই। অনিদ্রায় কাতর আমার বুকের হাপ ধরা ভাব কমিয়ে দিতো বলেই এখানে এসে বসতাম আমি। আমি যখনই বসি এখানে, কী করে যেন টের পেয়ে যায় ছেলেটা। অল্পক্ষণের মধ্যেই চলে আসে, তারপর চলে যাপিত রাত্রির দীর্ঘ কথোপকথন। চলে খুনশুটি, মান-অভিমান, চলে দীর্ঘশ্বাসের ক্রন্দন।
প্রথম যেদিন বারান্দার গ্রিলে ওপাশে, রাতে অন্ধকারের মূর্তি হয়ে শুভ্রকে দাড়িয়ে থাকতে দেখেছিলাম, ভয়ে চমকে উঠে প্রায় আমি চিত্কার করেই ফেলেছিলাম। ওর সপ্নাতুর চোখ যেন থামিয়ে দেয় আমাকে, হিপনোটাইজড আমি চিত্কার করতে তো বটেই, শ্বাস-প্রশ্বাস নিতেও যেন ভুলে গিয়েছিলাম ক্ষণকালের জন্য।
তারপর কেটে গেছে অনেকটা সময়, অনেকগুলো চাঁদ ক্ষয় হয়ে গেছে পূর্ণতা শেষে। আর শুভ্র ক্ষয় করেছে আমার একাকিত্বকে। জাগিয়ে তুলেছে অন্য এক আমিকে, বিষণ্ণ আমাকে করে তুলেছে ভীষণ রকম স্বাপ্নিক।
তবু এড়িয়ে গেছি, পাত্তা দেইনি রাস্তার বখাটে ছেলে ভেবে। বখাটে ভাববো না তো কি, কোন ভদ্র ছেলে কি এতো রাতে কোন মেয়ের বাসার বারান্দার পাশে এভাবে দাড়িয়ে থাকবে। আমি অনেকবার চেয়েছি বকাঝকা করতে, অপমান করে তাড়িয়ে দিতে। যদিও শুভ্র তখন শুধু দাড়িয়েই থাকতো নিশ্চল, তাকিয়ে থাকতো শুধু কোনরকম কথা ছাড়াই। তবু রাতের ওই সময়টুকু শুধুই আমার, আমি চাইতাম আমার একাকিত্বকে অনুভব করতে, আমি কেন একাকী সেই মুহূর্তে কারো অবৈধ অনুপ্রবেশ মানবো ?
এসব ভেবে সারাদিনের জমানো বিরক্তি রাগ হয়ে ঝড়িয়ে দিতে চাইতাম রাতে, বেছে বেছে কিছু কটু কথা জমিয়ে রাখতাম মাথার ভেতর। সে রাগের তীব্রতা মিইয়ে যেতো মুহূর্তকালের মধ্যে, আমি আবার ফিরে যেতাম আগের রাতের আমিতে, শুভ্র এসে চোখ তুলে তাকাতেই। কী আছে ওই কাঁচের আড়ালে লুকিয়ে থাকা চোখ দুটোতে ?
গত দু সপ্তাহ শুভ্রর দেখা নেই, কাজিনের বিয়ের ব্যাস্ত তায় অনেকরাতে ফিরতে হয়েছে কয়েকদিন, ক্লান্তি দূরে হঠিয়েছে আমার ইনসমনিয়াকে সাময়িকভাবে। বারান্দায় আসা হয়নি ক’দিন, তাই বুঝি বাবুর হয়েছে রাগ, উনি তিনদিন অপেক্ষা করে হাঁপিয়ে গেছেন আর আমি যে দশ-বারোদিন যাবত তার অপেক্ষায় দিশেহারা হয়ে যাচ্ছি দিনরাত, সে খেয়াল কি আছে তার ?
এ ক’দিনে আমি বুঝে গেছি, কতটা বেশি ভালোবেসে ফেলেছি শুভ্রকে। ওর অনুপস্থিতিই আমাকে উপলব্ধি করিয়েছে, ঠিক কতটা জায়গা দখল করে বসেছে ছেলেটা।
এবার এলে ঠিক জানিয়ে দেবো ওকে, ওর হাত ধরে জোত্স্না দেখতে চাই আমি, সারারাত আর সারাটাজীবন।
কিন্তু ছেলেটাও হারিয়ে গেল কেন এমন করে ? কান্না পায় আমার। চাঁদটাও হারিয়ে গেছে, নিকষ অন্ধকার। আজ কি অমাবস্যা ? আমার জীবন থেকে সব হারায় কেন ?
শুভ্রর কি হারিয়েই যাবে সত্যি ? হারিয়ে যাবে চাঁদ আর এক রাত জোত্স্না ?
“বোকা মেয়ে, জোত্স্না কি কখনো হারায় ?”
শুভ্রর গলা শুনে চমকে পেছনে ফিরি আমি, হাসি মুখে দাড়িয়ে আছে গ্রিলের ওপারে, গন্ধরাজ গাছটার পাশে। খুশিতে লক্ষ ফুলের শিহরণ জাগে শরীর জুড়ে। আমি ভুলে যাই এক লহমায় যত অভিমান জমা কদিনের। গলা বুজে আসে আমার তবু ফিসফিস করে বলি, “হারায় না, কক্ষণো না, দেবো না হারাতেও আমি!”
“হুম, হারাবো না তুমি চাইলেই, হাত ধরে জোত্স্না দেখতে হবে যে!” আমার চুলে গন্ধরাজ ফুল গুজে দিতে দিতে বলে শুভ্র!
আমি প্রায় কেঁদে ফেলি খুশিতে, “সত্যি ?”
“হুম, চলো তবে আজ নতুন স্বপ্ন দেখি এক ?” ওর কথায় হাসি পায়, আমার তো স্বপ্ন ই মনে হচ্ছে পুরোটা, নতুন করে আর কী দেখবো ?
“কী স্বপ্ন ?” মন্ত্রমুগ্ধের মত তাকিয়ে থাকি আমি।
অদ্ভুত আবেশীয় গলা যেন ভেসে যেন বহুদূর হতে, “পায়ের পাতায় শিশির ভেজা ঘাস রেখে, হাতটা ধরে স্বপ্নের পথে হাঁটবার, জোত্স্নায়! ”
২)
সকালে ঘুম ভাঙতেই গতরাতের কথা মনে পড়ে আমার। আমি কি তবে স্বপ্নে দেখেছি সব যা রাতের ঘটনা ? দ্বিধায় পড়ে যাই আমি, মনে পড়ে না কিছুতেই। অদ্ভুত অশরীরী গন্ধ আমার চারপাশ জুড়ে। আবছা আবছা পড়ছে মনে, গত রাতে শুভ্র হাত ধরে সারারাত, আরো কী কী যেন! ভাবতে ভয় হয়, যদি দেখা যায় ভেবে সব স্বপ্ন শুধু, ঘুমের ঘোরে অদ্ভুত কল্পনা। বুকে কাঁপন ধরে আমার, দমবন্ধ হয়ে আসতে চায় যেন।
তখনই চোখ পড় বেড সাইড টেবিলে, গতরাতে চুলে গোঁজা বাসী ফুলটা, গন্ধরাজ। আমি হাপ ছেড়ে বাঁচি। অপার্থিব আনন্দের অনুভূতিতে উদ্ভাসিত হয় আমার মুখ, গালে-ঠোঁটে ছুঁইয়ে নিই ফুলটাকে, এখানে ছোঁয়া লেগে আছে শুভ্রর, আমার সবচেয়ে কাছের হয়ে যাওয়া মানুষটার।
আজ নিলুকে সব বলতে হবে। নিলু আমার সবচেয়ে কাছের
বন্ধু। শুভ্র যে প্রায় রাতেই আমার বাসার সামনে আসে, ওর সাথে কথা হয় সারারাত জুড়ে, বলা হয়নি কিছুই ওকে। সেই ছোটবেলা থেকে কোন কথা লুকোইনি নিলুকে, এটা কেন যে বলিনি ?
আসলে বলতে চেয়েছি, পারিনি বলা যায়। নিলুর কাছে-পিঠে ইদানিং কোন কথাই তোলা যায় না। সব সময় একই টপিকে অনর্গল বকবক করে যাবে, ওর বয়ফ্রেন্ড। ‘এই দ্বীপি জানিস, আজ না ও এটা করেছে, আজ এটা বলেছে, কাল এটা কিনে দিয়েছে আমাকে, কী ভয়ংকর রকমের অদ্ভুত সুন্দর না, দ্বীপি?’ এমন সব কথার প্রায় প্রতিদিনই পুনরাবৃত্তি হয় ওর মুখ থেকে। আজ পর্যন্ত কোন অভিযোগ-অভিমানী কথা শুনিনি ওর মুখ থেকে। বেচারী হয়তো জানেই না, প্রেমের গল্পকে বিশ্বাসযোগ্য করে তুলতে মান-অভিমান পর্ব ও রাখতে হয়, আবেগ-আহলাদের পাশে।
আসলে নিলু এক ধরণের ফ্যান্টাসিতে ভোগে সবসময়। ওর কোন বয়ফ্রেন্ড নেই, তবু বানিয়ে এসব বলা ওর কাছে নেশার মত।
শুরুতে বানিয়ে বলতে শুরু করেছিল কোন অপ্রাপ্তির অনুযোগে, নিজে যেমন জেলাস হয় সবার বয়ফ্রেন্ডকে দেখে, তাদের গল্প শুনে, তেমন জেলাস নিজেও করতে চেয়েছিল সবাইকে।
বানিয়ে বলা এসব গল্প কখন যে ও নিজেই বিশ্বাস করতে শুরু করেছে, নিজেও জানেনা নিলু।
তবে আমি ধরে ফেলেছি, ওর সবচেয়ে কাছের বন্ধু বলেই হয়তো আমার চোখকে ফাকি দিতে পারেনি বোকা মেয়েটা।
তবে বলিনি নিলুকে কখনো, আমি ধরে ফেলেছি, বুঝে গেছি ওর বানিয়ে বলা গল্প। যদি এতেই অভাগী মেয়েটা কিছু আত্মতৃপ্তি খুঁজে নিয়ে খুশি হয়, আমি কেন বাঁধ সাধবো তাতে ?
ভাবতে ভাবতেই সিদ্ধান্ত নিয়ে নিলাম। নিলুকে জানাবো না শুভ্র আর আমার প্রেমের কথা। এতে বেচারী আবার মন খারাপ করবে, ওর কেউ নেই বলে। কি দরকার নিলুটা আফসোস বাড়িয়ে ?
৩)
রাত সাড়ে দশটা, বারান্দায় এতো আগে আসি না আমি, শুভ্র ও না। এতো আগে এলে রাস্তার মানুষের কাছে শুভ্রর ধরা পড়ে যাওয়ার ঢের সম্ভাবনা আছে, আমারও ঝুঁকি কম নয় বাবা-মায়ের কাছে ধরা পড়ে যাওয়ার।
তবে আজ অন্য পরিস্থিতি, এতো ভালো-মন্দ ভেবে কাজ করার মত মনের অবস্থা নেই আমার আজ।
রাগে গা পুড়ে যাচ্ছে আমার, ফেটে পড়তে চাইছে বারবার। ভেঙ্গেচুড়ে ছারখার করে দিতে ইচ্ছে করছে সব, গোটা পৃথিবী, বিশ্ব-ব্রহ্মান্ড।
আজ বিকেলে শুভ্রকে দেখেছি রাস্তায়, রিক্সায় চড়ে যাচ্ছে, সাথে নিলু! দুজনে বেশ অন্তরঙ্গ অবস্থায়।
আমি কখনো ভাবতেও পারিনি, শুভ্র এতটা নিচ!
দিনে এক মেয়ের সাথে সময় কাটিয়ে রাতের আঁধারে আমার সাথে! ভন্ড, প্রতারক, বদমাশ আজ আসুক শুধু। আজ আর ভুলবো না চোখে চোখ পড়লেও, ও চোখের জাদুর মায়া ফুরিয়ে গেছে আজ, নর্দমার মত নোংরা ও চোখ দুটি আমার কাছে এখন, ঘেন্নায় থুথু ছেটাতে একটুও বাঁধবে না আর।
আমি কাঁদতে আরম্ভ করি।
হঠাত আবিষ্কার করলাম, আমি আসলে প্রচন্ড জোরে চিত্কার করে কাঁদছি। চেষ্টা করে চিত্কার থামাতে পারছি না যেন, আমার মস্তিস্কের কোন বার্তাই শুনছে না যেন, নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে শরীরের উপর।
নিজের চিত্কার নিজের কাছেই আমার ভয়ংকর লাগে, অপ্রকৃতস্থ লাগে নিজেকে।
*প্রকৃতির দৃশ্যায়ন*
৪)
মানসিক হাসপাতালে দ্বীপির চিকিত্সা চলছে, অর্ডিনদরি হেলুসিনেশনে ভুগতো মেয়েটা, বেশ আপার স্টেজ।
বারান্দায় দাড়িয়ে একা একা কথা বলতো দ্বীপি, জানার পরেও এড়িয়ে গেছে ওর বাবা-মা, কিশোরী মনের খেলা ভেবেই গুরুত্ব দেয়নি প্রথমে।
তীব্র ফ্যান্টাসির জগতে থাকা দ্বীপিকে সারিয়ে বাস্তব জগতে আনতে মানসিক চিকিত্সা চলছে ওর।
কেবিনে সাদা বেডে বাচ্চাদের মত ঘুমোচ্ছে দ্বীপি। জেগে থাকা অবস্থায় নিলুকে কেন যেন সহ্য করতেই পারে না আজকাল। দ্বীপিকে দেখতে এসে নিলু জলে চোখ ছলছল নিয়ে দাড়িয়ে আছে, সাথে নিলুর চার বছরের পুরোণো প্রেমিক, শুভ্র!!
৫)
প্রায় একমাস হয়ে গেলো বিয়ে হয়েছে শুভ্র আর নীলুর। সাড়ে চার বছরের প্রেমের পূর্ণতা পেলো এতোদিনে, অথচ নীলুর মনে হচ্ছে, পূর্ণতা নয়, যেন সমাধি হয়ে গেছে প্রেমের। শুভ্রের আচরণ-জীবনযাপন বদলে গেছে পুরোটাই। হাসি-খুশি উচ্ছলতায় ভরা ছেলেটা হঠাত করেই ভীষণ বিষণ্ণ-বিমর্ষ হয়ে পড়েছে। দুষ্টমিতে ভরা ওর চোখ দুটো ভয়ার্ত হয়ে থাকে কেমন সারাক্ষণ। মাঝে মাঝেই দুঃস্বপ্ন দেখে চিত্কার করে জাগছে ঘুম থেকে। ভাবলেই কান্না পায় নীলুর, অসহায় লাগে, অসহ্য।
কী হলো ছেলেটার ?
৬)
রাত বারোটা, নীলু ঘুমোচ্ছে। শুভ্র চুপিচুপি বারান্দায়, একা।
- বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করো না আমাকে, প্লিজ। আমি জানি দ্বীপি, তুমি আমার কল্পনা, মস্তিষ্কের সৃষ্টি।
ঃ হাহা, তাই ? কিন্তু তুমি তো সত্যিই ছিলে, সত্যি আসতে আমার বারান্দার সামনে, রাতে।
- আহ, আর কতবার বলবো তোমাকে ? আমি তো ভুল স্বীকার করেছি। প্রথমে একদিন দুষ্টমি করে দাড়িয়ে ছিলাম, বাসায় ফেরার পথে। মজা পেলাম। তারপর ধীরে ধীরে কেমন নেশা চেপে বসলো। প্রায়ই দাড়িয়ে কথা বলতে শুরু করলাম। পুরোটাই দুষ্টমি ছিল দ্বীপি।
ঃ তোমার সেই দুষ্টমি যে দ্বীপি নামের নিরোপরাধ একটা মেয়ের জীবন নষ্ট করে দিলো। তার বাবা-মার সব স্বপ্ন, স্বপ্ন ভাঙ্গার কষ্ট বোঝো শুভ্র ?
- আর, আর আমি যে নকল দ্বীপির উপস্থিতিতে কষ্ট পাচ্ছি, সেটা?
ঃ তার জন্যও তুমি দায়ী। আমি তো আলাদা কেউ না, তোমারই কল্পনা, তোমার অসুস্থ মস্তিষ্কের সৃষ্টি।
- আমাকে ক্ষমা করা যায় না ?
ঃ কেঁদো না, তুমি নিজেকে ক্ষমা করতে পারলেই হয়ে যাবে, তুমি জানোই শুভ্র।
- আমি পারছি না, আহ!
ঃ তাহলে হয়তো মানসিক হাসপাতালে আসল দ্বীপির পাশের খালি কেবিনটা তোমার অপেক্ষায়।
- নাআআআআআ!
হঠাত নিজেই আবিষ্কার করলো শুভ্র আসলে প্রচন্ড জোরে চিত্কার করে কাঁদছে। চেষ্টা করেও চিত্কার থামাতে পারছে না , মস্তিস্কের কোন বার্তাই শুনছে না যেন, নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে শরীরের উপর।
নিজের চিত্কার নিজের কাছেই ভয়ংকর লাগে শুভ্রর, অপ্রকৃতস্থ লাগে নিজেকে।
যেন প্রকৃতি ক্রমশ ঘটিয়ে চলেছে সকলের অগোচরে অদৃশ্যের দৃশ্যায়ন।
***