
বিডিআর এর মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ বাহিনীতে আজ যে বিদ্রোহ বিশৃঙ্খলা দেখা গেল তা খুবই অনাকাঙ্খিত। এই বিদ্রোহ মেনে নেওয়া যায় না, দেশের জন্য এটা একটা খারাপ উদাহরন হিসাবে থাকবে। এ ধরনের বাহিনীতে বিশৃঙ্খলা কিছুতেই মেনে নেওয়া যায়না তা সে যে কোনো পরিস্থিতিতেই হোক না।
বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে তাদের ডাল-ভাতের কর্মসুচিতে নিযুক্ত রাখা হয়েছিল বিডিআর কে। আমরা দেখেছি নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিষপত্র চালা ডাল শব্জী থেকে শুরু করে মাছ-মাংসের কারবারী হিসাবে বিডিআর শপ গুলিকে। বিডিআর এর অবকাঠামো আর প্রশিক্ষন, কিংবা তাদের কর্মকৌশলের সাথে এই কারবারী হয়ে উঠা কতটুকু সামঞ্জস্যপুর্ণ তা বিবেচনায় নেওয়া হয় নাই।
ব্যবসা-বাণিজ্য মানেই মুনাফা, অতিরিক্ত লাভ আর বাড়তি টাকা। অভিযোগ পাওয়া গেছে অসন্তোষের শুরু এই মুনাফার এই কোটি কোটি টাকার হিসাব নিয়ে অস্বচ্ছতার অভিযোগ তুলে।
একটা দেশের প্যরামিলিটারী যাদের কাজ মুলত সীমান্ত রক্ষা করা তার কিভাবে মাসের পর মাস এই চাল ডাল শব্জী থেকে শুরু করে মাছ-মাংসের কারবারী হিসাবে নিজেদের নিয়োজিত রাখলো সেটাই আমার কাছে বিস্ময়ের।
আজকের বিডিআরদের সশস্ত্র বিদ্রোহের শেষটা কিভাবে হবে তা নিয়ে আমরা সবাই শংকিত। সরকারের দিক থেকে আন্তরিক ভাবেই চেষ্টা করা হচ্ছে বিদ্রোহের রক্তপাতহীন একটা সমাধানের, কিন্ত শেষ পর্যন্ত কি আমরা রক্তপাত এড়াতে পারবো?
সাধারন ভাবে বিডিআরদের দাবী-দাওয়া নিয়ে সরকার সহানুভুতির ভাবে বিবেচনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, বিদ্রোহী জওয়ানদের সাধারন ক্ষমাও ঘোষনা করা হয়েছে। বিডিআরদের আত্মসর্মপন করার ফর্মুলা নিয়ে বৈঠক চলছে- কিন্ত বিডিআরদের যা দাবী অর্থাৎ আর্মির নিয়ন্ত্রন মুক্ত হিসাবে বিডিআর এর কার্যক্রম পরিচালনার যে দাবী তা প্রচলিত
সশস্ত্রবাহিনীবোর্ডের আইনের সাথে সঙ্গতিপুর্ণ নয়। বিডিআরদের অবশ্যই সামরিক বাহিনীর আওতায় থাকতেই হবে।
যদি বিদ্রোহী বিডিআরগন তাদের এই দাবী থেকে সরে না আসেন, আমার ধারনা বলপ্রয়োগ ছাড়া আর কোন রাস্তাই খোলা থাকবে না। সমাধানের রক্তাক্ত পথই বেছে নিতে হবে।