কার ছবি নেই, কেউ কি ছিলো!
বেলা গড়ালে মাথার উপর যখন সূর্যটা চলে আসতো, আমাদের বাড়ির উঠোন জুড়ে এক কৃষ্ণচূড়া গাছ তার মায়া মায়া ছায়া ছড়িয়ে রাখতো। লোকে বলে, কৃষ্ণচূড়া গাছ বাড়ির উঠোনে লাগাতে নেই। আর আমি ছিলাম প্রচন্ড জেদী আর আদুরে তাই কৃষ্ণচূড়া গাছ আমার ঘরের জানালা বেয়ে বেয়ে রক্তরাঙা বিকেল নিয়ে আসতো।
আমার দেবতাসম পতি যেই সন্ধ্যায় মারা গেলো...কৃষ্ণচূড়া সেদিন তার রক্তরাঙা বিকেল থেকে আমাকে সিঁদূর পড়িয়ে দিয়েছিলো!
মেঘবালিকা, কত স্বপ্ন কথা ছিলো তোমার সাথে
স্বপ্ন সুন্দর নাকি গোধূলী?
স্বপ্নে আমি ইচ্ছে করলে যে কারোর হাত ধরে ভরা পূর্নিমা দেখতে পারবো। টলমল ঝলমল রূপার আলোতে আমি ইচ্ছেমতন স্নান করতে পারবো! স্বপ্নে সবকিছু সম্ভব....সবকিছু সুন্দর। জীবনের সব গ্লানি, ব্যাথা কিছু সময়ের জন্য একটা দিয়াশলাইয়ের বাক্সে ভরে আমরা অসম্ভবের এক জগতে পাড়ি দিয়ে বেড়ায়....যেখানে ভেসে যেতে কোন নৌকো লাগে না। তবুও স্বপ্ন সুন্দর না। ঘুম ভাঙ্গার পর পরই স্বপ্ন হয়ে যায় এক নীল আকাশ আর চোখ দুটো জেগে থাকে কুয়াশা হয়ে।
গোধূলি আর স্বপ্ন দুটোই এক.....দুটোই থাকে ধরা ছোঁয়ার বাইরে...দুটোই এক সময় ফুরিয়ে যায়, মিলিয়ে যায়। আর আমার বিছানার পাশে পড়ে থাকে ভালোবাসার কাটা হাত।
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ সকাল ৮:২২