টেড লস এঞ্জেলসের একজন উঁচুমাপের এ্যারোনটিক্যান ইঞ্জিনিয়ার। রবার্ট নামের একজন গোয়েন্দা পুলিশের সাথে তার স্ত্রীর সম্পর্ক থাকার কথা ধরা পড়ে যায় তার কাছে। এর ফলে সে তার স্ত্রীকে দুই হাত দূর থেকে গুলি করে এবং তাকে গ্রেপ্তার করতে আসে রবার্ট। সে অস্ত্রসহ ধরা দেয় এবং রবার্টের কাছে গুলি করার কথা স্বীকারও করে নেয়।
আরেক দৃশ্যে দেখা যায় উইলি নামের নবীন এক চৌকস আইনজীবিকে। যে কাজ করে ডিষ্ট্রিক্ট অ্যাটর্নির অফিসে এবং যে কোন কেসে হার স্বীকার করতে সে মোটেও রাজী নয়। ঘটনাক্রমে টেডের কেসে সরকারী উকিলের দ্বায়িত্ব পায় উইলি। এদিকে টেড নিজেই তার উকিলের দ্বায়িত্ব পালন করে।
উইলি প্রথমে সবকিছু সহজে হয়ে যাবে বলে মনে করলেও কেসের ঘুঁটি টেডের দিকে ঘুরে যায় যখন সে বলে যে রবার্টের সাথে তার স্ত্রীর সম্পর্ক ছিল এবং তার যে স্বীকারক্তি পেশ করা হয়েছে সেটা জোরপূর্বক নেওয়া হয়েছিল। আরেকদিকে টেডের স্ত্রী কিন্তু মারা যায় না, চলে যায় কোমায়।
এদিকে আবিষ্কৃত হয় যে টেডের যে পিস্তল দিয়ে তার স্ত্রীকে গুলি করার অভিযোগ করা হচ্ছে সেটা দিয়ে কোনদিন গুলিই ছোঁড়া হয়নি আর উদ্ধারকৃত গুলির খোসার সাথেও তার কোন মিল নেই। কিন্তু অনেক খুঁজেও টেডের বাসা থেকে আর কোন অস্ত্র পাওয়া যায়না।
রাতের পর রাত উইলি টেডের স্ত্রীর বিছানার পাশে বসে থাকে তার জেগে থাকার আশায় কারণ সে বুঝতে পারে যে টেডের বিরুদ্ধে পেশ করার মত কোন প্রমাণ তার হাতে নেই।
রবার্ট উইলিকে প্রস্তাব দেয় কিছু জিনিস পরিবর্তন করে একটা ভুয়া প্রমাণ খাড়া করার। প্রথমে রাজী না হলেও পরে অন্য কোন উপায় না পেয়ে রাজী হয় উইলি। কিন্তু শেষ মূহুর্তে কোর্টরুমে বসে সে তার মত পাল্টায়।
টেডের বিরুদ্ধে কোন সাক্ষ্য-প্রমাণ না থাকায় সে খালাস পেয়ে যায় আর সেদিন কোর্টরুম থেকে বের হয়ে আত্মহত্যা করে রবার্ট।
এবার তাহলে উইলি কি করবে? সে কি একজন খুনীকে এভাবে আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে মুক্ত হয়ে চলে যেতে দেবে? টেডের চোখের ইশারায় সে যা বোঝে তা হল টেড তার স্ত্রীকে এবার পুরোপুরি শেষ করে দিতে চায়। কিন্তু উইলির আর কিই বা করার আছে?
এরপর ঘটনার শেষে কি হল সেটা জানতে দেখতে হবে মুভিটি। শেষটা কিন্তু আরও নাটকীয় এটুকুই শুধু বলে দিলাম। টরেন্ট থেকে ডাউনলোড করতে চাইলে করতে পারবেন এখান থেকে ।
ফিল্মটি পরিচালনা করেন গ্রেগরী হবলিট। টেড এর চরিত্রে দারুণ অভিনয় করেন এ্যান্থনি হপকিন্স। উইলি এবং রবার্টের ভূমিকায় যথাক্রমে রায়ান গসলিং এবং বিলি বার্ক।
৭ই নভেম্বর, ২০১১, ঢাকা