রোজার প্রধান উদ্দেশ্য শুধু দিনে অভুক্ত থাকা নয় বরং আত্মশুদ্ধি অর্জন করা, অন্তরকে পরিশুদ্ধ করা, অন্তরে অাল্লাহভীতির জন্ম দিয়ে পাপপূর্ণ ইচ্ছা থেকে নিজেকে সংযত রাখা। নিজেকে সংযত রাখা খাবার অপচয় করা থেকে, খারাপ কাজ থেকে, কথা ও কাজে অন্যকে কষ্ট দেয়া থেকে।
এইতো একজন বন্ধু বলল, সে সফরকালীন সময়ে একটা খাবার হোটেলে খাবার চাইতে গেলে হোটেল বয়/ম্যানেজার তার সাথে অভদ্রসূলভ অাচরণে সিক্ত করলেন৷ যদিও সে রোজাদার ছিলো৷ সতর্কতার জন্য খাবার সাথে রাখতে চাইলেন৷ এ ছাড়া অনেককেই দেখা যায় রোজা না রাখার জন্য না জেনেই বিপরীত, কুৎসিত মন্তব্য করতে৷ এ অাচরণ কি শরীয়ত সম্মত? কিংবা কোন মুসলিমের?
নিজেকে মস্ত বড় পরহেজগার মনে করা মানুষগুলোকে পরহেজগারি শিখানোর সাধ্য কারো নেই। সংযমের মাসে কথা, কাজ, আচার আচরণের সংযম শেখানোর সাধ্য নেই।
সাধ্য নেই এটা বোঝানোর যে, কেউ রোজা না রাখলেই, দিনের বেলায় খাবারের সন্ধান করলেই বা খেলেই তার সম্পর্কে আজেবাজে বলতে হয় না। অমুসলিমরা দিনের বেলায় খেতেই পারে, হোটেলে খাবারের সন্ধান করতেই পারে।
মুসলিম পুরুষ হয়েও শর্তসাপেক্ষে সফরের হালতে, বার্ধক্যজনিত কারণে, অসুস্থতার কারণে রোজা ভাঙ্গতেই পারে। মুসলিম মহিলা হয়েও শর্তসাপেক্ষে সফরের হালতে, অসুস্থতার কারণে, গর্ভবতী হওয়ার কারণে, বাচ্চাকে দুগ্ধ পানে সমস্যার কারণে রোজা ভাঙ্গতেই পারেন। এতে রোজা ভঙ্গকারীর সম্পর্কে না জেনেই খারাপ ধারণা পোষণ করা যেমন উচিৎ নয় তেমনি 'কেন রাখেন নি? কি সমস্যা? ' এ জাতীয় প্রশ্ন করাও উচিৎ নয়।
প্রতিটি রোজাদারের অন্তর ভরে উঠুক তাকওয়ার গুণে, গড়ে উঠুক বে-রোজাদারের প্রতিও সহনশীল মনোভাব, গড়ে উঠুক পাপাচারমুক্ত সুশৃঙ্খল-শান্তিপূর্ণ সমাজ।