বলতে পারেন......
ইজতেমায় মানুষ কেন যায়?
এখানে সমবেত হওয়ার অর্থ কি?
এখানে কি কোন ওয়াজ মাহফিল হয়?
এখানে কি ইসলামী আন্দোলনের কোন দিক উন্মোচিত হয়?
এখানে কি বিশ্ব মুসলিমের উপর নির্যাতনের জন্য প্রতিবাদ জানানো হয়?
এখানে কি নির্যাতিত মুসলিম মোজাহিদদের বিজয়ের জন্য দোয়া কামনা, বিজয়ের জন্য পদক্ষেপ ও বাস্তবায়নের জন্য কিছু কি করা হয়?
এসবের একটি জবাবও কোন ইজতেমা ময়দান থেকে মিলবে না, বরং সকল শ্রেনীর রাজনৈতিক অমানুষদেরকে এখানে লৌকিকতার নামে মুনাজাত ও ফটোসেশন করতে দেখা যায়, ইসলাম বিরোধী টিভি মিডিয়া ফলাও করে ইজতেমার মাঠে আগত মানুষদের নিয়মিত সম্প্রচার স্বাক্ষাতকারের নামে বিশেষ নিউজ প্রদর্শন করা হয়, শয়তানের দেয়া সুবিধা ভোগের নামে কখনো ইসলাম প্রতিষ্ঠিত হতে পারে না।
অনেকেই বলবেন তাবলীগ নিরপেক্ষ অরাজনৈতিক দল, তাদের জন্য জবাব, ইসলামে নিরপেক্ষ বলে কিছু নেই, নিরপেক্ষতা হচ্ছে শয়তানের শ্লোগান৷ যদি ইজতেমায় প্রকৃত ইসলামের কথাই বলা হতো ৫ই মের হেফাজতের মতো পানির লাইন বন্ধ করে বিদ্যুতের লাইন বন্ধ করে দিয়ে রাতের অন্ধকারে মোনাফেকের অত্যাচারে টঙ্গী ছাড়া করতো। যারা হেফাজতীদের ৫ই মে নির্যাতন ও হত্যাযজ্ঞের মাধ্যমে মতিঝিল ছাড়া করছিলো তারাইতো অাবার ইজতেমাতে অংশগ্রহণ ও সহযোগীতা করছে৷
অাপনার কাছে প্রশ্ন, কারা সঠিক পথে ইজতেমা গ্রুপ নাকি হেফাজত?
এবার আসুন বিদআত কেন বললাম? যারা ইজতেমায় আসেন তাদের চিন্তা চেতনা কি? কেন আসেন? উক্ত জবাবগুলো পেলে আপনিও পরিস্কার হয়ে যাবেন এমন ধারণা পোষন অবশ্যই বিদআত। দ্বিতীয় হজ্বের সাথে তুলনা করা হয়, আর তাই মানুষ জুমআ না পড়েই অনেকেই মুনাজাতের লাইন ধরেন, অথচ ইসলাম হজ্বের পর জুমআর নামাযকে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে, এরা যা পালন করছে এটা কোন নবীর তরিকা বা কোন সাহাবীরা এটা করেছেন? বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর উপর নির্বিচারে হত্যাযজ্ঞের যারা প্রতিবাদ করতে জানে না, তারা কখনোই ইসলামী স্বপক্ষের শক্তি হতে পারে না।
[ইডিটেড]