পবিত্র কুরআন সম্পর্কে মহান আল্লাহ তায়ালা বলেন, ''এটা এমন একটি কিতাব যার মধ্যে কোন সন্দেহ নেই; এটা মুত্তাকীদের জন্য পথ প্রদর্শক" আল্লাহ অন্যত্র বলেছেন, এই কিতাব সমস্ত মানব জাতির জন্য হেদায়াত স্বরুপ। কিন্তু একদল মানুষ কুরআন পড়ার পড়েও হেদায়াত তো দুরের কথা বরং তারা আরো গোমরাহীর দিকে ধাবিত হয়। তারা হলো:-
প্রথম দল: ঐসকল লোকেরা যারা পূর্ব থেকেই একটি বিশেষ আক্বীদা ও বিশ্বাস ধারণ করে আছে, অত:পর যখনই কুরআনের কোন আয়াত সামনে আসে তখন তারা চেষ্ট করে ঐ আয়াতটি তাদের আক্বীদার পক্ষে দলীল হিসেবে ব্যবহার করতে। অর্থাৎ এ জাতীয় লোকেরা একটি বিশেষ দল বা তরিকার রঙ্গিন চশমা দিয়ে কুরআন-হাদিসকে গবেষণা করে। তারা সবসময় চেষ্ট করে কুরআনের আয়াতকে তাদের আক্বিদাহ ও বিশ্বাসের স্বপক্ষে দলীল হিসাবে পেশ করতে। যদি কোন আয়াত তাদের দলীয় মতের বিপক্ষে যায় তাহলে সে আয়াতকে তাদের দলীয় আলেম ও পীর-বুযুর্গেদের অপব্যাখ্যার হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে, দুমড়িয়ে, মুচড়িয়ে নিজেদের স্বপক্ষে নেওয়ার চেষ্টা করে।
দ্বিতীয় দল: ঐ সকল লোকেরা যারা শুধুমাত্র আয়াতের শাব্দিক অর্থের দিকে লক্ষ্য করেই তফসীর করে থাকে যেভাবে সাধারণ একজন আরবী লোকের কথার তাফসীর করা হয়। অথচ তারা চিন্তা করে না যে, এ কুরআন কে নাজিল করেছেন? কার উপর নাজিল করেছেন? কাদেরকে সম্বোধন করে নাজিল করা হয়েছে?
আর এ দুটি কাজ এক শ্রেণির আলেমরাই করে থাকে। যেমন আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কুরআনে ইরশাদ করেছেনঃ “নি:সন্দেহে আল্লাহর নিকট গ্রহণযোগ্য দ্বীন একমাত্র ইসলাম এবং যাদের প্রতি কিতাব দেয়া হয়েছে তাদের নিকট প্রকৃত জ্ঞান আসার পরও তারা মতভেদে লিপ্ত হয়েছে, শুধুমাত্র পরস্পর বিদ্বেষবশত: যারা আল্লাহর নিদর্শন সমূহের প্রতি কুফরী করে তাদের জানা উচিত যে, নিশ্চিত রুপ আল্লাহ হিসাব গ্রহণে অত্যন্ত দ্রুত। (সুরা আলে ইমরান-১৯)
https://facebook.com/mahmud37nabi