মিয়ানমানের যখন নির্মমভাবে রোহিংগাদের হত্যা করছে বার্মিজ বাহিনী, বাদ পড়ছে না নারী শিশুও, তখন এক পিশাচ পোস্ট দিল মুসলমানদের দোষ দিয়ে এই বলে, তারা যেখানেই থাকে না কেন, অন্য ধর্মের লোকদের সাথে বিবাদে জড়িয়ে পড়ে। ব্লগের আরো মানুষরুপী কিছু অমানুষ তাকে সমর্থন জানিয়ে পিঠ চাপড়াল এই বলে, মুসলমানদের আগে মানুষ হতে হবে। ব্লগের অনুকুল পরিবেশ হারানোর ভয়ে এ সকল মুসলিম বিদ্বেষীদের বিরুদ্ধে কিছু বলতেও ভয় পায় অনেক ব্লগার, অথচ আমরা এই বাংগালী জাতিই অন্যায়ের বিরুদ্ধে অকাতরে প্রান দিতে পিছু হটিনি।
এখন আসি ব্লগের মূল বক্তব্যে।
মায়ানমারে কাচিন কারা -
প্রায় ১০ লক্ষ কাচিনের বাস ভারত এবং চীনের সীমান্তে, এরা জিংফো গোত্রের অধিবাসি। একটি সুত্রের মতে দুই তৃতীয়াংশ খ্রীস্টান ধর্মালম্বী, মায়ানমার সরকারী হিসাবে ৬৪% বৌদ্ধ ৩৪% খ্রীস্টান।
কাচিন দ্বন্দ্ব বা কাচিন যুদ্ধ -
একাধিক দ্বন্দ্বেক সম্মিলিতভাবে কাচিন দ্বন্দ্ব বলে উল্লেখ করা হয়।
কাচিন স্বাধীনতা বাহিনী ও সরকারি সৈন্যদের মধ্যে লড়াই শুরু হয় জুন ২০১১ সালে। সাম্প্রতিক সহিংসতায় হাজার হাজার মানুষের মৃত্যু হয়, এবং ১00,000 এর বেশি মানুষ পালিয়ে যায় চীনে। উভয় পক্ষের বিরুদ্ধে ভূমি মাইনের ব্যাপক ব্যবহার, শিশু সৈন্যের ব্যবহার, নিয়মানুগ ধর্ষণ এবং নির্যাতনের অভিযোগ করা হয়েছে।
বার্মিজ আর্মি ৪০ ডলার বা এক ব্যাগ চাল বা এক ক্যান পেট্রলের বিনিময়ে একটি শিশুকে কিনে শিশু সৈন্য হিসাবে কাজে লাগায়।
কাচিন এবং সরকারের মধ্যে অং সান সু চিকে মধ্যস্থতা করার জন্য আহ্বান জানালে অং সান সু চি বলেন যে তিনি সরকার থেকে একটি আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণ গ্রহণ না করেই আলোচনায় অগ্রসর হতে পারবেন না।
২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে এনজিও কাচিন উইমেনস এসোসিয়েশন থাইল্যান্ড (কেউইএটি) জানায় যে এই যুদ্ধে ১00,000 শরণার্থীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে এবং ২০১১ সাল থেকে ৩৬৪ টি গ্রাম সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে পরিত্যক্ত হয়েছে। সংস্থার রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে যে বার্মা আর্মি ইচ্ছাকৃতভাবে শরণার্থী শিবিরে এবং গ্রামগুলিতে আক্রমণ করে এবং নাগরিকদের ধর্ষণ ও হত্যার মতো "যুদ্ধাপরাধ" করে।
উপরে উল্লেখিত ঐ পিশাচের কাছে আমার প্রশ্ন মায়ানমার বৌদ্ধদের দেশ হয়েও কিভাবে তার অন্য বৌদ্ধ বা খ্রীস্টান নাগরিককে নির্বিচারে হত্যা করছে।
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ৯:৫৯