বেনিতো আমিল্কারে আন্দ্রেয়া মুসোলিনি
আডলফ হিটলার
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকালীন সময়ে হিটলারের সাথে বেনিতো মুসোলিনি
যদি কখনও হিটলারের সাথে মুসোলিনির যুদ্ধ হতো তাহলে সে যুদ্ধের রূপ কেমন হতো? যদিও বাস্তব জীবনে দুই বন্ধুর যুদ্ধতো দুরের কথা কখনও মনোমালিন্য হয়েছিল কিনা সন্দেহ! প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর সবদিক থেকে ভেঙ্গে পড়া ও বিধ্বস্ত ইতালির ভিক্টর ইমানুয়েলের গণতান্ত্রিক সরকার ও জার্মানির হিন্ডেনবার্গ সরকারের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে বিপুল জনপ্রিয়তার ইতালিতে বেনিতো মুসোলিনি এবং জার্মানিতে আডলফ হিটলার সমাজতান্ত্রিক মতাদর্শ প্রতিষ্ঠার প্রতিশ্রতির মধ্য দিয়ে ক্ষমতায় আসে। ক্ষমতায় গ্রহনের পর আস্তে আস্তে দুজনের চেহারাই পাল্টে যেতে থাকে। পরবর্তীতে দুজনই স্বৈরাচার একনায়ক হিসাবে আবির্ভুত হয়। একই প্রক্রিয়ায় ক্ষমতায় আসা এবং একই রূপ ধারন করা এই দুই স্বৈরাচারী একনায়ক পরবর্তীতে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় একান্ত বন্ধুতে পরিনত হন এবং একে অন্যকে প্রভাবিত করতেন। দুজনই ১৯৪৫ সালে মারা যায় (বেনিতো মুসোলিনি সুইজারল্যান্ডে পালাবার সময় তিনি কম্যুনিস্ট প্রতিরোধ বাহিনীর হাতে ধরা পড়েন, পরে তাকে হত্যা করা হয়। এবং রেড আর্মি যখন বার্লিন প্রায় দখল করে নিচ্ছিল সে রকম একটা সময়ে আডলফ হিটলার ইভা ব্রাউনকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর ২৪ ঘণ্টা পার হওয়ার আগেই তিনি ফিউরারবাংকারে সস্ত্রীক আত্মহত্যা করেন )। দুজনের শুরু, বিস্তার এবং মৃত্যুর মধ্যে কি অসাধারন মিল। আজ দুজনের রাজনৈতিক দলই দুদেশে নিষিদ্ধ।
তারপরও উদাহারন হিসাবে বিভিন্ন প্রেক্ষাপটে তারা দুই বন্ধু আমাদের মাঝে হাজির হয়। ফুটবলে যখনই তাদের দেশ ইতালি-জার্মানী মুখোমুখি হয় তখনই সেই দ্বৈরথ কে আমাদের অনেকের কাছে মুসোলিনি-হিটলার দ্বৈরথ বলেই মনে হয়। আজ সেই মুসোলিনি ও হিটলারের দেশ ইতালি ও জার্মানী মুখোমুখি হচ্ছে ইউরো ২০১২ তে। এই মুখোমুখি লড়াইয়ে অবশ্য মুসোলিনির দেশ অনেক এগিয়ে। আজ কে জিতে সেই প্রত্যাশায় থাকলাম।
ইতালিয়ান ফুটবল দল
জার্মান ফুটবল দল
ফুটবলে আমি কিন্তু একনিষ্ট ইতালিয়ান সমর্থক।
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:৫২