প্রিয় মুসলিম ভাই ও বোন!
অামি আমাকে, আপনি অাপনাকে- এভাবে আমরা প্রত্যেকে নিজেকে একটি প্রশ্ন করি; আমার কাছে পৃথিবীর প্রিয়তম ও মূল্যবানতম সম্পদ কোনটি? অর্থসম্পদ, না সন্তান-সম্পদ?
আমার সন্তানই যদি আমার প্রিয়তম ও মূল্যবানতম সম্পদ হয়- এবং তাই তো হওয়া উচিত- তাহলে এর কী কারণ যে, অর্থসম্পদ তো হেফাজত করার জন্য সিন্দুকে রাখি, এবং চোর ডাকাতের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য যথা সাধ্য চেষ্টা করি। কিন্তু প্রিয়তম সন্তানের ঈমান ও অামলের হেফাজতের কোনো চিন্তাই করিনা! অথচ অর্থসম্পদ দ্বারা দুনিয়ার জীবন আরাম অায়েশের যদিও বা হয়, ঈমান অামলের হেফাজত না করলে তো আখেরাতের অনন্ত জীবনে হালাকী ও বরবাদী ছাড়া আর কিছুই নয়।
কে আছে এমন নির্বোধ যে তার অর্থসম্পদ চোর-ডাকাতের হাতে তুলে দেবে? কিংবা অসৎ ও অবিশ্বস্ত কোন মানুষকে তার হেফাজতের দায়িত্ব দেবে? না এমন নির্বোধ পৃথিবীতে নেই।
তাহলে একবার কি ভেবে দেখা উচিত নয় যে, আমাদের প্রাণপ্রিয় সন্তানকে কাদের হাতে তুলে দিচ্ছি? কাদের হাতে দায়িত্ব অর্পণ করছি তার শিক্ষা-দীক্ষার এবং তাকে "মানুষ" রূপে গড়ে তোলার?
ধর্মহীন শিক্ষাব্যবস্থায় 'ধর্মনিরপেক্ষ' শিক্ষকদের তত্ত্বাবধানে আমাদের কোমলমতি শিশু-কিশোররা কী শিক্ষা লাভ করছে? তাদের হৃদয়ের নরম মাটিতে কিসের বীজ বপন করা হচ্ছে? ঈমান ও বিশ্বাসের এবং আমল ও অাখলাকের পুষ্প-বৃক্ষের, নাকি শিরক ও কুফুরির এবং অসত্য ও অসুন্দরের কণ্টক-বৃক্ষের?
তারা কি অাল্লাহ্ ও তাঁর রাসুলের পরিচয় লাভ করেছে? তাদের ঈমান ও বিশ্বাস এবং অামল ও অাখলাক কি সেখানে নিরাপদ থাকছে? তারা কি সেখান থেকে ইসলামি চিন্তা-চেতনা এবং উত্তম চরিত্র ও নৈতিকতা অর্জন করতে পেরেছে? নাকি অাধুনিক শিক্ষার নামে অামাদের ভবিষ্যত বংশধরদের ঈমান ও অাকীদা এবং আমল ও অাখলাক বরবাদ করা হচ্ছে। এবং আমাদের গাফলাতের সুযোগে আমাদেরই কলিজার টুকরোগুলোকে ভবিষ্যত সমাজের ধর্মহীনতার বাহকরূপে তৈয়ার করা হচ্ছে?
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে মে, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:০৮