আমি নারী মাংস লোভী এক নরপিশাচ। তুমি কি জানো না (?) তোমার কমনীয়তা আমায় প্রফুল্ল করে! তোমার গড়ন আমায় উজ্জীবিত করে! তুমি কি বোঝনা (?) নাকি বুঝেও সবকিছু সহ্য করে যাচ্ছ অবলিলায় (?) প্রগতির নামে নিজেকে পণ্য করে ফেলছ। নিজেকে তুলে দিচ্ছ আমার মত কিছু নংপশুদের হাতে। তারা তোমার রূপ, গুন সৌন্দার্যকে ব্যবহার করে নিজেরা সমাজে জ্ঞানী সাজছে। তোমাকে কেন্দ্র করে আয়োজিত হচ্ছে নারী উন্নয়ন সভা সেমিনার। অথচ সেই তুমি আমাদের মত নির্বোধ হায়েনাদের কাছে নিজেকে সমর্পণ করছ (?) পণ্যের মোড়কে মোড়কে তোমার অর্ধ নগ্ন ছবি। টিভির পর্দায়, ফেস্টুনে, বিল বোর্ডে ব্যানারে, রাস্তার মোড়ে মোড়ে তোমাকে রোজ উপস্থিত হতে হচ্ছে।
রঙিণ পর্দায় তোমার কমনীয়তা নিয়ে চলে কুরুচিপূর্ণ যৌন উৎসবের নামে বেলেল্লেপনার এক মহাযজ্ঞ। কত লক্ষ কোটি চোখ তোমায় প্রতিনিয়ত গণধর্ষণ করে চলছে। কি বৃদ্ধ! কি যুবক!! কি শিশু!!! নির্লজ্জভাবে ভাবে উপভোগ করছে তোমায়। রাস্তার মোড়ে, কিংবা বাইপাসের বখাটে যুবকের অাড্ডায় সমালোচিত বস্তু তুমি। শুধু কলেজ কিংবা ভার্সিটি নয় মাধ্যমিক পর্যায় এসেও তোমাকে নির্বাক হয়ে সহ্য করতে হয় আমার মত যুবকের উস্কানি অথবা ইভটিজিং (যৌন নিপীড়ন).। শুধু তাই নয়! ক্লাশের প্রৌঢ়বয়সের শিক্ষকের নজর তোমার দিকে।
এর নাম কি নারী উন্নয়ন (?) বা প্রগতি (?)। না এটা উন্নয়ন বা প্রগতি নয়। বরং তোমার অবনতি। নারীর অবনতি মানে আমার অবনতি। সমাজের অবনতি। দেশ ও জাতীর অবনতি। মনে রেখ তুমি শুধু মাত্র ভোগের বস্তু নও! তুমি সম্মানের বস্তু, কারণ তুমি আমার "মা"। তুমি ভালোবাসার বস্তু, কারণ তুমি আমার "স্ত্রী"। তুমি স্নেহের বস্ত, কারণ তুমি আমার "বোন"। তুমি অাদরের কারণ তুমি আমার মেয়ে। তাই গর্বের সাথে যেমন বলতে পারি, তোমার উন্নতি আমার উন্নতি আমার সফলতা। ঠিক ততটাই ব্যাথা নিয়ে বলতে হয়, তোমার অবনতি আমার ব্যর্থতা।
সুতরাং! নারী, তুমি ফিরে এসো উন্নতির ও প্রগতির নামে এই বিষাক্ত ছোবলের আক্রান্ত হবার পথ থেকে। ও পথে তোমার উন্নতি নেই। আছে কিছু হিংস্র মানব। যারা তোমায় ভোগের বস্তু বানিয়েছে। তোমার স্থান সবার উর্ধে! ওই উঁচুতে। তাই তোমাকে অাহ্বান করছি দ্বীন মাফিক চলার দিকে। পর্দার দিকে। জান্নাতের দিকে।
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১:০২