"সহধর্মিণী"
"নারী" মায়ের জাত। তাঁদের সম্মান ভূরাজ্যের সর্বচ্চ শিখরে। ওই উঁচুতে। কারণ সে আমার সহধর্মিণী। নারীকে সহকর্মীনী হিসেবে নয় পেতে চাই সহধর্মিণী হিসেবে। যেন সে আমাকে দ্বীনের ব্যাপারে সহযোগী হয়।
নারী আমার ঘরের ভূষণ। ছোট্ট পরিবারের মমতার অাঁধার আর ভালোবাসার সৈকত। নারীরা সৃষ্ট না হলে হয়তো আমি পরিচয়হীন এক উদ্ভট প্রানী হিসেবে পরিচিতি লাভ করতাম। তাই গর্ব করে বলতে পারি দুনিয়ার সর্বত্তম নেয়ামত একজন নেককার সহধর্মিণী।
আল্লাহ্ তা'য়ালা জান্নাতের ভেতরেও নারীদের সম্মানিতা করেছেন। জান্নাতের নেয়ামতরাজীর ভেতর জান্নাতী নারী (হুর) সর্বত্তম। আল্লাহ্ বড় আজিব কারিগর।! দুনিয়াকে সাজিয়েছেন নারী দ্বারা আর জান্নাতকেও সাজিয়েছেন নারী দ্বারা...
কিন্তু কিছু মানুষ আছে যারা নারীকে সহধর্মিণী হিসেবে নয় বরং সহকর্মীণী হিসেবে ব্যাবহার করে। কাজের বুয়া আর সহধর্মিণীর তফাতটা অনেকেই বুঝতে পারেনা। সংসারের সমস্ত কাজ সকালের গরম চায়ের কাপ থেকে নিয়ে শুরু করে রাতের মশারী টাঙ্গানো পর্যন্ত যেন তার কাজ (?) সারাদিন বেগার খাটুনি। থালা/ বাসন, হাঁড়ি/ পাতিল ধোয়া, জামা/ কাপড় কাঁচা, কাপড় ইস্ত্রি করা, বাচ্চাদের অহেতুক ও অবৈধ আবদার, শশুর শাশুড়ীর খেদমত, ননদিনীর খুনসুটি, ভাসুরের লাল চোখ, দেবরের নিরর্থক হিংসুটে গাল মন্দ কিংবা লোলুপ দৃষ্টি, পড়শির কথার ছোঁবল। সব মিলিয়ে একটা কিম্ভুতকিমাকার পরিবেশের সঙ্গে সে প্রতিনিয়ত যুদ্ধ করে চলছে। অথচ দেখার কেউ নেই। দিন শেষে রাত। সবাই আরামের বিছানায় গা এলিয়ে দেয় ঘুমের রাজ্যে। দেহ ভরা ক্লান্ত নিয়ে যখন সেই বেগার খাটুনি ওয়ালা নারীটা বিছানায় যায় ধুম করে চেপে বসে স্বামীর আদরের নামে যৌন নির্যাতন। সে ভাবে নয় এভাবে এভাবে নয় সেভাবে সব ভাবে চলে এই নরী মাংস লোভী নরপিশাচের অত্যাচার। মুখ বুঝে নিয়ম করা রুটিনের মত মনে নেয় সব। সবার অলক্ষে ঝরে পড়ে নারীটার কতক নীল কষ্টের নোনা জল। দেখার কেউ নেই। মুছে দেয়ার কেউ নেই। যদিও সবাই এমন নয়।
আমরা শত করা কতজন পুরুষ আছি যে নিজ সহধর্মিণীর হাত ধরে ভালোবাসার সাথে সারাদিনের বেগার খাটুনির উপর সান্তনা দেই (?) কতজন পুরুষ আছি যে নিজের পাশে শুয়ে থাকা আপন স্ত্রীর গলায় চুমু দিতে দিতে চোখের জল মুছে দেই (?) থাকলেও খুব কম সংখ্যক।
তাই অাসুন না আমরা স্ত্রীকে সহকর্মীণী নয় সহধর্মিণী হিসেবে ভালোবাসি.....
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১:৪৫