বর্তমান সময়ে দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান
ক্রমশ বেড়েই চলছে। কোথাও ইসলামি
বিশ্ববিদ্যালয়, কোথাও ইসলামি মহিলা
কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়, কোথাও কওমি,
কোথাও কওমি, কোথাও মহিলা কওমি
মাদরাসা, কোথাও আলিয়া, কোথাও ইসলামি
কিণ্ডার গার্ডেন। এছাড়াও রয়েছে প্রত্যেক
মসজিদ ভিত্তিক শিশুদের মকতব, রয়ছে নূরাণী
মাদরাসা, রয়েছে নৈশ মাদরাসা, রয়েছে
বয়ষ্ক মাদরাসা। মোদ্দাকথা মানব সমাজে
কোনও সেক্টর এমন বাকী নেই যেখানে
দ্বিনী শিক্ষা ব্যবস্থা নেই। কিন্তু দুঃখ জনক
হলেও সত্য আমরা প্রতি নিয়ত দ্বীনকে ছেড়ে
দিচ্ছি। আর বদদ্বীনকে মেনে নিচ্ছি।
অামাদের সন্তানরা বেদ্বীন হয়ে যাচ্ছে।
দ্বীন কী জিনিস বুঝতেই চায়না। দেশের
ওলামা সমাজের কাছে আমার প্রশ্ন… কেন
এমন হচ্ছে…? এখানে কার কমতি…? মাদরাসা
শিক্ষকের নাকি ওলামাদের…? নাকি বাবা-
মায়ের? নাকি সমাজ ব্যবস্থার?
.
বিশ্লেশন করলে দেখা যায় যে, অভিবাকদের
কোনও দোষ নেই। কেননা তাঁদেরকে সহজ
ভাবে বুঝানো হয়েছে যে, এই মাদরাসায়
সন্তান ভর্তি করালে ভালো হবে। এখানের
শিক্ষা ব্যবস্থা ভালো, ওখানের বেতন কম,
সেখানে আবাসিক ব্যবস্থা ভালো
ইত্যাদি.... অবশেষে অবিভাবক সন্তানকে
সবচে ভালো মাদরাসায় ভর্তি করায়।
বিবেচনা করলে আরও বুঝা যায় যে, বর্তমান
সমাজ ব্যবস্থার কোনও দোষ নেই। কারণ দ্বীন
সমাজ ব্যবস্থার উর্ধে। নোংরা সমাজ
ব্যবস্থা তো ওলামারা ঠিক করবে।......
.
এখন কেন আমরা দ্বীন থেকে দুরে?