আমাদের পাড়ার আয়রন (স্ত্রি) মাস্টার খোকন আনকেল। সকাল থেকে শরীর ভালো না।
মাঝরাতে ফোন পেয়ে স্টোথোস্কোপ আর বিপি কাফটা নিয়ে ছুটে গেলাম। পালস পেলাম না। সাথে সাথে সি,এন,জি করে নিয়ে গেলাম National Institute Of Cardiovascular disease, কলেজগেট এর CCU তে। ECG - এর কাগজে ফ্লাট লাইন,,সোজা একটা দাগ,,সেই দাগে কোনো উচু নিচু পাহাড় পর্বত নেই।
দেশের হৃদরোগ চিকিৎসার মা বাপ হাসপাতাল আমাদের খোকন আনকেলকে মৃত ঘোষনা করল।
খোকন আনকেলের বাড়ি সিরাজগঞ্জ, একটা এম্বুলেন্স লাগবে। বাইরে থেকে এম্বুলেন্স আনা যাবে না। আনসারদের কড়া পাহাড়া। হাসপাতালের ভিতরে গেইট ৬ এ, সরকারি হাস্পাতালের স্থাপনায় শহিদুল সাহেবের অফিস।
-শহিদুল সাহেবকে আপনারা এখানে পেয়ে জাবেন। আপনি এদেশের স্বয়ং রাষ্ট্রপতি হলেও শহিদুল সাহেবের কথার বাইরে এম্বুলেন্স আনতে পারবেন না, লাশ তুলতে পারবেন না। শহিদুল সাহেবের কথাই শেষ কথা, শহিদুল সাহেবই সংবিধান! শহিদুল সাহেবের ইশারা অমান্য করে এম্বুলেন্স ঢুকবেই না!
হাসপাতালকে কেন্দ্র করে অ্যাম্বুলেন্সের মতো একটি জরুরি পরিবহনসেবাকে ঘিরে এই নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি চলছে বছরের পর বছর ধরে। কিন্তু আমাদের হাস্পাতাল গুলোর পরিচালকরা তা দেখেও দেখেন না।
আমার আপনার মেট্রোরেলে এ জীবনে না চড়লেও হবে,আমি নির্বিবাদি মানুষ,আমার এক জীবনে আমি থানায় না গিয়েও পারব।আমার পকেটে পয়সা নেই আমার হয়ত এ রাজ্যের ভূমি অফিসে জাওয়াই হবে না কখনো, কিন্তু হাসপাতালে আমাকে যেতেই হবে।
২০০৯-২০২৩, প্রায় এক যুগ ক্ষমতায় একটা সিন্ডিকেট ভাঙ্গার মত ক্ষমতা হয় নাই? এতটা দুর্বল আমরা?
মাননীয় , আপনাকে চেলেঞ্জ জানাচ্ছি, আপনি এই রাষ্ট্রের যে-কোন সরকারি হাসপাতাল থেকে একটা ডেডবডি, পরোপকারী শহিদুল সাহেবদের আঙ্গুলের ফাঁক গলে বের করেন...!
আমি আপনার উন্নয়ন মেনে নিব!